আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। প্রবাসে যাওয়ার
জন্য, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে কিভাবে লোন নিবেন, এবং প্রবাসে গিয়ে সেই লোনের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবেন। সেই বিষয়ে আলোচনা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ও বুঝে নিন কিভাবে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয় বিদেশে যাওয়ার জন্য।
পেজ সূচিপত্র: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৫
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম
আমার আইডিয়াতে জানেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিতে হয়। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা জানেন না। তাই আমি বলব যারা জানেন তাদেরও কোথাও ভুল থাকতে পারে, এবং যারা জানেন না তাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে, তাহলে আপনি বুঝে যাবেন, যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে ঋণ নিয়ে বিদেশে যাওয়া যায়। এবং সেই ঋণের টাকা বিদেশে যাওয়ার পরে কিভাবে শোধ করতে হয়। তাহলে চলুন দেরি না করে আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। প্রবাসে
যাওয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিতে হয়। এখন বিষয়টি সম্পূর্ণ জানতে ও ক্লিয়ার হতে আর্টিকেলেটি আপনাকে মনোযোগ দিয়ে ও সুন্দরভাবে পড়তে হবে, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। তারপর একটা কথা বলি বর্তমানে বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি আপনি চাইলে খুব সহজ শর্তে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিংবা আরো অন্যান্য সকল ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিদেশে যেতে পারবেন। আবার সেই ঋণের টাকা আপনি বিদেশে গিয়েই পরিশোধ করতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট লাগবে, ও
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নেয়ার জন্য যে সকল শর্তগুলো আছে সে সকল শর্তগুলো আপনাকে মানতে হবে। এবং ওদের সকল শর্ত মেনে আপনি যদি চান লোন নিতে পারবেন। যেমন আপনি প্রবাসে যাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র গুলো রেডি করেছেন, সে সকল কাগজপত্র গুলো আপনার জেলার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের, যে কোন শাখায় গিয়ে, কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা আপনার কাগজপত্র গুলো দেখবে এবং আপনার কাগজপত্র গুলো যদি সঠিক হয়। তাহলে তারা আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবে এবং একটি ফর্ম দিবে, এবং সে ফর্মটি সুন্দরভাবে পূরণ করে ও বুঝে তখনই জমা দিয়ে আসতে হবে। এরপর আপনি যদি ওদের নিয়ম মেনে ঋণ নিতে চান তাহলে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে, এবং বিদেশে যাওয়ার জন্য আপনার ঋণটি তারা দিয়ে দিবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইনে আবেদন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৫? অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয়। এখন কথা হচ্ছে যে, আমার জানা মতে, এমন অনেক
জেলা আছে যে, জেলাতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের শাখা শুধু একটি। তার কারণে আপনাদের অনেক সমস্যা হয়। সেই সমস্যা কি সমাধানের জন্য আপনাকে এই সেকশনটি সুন্দরভাবে পড়তে হবে, তাহলে আপনার সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে। এখন আপনাদের সুবিধার্থে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে, অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে বিদেশে যাওয়ার জন্য লোনের আবেদন কিভাবে করবেন সে, এখন আলোচনা করব। প্রথমত আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়েই
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য, অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে যে, আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করতে না জানেন সেক্ষেত্রে কি করনীয়। খুব সহজ বুদ্ধি হল, আপনি youtube
