কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম - বিদ্যুৎ বিলের হিসাব ২০২৫
আজকে আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে, আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিল কত টাকা আসছে নিজেই হিসাব করতে পারবেন। আবার আপনি এই মাসে কতটুকু বিদ্যুৎ খরচ করেছেন এবং আপনার বিদ্যুৎ বিল কম আসছে না, বেশি আসছে সেটিও বুঝতে পারবেন। আবার একটি সাধারণ বাসা বাড়িতে প্রতিদিন কি পরিমাপ বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে, সেটিও বের করতে পারবেন খুব সহজে।
তো দেরি না করে কিভাবে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করতে হয়। সে বিষয়ে জেনে নিন। এখন কথা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার আগে আমাদের কিছু বিষয় জেনে রাখতে
হবে। তা না হলে আপনার বাসাতে কত টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে সেটা আপনি নিজে বের করতে পারবেন না। আপনি যতটুকু বিদ্যুৎ ফুরিয়েছেন সে অনুযায়ী আপনার কি বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে কিনা কম এসেছে সেটা চেক করতে পারবেন না।
তো যেগুলো আপনাকে জানতে হবে সেগুলোর নিচে সুন্দরভাবে দেয়া আছে দেখে বুঝে নিন:
1 kwh হলো = 1 unit ( kwh হল কিলো ওয়াটা আর আওয়ার )
আমরা জানি যে, 1 hp = 746 ওয়াট
আবার আপনার বাড়িতে য়দি ফ্রিজ কিংবা এসি চলে তাহলে ওটার উপর ডিপেন্ড করবে, যে আপনার ভোল্টেজটা কত।
মোস্ট ইম্পর্টেন্ট এখানে একটু দেখে নেন যে সিঙ্গেল ফিউজের ওয়েট কিভাবে বের করতে হবে। সেটা এখানে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়ে আসে বুঝে নিন।
Power. P. =Vicos¢. এটা শুধু। (Single Phase) এর জন্য।
Power. P. =Vicos¢. এটা শুধু। (Three Phase) এর জন্য।
পেজ সূচিপত্র: কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
- কিভাবে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করবেন
- আমরা লোড হিসাব যেভাবে করব
- একটি সাধারণ বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব
- এবার আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো কারেন্ট বিল কিভাবে বের করতে হয়
- এক ইউনিট = কত ওয়েট জেনে নিন
- বাসা বাড়িতে কত ইউনিট খরচ করলে ইউনিটের রেট কেমন হবে
- বিদ্যুৎ বিল কেন বেশি আসে সে সম্পর্কে জেনে নিন
- বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
- মিটারে যে সকল কাজগুলো করতে হয়
- লেখকের শেষ কথা বা মন্তব্য
কিভাবে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করবেন
আপনি যদি আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিল নিজে হিসাব করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যেমন
আপনারা আপনাদের বাসা বাড়িতে কি ধরনের ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবহার করেন ও সেই ইলেকট্র্রিক পণ্য গুলোর ওয়ার্ড কত সেগুলো আগে জানতে হবে। ও কোন মিটারের সার্ভিস কেমন দিবে সেটাও জানা খুবই দরকার।অনেক মিটার আছে নানা ধরনের সব চার্জ
কাটে। তাই এ সকল বিষয়গুলো ভালো করে জানতে হবে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক আপনার বাসা
বাড়িতে কি কি ধরনের ইলেকট্রিক পণ্য চলে ও সেই জিনিস গুলার ওয়াট কত সেগুলো ভালো করে জেনে
নিই। ও মিটার যে সকল ভেট ও ডিমান চার্জ দেয়া লাগে সেগুলো জেনে নি।
আমরা জানি যে, নেট বিলের সঙ্গে এনার্জি বিল ও মিটার বিল এগুলো অ্যাড হয়।
- নেট বিল = এনার্জি বিল + মিটার বিল
- এনার্জি বিল হলো = আমরা এক মাসের যে পরিমাপ খরচ করি (kwh)
- আবার, মিটার বিল = ডিমান্ড চার্জ + সার্ভিস চার্জ
- ডিমান্ড চার্জ হল = প্রতি কিলোওয়াটে ১৫ টাকা
- সার্ভিস চার্জ = সিঙ্গেল ফিউজের জন্য ১০ টাকা ও থ্রি ফিউজের জন্য ৩০ টাকা
- ভ্যাট = নেট বিল এর সাথে ৫ % যোগ করা লাগবে। (বাধ্যতা মুলোক এটা সরকার নেয়।)
আবার আপনার বিল দেওয়ার ডেট পার হয়ে গেলে কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ
না করলে আপনার মোট বিলের সঙ্গে ৫ % যোগ করতে হবে।
এখন আমরা বাসা বাড়িতে যে সকল ইলেকট্রিক পণ্য কিংবা ইলেকট্রিক জিনিস ব্যবহার করি সেগুলোর ওয়ার্ড হল:
- লাইটের জন্য ১০ থেকে ২০০ ওয়াট
- ফ্যানের জন্য ৪০ থেকে ৮০ ওয়াট
- টেলিভিশনের জন্য ৩০ থেকে ১২০ ওয়াট
- ল্যাপটপ কিংবা ডেক্সটপ এর জন্য ২০ থেকে ২৫০ ওয়াট
- ফ্রিজের জন্য ৩০ থেকে ২৫০ ওয়াট
- যদি এসি থেকে থাকে ১২০০ থেকে ৩০০০ ওয়াট
- পানির পাম্প কিংবা মোটার যদি থাকে এক ১/৮ থেকে ৩ হর্স পাওয়ার পর্যন্ত
- আরো নানা ধরনের ইলেকট্রিকের রান্নার আরো অন্যান্য ধরনের জিনিস আছে।
- আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালের সেরা ১০ টি দেশ
এখন আমি ধরে নিতে পারি যে আমার বাসাতে এগুলা আছে। এখন কথা হচ্ছে যে এই সকল জিনিসগুলো যে আপনার বাসাতেও থাকবে এটা কোন কথা নাই এটা আমি আমার বাসা নিয়ে আপনাদের বুঝাচ্ছি। এগুলা দিয়েছি
শুধু আপনাদের বোঝানোর স্বার্থে কিংবা সাধারণ একটি ধারণা দেবার জন্য বলছি ও আপনার বিলের হিসাব ঠিক আছে কিনা সেটি দেখার জন্য। আবার,
সাধারণত আমরা লোডের হিসাব যেভাবে করি, সে বিষয়ে উপরে হয়তো জেনেছি তারপরও আবার একটু ভালো
করে জেনে নিই।
উপরে আমরা কোনো এক জায়গায় দেখেছিলাম যে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য আমরা
নেট বিল = এনার্জি বিল + মিটার বিল
এগুলো যোগ, বিয়োগ,গুন,ভাগ করেই বের করতে পারবেন যদি আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন।
এখন এখানে এনার্জি বিল জানার জন্য আমাদের প্রথমত জানতে হবে যে আমরা এক মাসে যত
ইউনিট ব্যবহার করেছি। ও জানতে হবে প্রতি ইউনিট এর মূল্য কত তাহলে আমাদের কাজ
১০০% কাজের ৭০% কাজ কমপ্লিট হয়ে যাবে। তো আমাদের যদি এক মাসের ইউনিটের পরিমাপ জানতে হয়
তাহলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে এক মাসে অথবা আমাদের বসতবাড়িতে আমরা কি ধরনের ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবহার করি এবং সেগুলো লোড কেমন সেগুলো জানতে হবে আগে। তাহলে আপনার 100% কাজের মধ্যে আরও ৪০% কাজ কমপ্লিট হয়ে যাবে। তো চলুন