থেকে ভিডিও দেখে ও অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এখন ইউটিউবে ভিডিও দেখার পর আপনার যদি মনে হয়, আপনি অনলাইনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তখন আপনাকে যেটি করতে হবে। প্রথমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে, সেখানে লোন সেকশনে গিয়ে আবেদন ফরমটি
ডাউনলোড করতে হবে। ও ফর্মটি সুন্দরভাবে বুঝে শুনে পূরণ করতে হবে, ও ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে সাবমিট করে দিতে হবে।
আবারো আমি আপনাদের সুবিধার্থে বলছি যে, আপনি যদি কিভাবে আবেদন করতে হবে এই বিষয়ে ভালোভাবে না বুঝে থাকেন তাহলে আপনি আবেদন করলে সে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না এবং বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আপনি কি করতে পারেন, প্রথমত আপনার সকল কাগজপত্র গুলো নিয়ে আপনার এলাকার কিংবা বাজারে কোন অনলাইনে কাজ করে সেই দোকানে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে আমি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাই এবং অনলাইনে লোন এর আবেদন করতে চাই। তাহলে আপনাকে তারা কিছু টাকার বিনিময়ে আবেদনটি সুন্দরভাবে করে দিবে এবং আপনার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হবে। এখন আমি আশা করতে পারি যে, আপনারা যদি আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়েন তাহলে বুঝে গেছেন। কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে লোনের আবেদন করতে হয়, এবং অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে লোনের আবেদন করতে হয়।
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়
আমরা অনেকেই জানি না, যে কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়, আবার অনেকেই জানি, কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়। তবে আমি বলব, যারা শহরে বসবাস করেন তারা হয়তো জানেন? কিন্তু গ্রাম অঞ্চলের যারা বসবাস করেন তারা কিছুই জানেন না, যে কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা মনে করেন, শুধু প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকেই প্রবাসে যাওয়ার জন্য লোন দেয়। তাদেরকে আমি বলব আপনাদের ধারণা একদম
ভুল, বাংলাদেশে প্রায় সকল ব্যাংকেই ২০২৫ সালে এসে, প্রবাসে যাওয়ার জন্য লোন দিয়ে থাকে। এখন আপনাদের সুবিধার্থে আপনারা নিচে এক পলক দিয়ে দেখে নিন যে বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক প্রবাসে যাওয়ার জন্য লোন দিয়ে থাকে।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- পূবালী ব্যাংক ও
- এনআরবি ব্যাংক
- এনআরবি ব্যাংকের আরো একটি শাখা আছে গ্লোবাল ব্যাংক
আপনারা উপরে যে ৬টি ব্যাংক এর নাম দেখতে পাচ্ছেন, সেই সকল ব্যাংকই প্রবাসে যাওয়ার জন্য লোন দিয়ে থাকে। এবং আমর জানা মতে এই ব্যাংক গুলো অনেক আগে থেকেই প্রবাসী লোন দেয়া শুরু করেছে। এখানকার ৬টি ব্যাংক এর মধ্যে শুধু এনআরবি
ব্যাংকের দ্বিতীয় শাখাটি অল্প কিছুদিন আগে প্রবাসী লোন দেয়া
শুরু করেছে। কিন্তু উপরে আরো যে সকল ব্যাংকগুলো আছে এই ব্যাংক গুলো অনেক আগে থেকেই প্রবাসী
লোন দিয়ে আসছে। তাহলে এখন বুঝতে পেরেছেন, যে প্রবাসে যাওয়ার জন্য কোন কোন
ব্যাংক থেকে লোন নেয়া যাবে, ও বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পরিষদের নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলেটি পড়ে ইতিমধ্যে জেনেছি, কোন কোন ব্যাংক প্রবাসে যাওয়ার জন্য লোন দিয়ে থাকে। আরো জেনেছি
প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায়। আবার অনেকেই প্রশ্ন করেছে, ভাই প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক লোন পরিষদের নিয়মটা যদি বলতেন। তাই বিশেষ করে যারা মন্ততব্য করেছেন, তাদের সুবিধার জন্য, আমি এই সেকশনে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলেছি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন কিভাবে পরিষদ করতে হবে। এখন আপনি যদি প্রবাসে যাওয়ার কিছু দিন আগে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনি প্রবাসে গিয়ে কাজ