সেই লোডগুলোর ওয়েট হিসাব কিভাবে করে সে বিষয়ে জেনে নিই। ও আমরা আমাদের বাসাতে কি কি ইলেকট্রিক জিনিস ব্যবহার করে
থাকি।
আমরা লোডের হিসাব যেভাবে করব
- এখন যদি লোড ওয়েট দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে আমরা W এর মান যত দেয়া থাকবে তত দিয়ে আমরা নির্ণয় করব।
- যদি নেট ও কারেন্ট এবং ভোল্টেজ এর মান দেওয়া থাকে তাহলে আমরা পাওয়ারের সূত্র দিয়ে বের করতে পারব। তবে পাওয়ার এর সূত্র শুরুতে আমাদের ইনভার্ট কমা দেয়া লাগবে। তা না হলে বের করতে পারবেন না অনেক কষ্ট হবে।
- আবার হস পাওয়ারের কোন সূত্র দেয়া থাকে তাহলে সেটাকে আমরা ৭৭৬ দিয়ে গুন করে W এর মান বের করব। এতে আপনার আরো ১০% কমে যাবে।
- আবার আমরা জানি যে, W কে KH নিতে হবে অর্থাৎ আমরা W কে ১০০০ দিয়ে ভাগ করবো ও কিলোওয়াট বের করে নেব প্রথমে তারপরে আমরা ওয়েটকে ১০০০ দ্বারা ভাগ করবো তাহলে আমাদের যে ভাগফলটি আসবে সেটাই আমাদের কিলোওয়া।
- আবার এখানে KH কে আমরা (ঘন্টা) দিয়ে গুন করবো ও গুন করে যে গুন ফলটা আসবে সেটাই আমাদের ইউনিট। কিংবা আমরা শট কথাই বলতে পারি সেটাই আমাদের (ইউনিট)।
একটি সাধারণ বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব
এখানে আমরা হিসাব করব একটি সাধারন বাসা বাড়িতে যে সকল বিদ্যুতের জিনিস
ব্যবহার করা হয়। সে সকল জিনিসের ওয়েট কেমন সেগুলো আগে ভালোভাবে জেনে নেব। এখন এখানে
আমাদের একটু ভালো করে মনোযোগ দিয়ে বুঝেনিতে হবে। এবং একটি সাধারণ বসতবাড়িরতে কেমন বিদ্যুৎ বিল আসে সেটি হিসাব করবো। তার আগে আপনাকে জানতে হবে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য, ইউনিট পার আওয়ার সকল বিষয়ে উপরে আপনাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই বলে এসেছি উপরের দিকে। সেগুলো সুন্দরভাবে জেনে নিন ও আমি অনুরোধ করব আপনি এই সেকশনটি সুন্দরভাবে পরবেন এবং একটি সাধারণ বাসা বাড়িতে কেমন বিদ্যুৎ বিলা আসে সেটি নিজেই হিসাব করে পারবেন। মাত্র ৫ মিনিটেই
আবার আমরা উদাহরণস্বরূপ দেখব একটি বাসা বাড়িতে যে সকল জিনিস ব্যবহৃত হয় : সাধারণত
একটি বাসা বাড়িতে যদি ৮০ ওয়াটের দুইটি ফ্যান চলে, ৫০ ওয়াটের তিনটি লাইট,
(২০০V,০.4A 08pf ) এবং ২ hp এর একটি পানি তোলার মোটর দৈনিক যদি পাঁচ থেকে ছয়
ঘন্টা চলে তাহলে মে মাসের বিদ্যুৎ বিল কত টাকা আসতে পারে। সেটি আমরা খুব সহজে এখন বের করে দেখব। আবার আমরা জানি বিদ্যুৎ এর প্রতি
ইউনিটের বর্তমান মূল্য ৭ টাকা করে। ২০২৫ সালের বিদ্যুৎ বিভাগের শেষ আপডেট অনুযায়ী
তো চলেন এখন আমরা সমাধান করে দেখব বিষয় টি সত্য নাকি মিথ্যে:
৮০ ওয়াটের দুইটি ফ্যান একদিনে যে পরিমাপ ওয়াট খরচ করবে
( ৮০ * ২= ১৬০ ) W
৫০ ওয়াটের তিনটি লাইট যে পরিমাপ ওয়াট খরচ করবে
( ৫০ * ৩= ১৫০ ) W
একটি টেলিভিশন প্রতিদিন যে পরিমাপ ওয়াট খরচ করবে
(২০০ * ০.৪ * ০.৮ = ৬৪ ) W
২ hp একটি মোটর প্রতিদিন যে পরিমাপ ওয়াট খরচ করবে