করে সেই লোনটি পরিশোধ করতে পারবেন। বিষয়় হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলতে ভুলে গেছি, আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিদেশে যান, তাহলে তাদের শর্তের মধ্যে বলা আছে, আপনি বিদেশ থেকে যে টাকাটি বাংলাদেশে পাঠাবেন। সেই টাকা গুলো তাদের ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। কারণ আপনি যদি তাদের ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠান তাহলে তারা আপনার ঋণের টাকাটি, সেখান থেকে তাহলে তারা আপনার ঋণের, নির্ধারিত যে এমাউন্ট প্রতিমাসে দেয়া় লাগতো, সেই টাকাটি কেটে রেখে, বাকি টাকা গুলো অবশিষ্ট থাকবে। সেই টাকা আপনার ফ্যামিলি তখন চাইবে তখনই তুলতে পারবে।
এখন বিষয় হল প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিলে সেই লোনটি পরিশোধ করার একটি মেয়াদ থাকে এবং আমি বলতে পারব যে আপনারা যখন প্রবাসী লোন নিয়েছেন, তখনই আপনাদেরকে তারা বলে দিয়েছে যে আপনার এই লোনটির মেয়াদ এত বছর। এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই লোনটি পরিশোধ করতে হবে। এখন কথা হতে পারে যে ভাই কত বছর মেয়াদ থাকে। তাই আপনাদেরকে আমি বলব আপনার লোনের ধরন, এবং কত টাকা লোন নিয়েছেন সেটির উপর ডিপেন্ড করে আপনার লোনের মেয়াদ হবে। আবার এমনও
লোন আছে যে, লোন গুলো পরিষদের সময় ১০ বছর হয়ে থাকে, আবার এমন অনেক লোন আছে, যেগুলো দুই বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এখন আপনি কি ধরনের লোন
নিয়েছেন, ও কোন কোন শর্তগুলো মেনে লোন নিয়েছেন, সেই লোনের উপর ডিপেন্ড করে আপনার লোনটি পরিশোধ করার মেয়াদ হবে। সেই লোনের ধরন হিসেব করে আপনাকে তারা পরিশোধ করার নির্ধারিত একটি সময় দিবে। এখন আশা
করবো আপনারা বুঝতে পেরেছেন, কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন পরিশোধ
করতে হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়? এই সম্পর্কে প্রায় মানুষই জানেন না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে, প্রবাসে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নিতে পারবে, সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। এবং এই আর্টিকেলে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিব। প্রবাসে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নিতে
পারবে। কিংবা প্রবাসী কল্যাণ সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দিয়ে থাকে। প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসে যাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে। তবে আপনিও যে ১০ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন, এমন কোন শর্ত নেই। আপনি ওই দেশে গিয়ে কি ধরনের কাজ করবেন ও কত টাকা আয় হবে তার উপরে ডিপেন্ড করবে। প্রবাসে যাওয়ার জন্য, আপনি কত টাকা লোন পাবেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রথম অবস্থা। এখন আপনাকে বুঝাই বলি, সাপোজ আপনার আয় ১০ টাকা এবং আপনি লোন নিতে চাচ্ছেন ২০ টাকা, তাহলে আপনি প্রবাসে যাওয়ার জন্য, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন না।
তাহলে এতক্ষণ আর্টিকেলটি যদি পড়ে আসেন তাহলে সুন্দরভাবে বুঝে গেছেন প্রবাসে যাওয়ার জন্য কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়। এবং তাদের কি কি শর্তগুলো আছে। আবার যে শুধু এই শর্তগুলো মানলেই আপনি লোন পাবেন সেটা ভাবলে হবে না। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আপনি কত টাকা লোন নিতে পারবেন। সহজ কথায় বুঝায় যে,আপনার আয় হয় ১০ টাকা তাহলে সেখান থেকে আপনি ৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ টাকা লোন নিতে পারবেন। এখন আপনি প্রবাসে গিয়ে, প্রতি মাসে যদি, ১
থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা আয় করেন। তাহলে আপনি চাইলে প্রতিবছরের প্রায় ১০ লক্ষ
টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। আবার আপনি যদি প্রবাসে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে
থাকেন, তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যে কোনো ব্যবসা করার জন্য ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দিবে। এবং আপনি যদি দীর্ঘ সময় প্রবাসে কাটিয়েছেন। এবং বাংলাদেশে চলে এসে
অনেকদিন কাটিয়েছেন। ও আপনি যদি পরবর্তীতে মনে করেন আমি আবারো প্রবাসে যাব, এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিবো। তখন চাইলে আপনি সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন সহজ শর্তে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ? মানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত ধরনের লোন