( ২ * ৭৪৬ = ১৪৯২ ) W
এখন আমাদের বাসা বাড়িতে একদিনের যে পরিমাপ ওয়েট খরচ হয়। সেগুলো এখন আমরা সবগুলো
একসাথে যোগ করবো ও দেখব। যে একদিনে বসতবাড়িতে কত ওয়েট বিদ্যুৎ খরচ করে থাকি সে ওয়েটটা।
এখন আমরা সবগুলো যোগ করে দেখি পাই:
( ১৬০ + ১৫০ + ৬৪ + ১৪৯২ = ১৮৬৬ ) W
আমরা তাহলে যোগ করে পেলাম যে আমাদের সাধারণ একটি বসতবাড়িতে আমরা একদিনে কত ওয়েট বিদ্যুৎ খরচ করে থাকি। এখনই কিন্তু শেষ না আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন তাহলে সবকিছু সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন।
- আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালের সেরা কিছু নাটক
আমরা কিন্তু ইতিমধ্যে উপরে জেনে এসেছি যে ওয়েটকে আমরা যদি ১০০০ দ্বারা ভাগ করি তাহলে
আমরা (Kh) পেয়ে যাব। এখন আমি ওয়েটকে ১০০০ দিয়ে ভাগ করে যেটা পেয়েছি।
( ১৮৬৬/১০০০ = ১.৮৬৬ ) KH
আমরা উপরে যে ভাগফল সুন্দর যে ওয়েট টি পেয়েছি এটি কিন্তু আমাদের সারাদিন চলবে না, এটাকে
আমরা যদি গড়ে হিসাব করি তাহলে সারাদিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা চালাতে পারবো। এখন যদি
সারাদিনে ৫ ঘন্টা চলে তাহলে আমাদের একদিনের ইউনিট যেটা আসবে সেটি হলো।
( ১.৮৬৬ * ৫ = ৯.৩৩ ) KWH
আমাদের প্রতিদিন যে ইউনিটটা খরচ হয় সেটা আমরা বের করতে পেরেছি। ও বিদ্যুৎ বিল হিসেবে আপনার ১০০% এর মধ্যে ৬০% কাজ হয়ে গেছে। তো এবার আমরা আমাদের গোটা মাসে কত ইউনিট খরচ হয়েছে ও কত টাকা বিল আসছে সেটা
আমরা এবার খুব সহজে বের করতে পারবো। তো চলুন দেরি না করে জেনে নিই যে এপ্রিল মাস কতদিনে হয় ও
এপ্রিল মাসে আমাদের কত টাকা বিল আসবে।
( ৯.৩৩ * ৩০ = ২৭৯.৯ ) Kwh ( ইউনিট )
এখন এখনে যে কাজ করা লাগবে সেই কাজের বিষয়ে আপনাদেরকে আমি উপরকার সেকশনে বলে এসেছি। তাই এখানে খুব বেশি একটা সময় লাগবে না। নিজের বাসার বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করতে না। এখান বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য আমাদের প্রথমে এক ইউনিট এর মূল্য কত টাকা এটি জানতে হবে। আমরা তো আগেই যেনেছি প্রতি ইউনিটের মূল্য ৭ টাকা করে। এখন আমরা খুব সহজে বিদ্যুৎ বিল কত টাকা আসছে বের
করে ফেলতে পারবো। আমাদের এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল কত টাকা এসেছে। এখন এটাকে গুণ করে যে গুণফল টি আসবে সেটা আমাদের এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল।
( ২৭৯.৯ * ৭ = ১৯৫৯.৩ ) টাকা
এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন আপনাদের সামনেই আমি একটি সাধারণ বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিল হিসাব করে দেখিয়েছি। এখন এটা আমরা খুব সহজে বের করে নিলাম। আবার আপনাদের যদি এতটুকু পর্যন্ত বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই আমি নিচে আপনাদের আরো সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেব তো নিচের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে খুব সহজে বুঝে যাবেন এবং আপনি নিজেই আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিল কত টাকা আসছে বিলের কাগজ না আসার আগেই বের করতে পারবেন।
এবার আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো কারেন্টের বিল কিভাবে বের করতে হয়
আমরা ইতিমধ্যে জেনে এসেছি যে বিদ্যুৎ বিল কিভাবে বের করতে হয়। তো ওখানে আমরা
জেনেছি যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ, করে বিদ্যুৎ বিল কিভাবে হিসাব করে বের করতে হয়। এখন আমরা এখানে আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো যে কিভাবে আপনার, আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিল কত টাকা আসছে আর্টিকেলের মাধ্যমে কিভাবে বের করতে হবে। প্রথমত আপনাকে বলি যে আপনি যদি আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করতে চান তাহলে আপনাকে এই আর্টিকেলের প্রতিটি ওয়ার্ড মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তা না হলে আপনার বাসায় বিদ্যুৎ বিল এই মাসে কত টাকা আসছে আপনি বের করতে পারবেন না। তো চলুন এখন আর দেরি না করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ি ও জেনে নিই আর্টিকেলের মাধ্যমে
কিভাবে আপনার, আমার বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করা যায়।
আবার আমরা উপরে হয়তো কোনো এক জায়গায় দেখে এসেছি যে আমাদের বিদ্যুৎ বিল বের করার জন্য কিছু শর্ত মেনে
বিদ্যুৎ বিল বের করতে হয়। তো আমরা ইতিমধ্য উপরে সেই শর্তগুলা দেখতে পাচ্ছি এবং সেই
শর্ত অনুযায়ী আমরা যদি বিদ্যুৎ বিল বের করি তাহলে খুব সহজে আমরা জেনে যাব যে
একটি সাধারন বাসা বাড়িতে দিনে কত টাকার বিদ্যুৎ ফুরায় ও একমাসে সে কত টাকা
বিদ্যুৎ খরচ করে। তো এখানে Khw এটা হল ইউনিট কিংবা কিলোওয়াট আবার আওয়ার নামে পরিচিত। এখন আমরা জানি যে সিঙ্গেল ফিউজ এর জন্য কত টাকা কাটে ও 3 ফিউজের জন্য কত টাকা কাটে। আবার এটাকে বোঝানো হয় P দিয়ে যেটাকে আমরা পাওয়ার বলি।
আমরা উপরে জেনে এসেছি ও দেখেও এসেছি যে বাসা বাড়িতে যে সকল জিনিস ব্যবহৃত হয়। কোনটার
পাওয়ার কত ও কোনটার ওয়েট কত ওগুলা আমারা উপরে জেনে এসেছে তারপরেও আপনাদের সুবিধার্থে আবার বলে দিচ্ছি আপনার বাসা বাড়িতে যে সকল জিনিস ব্যবহার করেন। সে সকল জিনিসের ওয়েট অনুযায়ী
আপনার বাসা বাড়ির বিল এর হিসাব করা হয় ও সরকারি কিছু ভ্যাট ও চার্জ দিয়ে আপনার বিলের সঙ্গে
যোগ করে। ও পুরো মাসের বিল কত টাকা আসছে সেটা তৈরি করে। এখন আপনারা তো জানেন যে সরকারি ভ্যাট চার্জ ও মিটার
চার্জ কত টাকা। এখন আমরা নিচে লক্ষ্য করি ও আর্টিকেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব বের করার নিয়ম সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নেব।
এক ইউনিট = কত ওয়েট জেনে নিন