দিয়ে থাকে, এবং কোন লোনের জন্য কি সুবিধা দিয়ে থাকে। সেই বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে এই সেকশনে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবো। এবং আপনাদের সুবিধার্থে, স্টেপ বাই স্টেপ সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবো, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত
ধরনের লোন দিয়ে থাকে, এবং সেই লোনের প্রকারভেদ গুলো কি কি। তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত ধরনের লোন দিয়ে থাকে।
- অধিবাসন ঋণ দিয়ে থাকে
- পুনর্বাসন ঋণ দিয়ে থাকে
- বঙ্গবন্ধু অধিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ দিয়ে থাকে
- বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ দিয়ে থাকে
- নারী অভিবাসন ঋণও দিয়েথাকেকে
- নারী পুনর্বাসন ঋণ দিয়ে থাকে
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণ ঋণ ও দিয়ে থাকে
- আন্তকর্মসংস্থানমূলক ঋণ দিয়ে থাকে
আপনারা উপরে দেখে এসেছেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত ধরনের লোন দিয়ে থাকে। তারপরেও যারা জানেন না, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত ধরনের লোন দিয়ে থাকে, ও সেই লোনের প্রকারভেদ গুলো কি কি, সেগুলো জানতে হলেও আপনাকে আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়তে হবে, এবং বুঝে নিতে হবে। এখন আমি আশা করতে পারি, আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে বুঝে গেছেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এর
প্রকারভেদ সম্পর্কে। আবার আরো অনেক বিষয় আছে, যেগুলো আপনি জানেন না আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে সেগুলোও জানতে পারবেন। আবার এই আর্টিকেলটি পড়ে, আপনার যদি মনে হয়। এই আর্টিকেলের তথ্যগুলো ভুল। তাহলে আপনারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর অফিসিয়াল
ওয়েবসাইটে ঢুকেও সেই তথ্যগুলো দেখে নিতে পারবেন সঠিক না ভুল।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে
আজকের এই আর্টিকেলের এই সেকশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি কাগজপত্র লাগে। সে সকল কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে আমি এই সেকশনটিতে
সম্পূর্ণ আলোচনা করব। আরো আলোচনা করব, প্রবাসী লোন নেয়ার জন্য, প্রথম অবস্থায়
আপনার কোন কোন কাগজপত্র লাগবে। এই সেকশনটি সেই বিষয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা করব। এখন আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে দেখে নিন ও জেনে নিন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় কোন কোন কাগজপত্র গুলো লাগবে।
- আবেদনকারীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- আবেদনকারীর ৩ কপি ছবি পাসপোর্ট সাইজের
- জামিনদারের ভোটার আইডি কার্ডের কপি
- জামিনদারের ২ কপি ছবি পাসপোর্ট সাইজের
- যে ঋণ নেবে তার স্বাক্ষর
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে
-
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক একাউন্টের তিনটি চেক পাতা স্বাক্ষর সহ দিতে হবে
-
জামিনদারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর তিনটি চেক পাতা স্বাক্ষর সহ দিতে হবে
-
জামিনদারের যেকোনো ব্যাংক একাউন্টের চেক পাতা তিনটা স্বাক্ষর সহ দিলেই
হবে
-
কিন্তু আবেদনকারীর প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর চেক পাতায় দিতে হবে স্বাক্ষর সহ
তিনটা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে প্রথম অবস্থায়, যে সকল
কাগজপত্রগুলো দেয়া লাগবে। সেগুলো উপরে দেয়া আছে। অতঃপর আরো কিছু কাগজপত্র লাগবে, যেমন
উপজেলার চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর, পৌরসভার সনদপত্র। এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন থেকে প্রবাসে যাওয়ার জন্য, যে সকল কাগজপত্র গুলো তোলা যায়। সে সকল কাগজপত্র গুলো লাগবে। ও এই কাগজপত্রগুলো আপনি যখন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে যাবেন, তখন
ব্যাংকের প্রতিনিধিরা ও স্টাফরা আপনাকে আরো ভালো করে বুঝিয়ে দিবে। আরো কি কি কাগজপত্র লাগবে।
কিন্তু উপরে যে কাগজপত্র গুলা দেয়া আছে, এগুলো আপনাকে প্রথম অবস্থায় জমা দিতে হবে। তা না হলে আবেদন করা যাবে না।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন
আপনাদেরকে আমি ইতিমধ্যেই বলে এসেছি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে। উপরে সবকিছুই জেনে এসেছেন, এবং কোন লোনের জন্য কি কি প্রক্রিয়া আছে। আবার আপনি কত টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। সে বিষয়েও উপরের দিকে পড়ে এসেছেন। তাই, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নেয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে ও সবকিছুই জেনেছেন। এখন কথা হচ্ছে যে, অন্যান্য সকল ব্যাংকের মতন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন এর নিয়ম এক না। এটা ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিটা উপজেলায় থাকেনা। প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংকের শাখা প্রতিটা জেলায় ১ টা থেকে ২ টা পাবেন। এজন্যই অনেকের সমস্যা হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য আবেদন কিভাবে করব। সেক্ষেত্রে আপনি যেটি করবেন। অনলাইনে কাজ করে, এমন দোকানে গিয়ে যদি আপনি বলেন। আমি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে চাই। তাহলে তারা আপনাকে ফরমটি বের করে দিবে এবং কিছু টাকা নিবে।
আবার আপনি চাইলে পৌরসভা
অথবা ইউনিয়ন থেকেও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য ফরমটি সংগ্রহ করতে পারবেন। এখন আপনি সহজ উপায়ে নির্ভুলভাবে সেই আবেদন ফরমটি কিভাবে পূরণ করবেন। যে কোন কম্পিউটারের দোকানে কিংবা অনলাইনে কাজ করা হয় এমন কোন
কম্পিউটারের দোকান গিয়ে। আপনি খুব সহজে ও নির্ভুল ভাবে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নেওয়ার
ফর্মটি তাইলে তাদের থেকে পূরণ করে নিতে পারবেন। এটা করলে আপনার কিছু টাকা খরচ হবে। কিন্তু লোন নেয়ার জন্য আবেদনটি নির্ভুলভাবে হবে। এবং সেই লোনটি পাওয়ার ১০০% এর মধ্যে থেকে ৮০% চান্স থাকবে লোনটি পাওয়ার। আবার আপনি চাইলে ফর্মটি ডাউনলোড করে এনে সঠিক নিয়মে ও সকল কাগজপত্র
দিয়ে পূরণ করতে পারবেন। ও সেই ফর্মটি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের
শাখায় দিতে পারবেন। চাইলে আপনি নিজেই আপনার জেলাতে থাকা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা তে
গিয়ে আবেদন ফরমটি জমা দিয়ে আসতে পারেবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোন ধরনের ঋণ কত টাকা দেয়
আপনারা শুধু জানেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিতে হয়। ও কত টাকা লোন দেয়। কিন্তু
সেই লোনের যে প্রকারভেদ গুলো সে বিষয়ে আপনি পুরোপুরি জানেন না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে, এই সেকশনে প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক কোন ধরনের লোন কত টাকা পর্যন্ত দেয়, সে সম্পর্কে অল্প কিছু বলবো। তাই নিচে সুন্দরভাবে দেখে নেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোন ধরনের লোন কত টাকা পর্যন্ত দেয়।
প্রথমে বলি: অভিবাসন ঋণ? এখন কথা হচ্ছে, অভিবাসন লোন কি আমরা অনেকেই জানিনা। অভিবাসন লোন হল আপনি প্রবাসে
যাওয়ার জন্য। প্রথম অবস্থায় যে লোন নিয়ে থাকেন সেটাকেই বলে অভিবাসন লোন বলে। আর
অভিবাসন লোন সর্বোচ্চ কত টাকা দেয়, এবং সর্বনিম্ন কত টাকা দেয় সে সম্পর্কে নিজে
দেখে নিন:
- সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন
- সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকার পেতে পারেন
দ্বিতীয়ত: পূর্ণবাসন লোন? এই লোনটা কি ধরনের এটাও অনেকেই জানি না। পূর্ণবাসন লোনটা হচ্ছে, আপনি দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাসী থেকে এসেছেন। এবং প্রবাসী থেকে দেশে এসে নিম্নে দুই
থেকে তিন বছর পরে, আপনি যে কোন ব্যবসার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। এবং আপনি সেই
ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার কাছে টাকা নাই। তখন আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে, যে লোনটি নিয়ে থাকেন সেটিকেই পূর্ণবাসন শোন বলে। এবং পূর্ণবাসন লোন সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত নিতে
পারবেন। সে সম্পর্কে নিচে দেখে নিন।
- সর্বনিম্ন ১০ লক্ষ টাকা নিতে পারবেন
- সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন
তৃতীয়ত: বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন? আমি বিশ্বাস করি এই লোনটি কি ধরনের লোন অনেকেই জানে না। এই
লোন হল আপনি প্রবাসে গিয়েছেন এবং প্রবাস থেকে বাসায় ছুটিতে এসেছেন।
এবং ছুটিতে এসে আপনি আবার যদি প্রবাসে যাওয়ার জন্য, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেন। তাহলে সেটাকে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন বলে। এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন, সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন। সে সম্পর্কে নিচে দেখে নিন।
- সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা নিতে পারবেন
- সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা নিতে পারবেন
আশা করছি এখন আপনারা সব বুঝতে গেছেন। কোন ধরনের লোন কত টাকা পর্যন্ত দেয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
আবার আরো ৫ ধরনের লোন আছে ও সেই লোনগুলো নিতে চাইলে, আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর শাখা যোগাযোগ করতে হবে, এবং তারাই আপনাকে বুঝিয়ে দিবে কিভাবে আপনি সেই লোনটি নিতে পারবেন। কিন্তু সেই ৫ ধরনের লোনগুলো নিতে হলে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আপনার ফ্যামিলি স্ট্যাটাস ও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করবে। এবং তাদের কাছে যদি ভালো লাগে, তাহলে আপনি সেই লোন নিতে পারবেন। আপনি হয়তো জানেন, যেকোনো এনজিও কিংবা
ব্যাংক প্রতিষ্ঠান যেভাবে লোন দেয়। এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আরো যে ৫ ধরনের লোন দিয়ে থাকে, সেগুলো ব্যাংক কর্মকর্তা এবং ব্যাংকের স্টাফরা যাচাই বাচাই করে দিয়ে থাকে। এখন আশা করতে পারি আপনাদের কাছে এই বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে গেছে , প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আরো যে ৫ ধরনের লোন দিয়ে থাকে সেগুলো কিভাবে নিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৫ - উপসংহার
আজকে এই আর্টিকেলে আপনারা জেনেছেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৫? সালে কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হবে। আবার একজন প্রবাসে যাওয়ার জন্য কিভাবে লোন নিবে, সে সম্পর্কে ও সবকিছুই সুন্দরভাবে জেনেছেন। আরো জেনেছেন, প্রবাস থেকে এসে কিভাবে লোন নিতে হয়, ও সেই লোন কিভাবে পরিশোধ করতে হয়। আবার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য, যে বিষয় সম্পর্কে জানতেন না এই আর্টিকেলটি পড়ে সেই বিষয় সম্পর্কে ও সুন্দরভাবে জেনেছেন। আরও আমরা জেনেছি, প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক সর্বনিম্ন কত টাকা লোন দিয়ে থাকে ও সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত লোন দেয়? আরো জেনেছি কি কি ধরনের লোন
দিয়ে থাকে। সে সকল বিষয় সম্পর্কে আজকে জেনেছি।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৫? প্রবাসী কল্যাণ যে সকল লোন দিয়ে থাকে তার মধ্যে আমার কাছে পছন্দের রং কি হচ্ছে যে প্রবাসে থাকা অবস্থায়, যে লোনটা পাওয়া যায় সেটি। কারণ এই লোনটি নিলে অনেক সুবিধা আছে আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন। মনে করেন আপনি প্রবাসে ২-৪-৫ বছর থেকে এসেছেন। এবং দেশে আরো ৩ থেকে ৪ বছর কাটিয়েছেন। ও আপনি এখন মনে করছেন, নিজে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাবো। কিন্তু আপনার কাছে সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করানোর মতন টাকা নেই। তখন আপনি চাইলে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। এবং সর্বোচ্চ ৫০
লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। এবং এই লোনটি পরিশোধ করার মেয়াদও অনেক বেশি পাবেন। মানে আপনি সেই লোনটি পরিশোধ করার জন্য, সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সময় পাবেন। আবার আপনি যদি ১০ বছরের মধ্যেও সেই লোনটি পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে ও কোন সমস্যা নেই আপনি চাইলে আরো ১-২ বছর বাড়িয়ে নিতে পারবেন, অল্প কিছু টাকা লাভ বেশি দিয়ে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url