এইসেকশনে আমরা জানবো যে এক ইউনিট সমান কত ওয়েট । এখানে একটি কথা বলি ইতি জানা খুবই দরকার নিজের বাসার বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করতে হলে এটি যারা লাগবেই তা না হলে আপনি হিসাব করতে পারবেন না আপনার বিদ্যুৎ বিল কত টাকা আসছে। আমারা মানি এক ইউনিট সমান কত ওয়েট এটা যদি আপনারা না জেনে থাকেন তাহলে আমরা আমাদের বাসা বাড়ির
বিদ্যুৎ বিল কোনদিনই সঠিকভাবে হিসাব করতে পারব না। তাই আমি আপনাদের সুবিধার্থে এই সেকশনে বলে দিব। এক
ইউনিট সমান কত ওয়েট ও সে সম্পর্কে আলোচনা করব। তো চলুন মনোযোগ দিয়ে বুঝেনি ১ ইউনিট সমান কত ওয়েট।
এখানে আমরা বেসিক কিছু ইনফরমেশন ও নিয়ম জানবো এবং সেই নিয়ম টি আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারবেন। এক ইউনিট সমান কত ওয়েট তো চলুন সেই বেসিক সংজ্ঞা টুকু জেনে নিই:
সাধারণত আমরা জানি বাংলাদেশ সরকারের ভ্যাট চার্জ ও ইউনিট চার্জ অনুযায়ী একটা সাধারণ বাসা বাড়িতে যদি ১০০০ ওয়েটের একটি এসি এক ঘন্টা চলে তাহলে ওই বিল্ডিংয়ে
শুধু এসি থেকে এক ইউনিট বিল উঠবে। এটা শুধু যেই বাসাতে এসি চলে সেই বাসার জন্য। ও একটি সাধারণ বসতবাড়ির জন্য ঠিক এভাবে বের করতে হবে। তবে একটি সাধারন বসতবাড়িতে এত টাকা বিদ্যুৎ বিল আসবে না এটা সবাই জানেন। তাহলে আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন যে যদি এসি ১০০০ ওয়াটের হয় তাহলে শুধু এসি থেকে
এক ইউনিট বিল উঠবে। আবার ১০০০ ওয়াটের এসি চালালে এটার সরকারকে আলাদা করে ভ্যাট চার্জ ডিমান্ড চার্জ দিতে হয়। ও ১০০০ ওয়েটের এসি কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রিক পন্য চালালে আপনাকে সরকারকে এক্সট্রা ভ্যাট ও ডিমান্ড চার্জ দিতেই হবে। এটা বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম।
- আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালের সেরা ১০ ইনকাম এর উপায়
আবার আপনি যদি আপনার বাসা বাড়িতে ৫০০ ওয়েটের ফ্রিজ 2 ঘন্টা চালান তাহলে এক
ইউনিট বিল উঠবে। এখানেও সেম শুধু আপনার ফ্রিজের জন্যই যদি দুই ঘন্টা চালান
৫০০ ওয়াটের একটি ফ্রিজ আপনার সেই ফ্রিজের বিল ১ ইউনিট উঠবে আমরা বলতে পারি। আবার আমরা জানি একটা বাসা বাড়িতে
কিন্তু নানান ধরনের ইলেকট্রিক জিনিস থাকে ও সেগুলো ব্যবহার হয়। এখন তাহলে আপনি বুঝবেন যে এক ঘন্টা তে আপনার বিদ্যুৎ বিল ৩ থেকে
৪ ইউনিট উঠবে। তাহলে এক মাসে আপনার বাসা বাড়িতে কত ইউনিট বিল উঠতে পারে। এখন আপনি নিজেই বের করতে পারবেন ও আমি আশা করব বুঝতে পেরেছেন যে আপনার বাসা বাড়িতে যত টাকা বিল আসে কিংবা গত মাসে এসেছে সেটি সঠিক কিনা।
বাসা বাড়িতে কত ইউনিট খরচ করলে ইউনিটের রেট কেমন হবে:
এই সেকশনে আমরা জানবো যে আমরা একটি সাধারণ বাসা বাড়িতে কত ইউনিট খরচ করলে সেই
ইউনিটের রেট কত হবে। কারণ আমরা জানি যে আমরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করব সেটির ইউনিট হিসাব করে কিন্তু আমাদের ইউনিটের রেট ধরা হয়ে থাকে। যদি আমরা খুব বেশি ইউনিট ফুরিয়ে থাকি তাহলে আমাদের বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে এবং আমরা যদি খুব কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের বিদ্যুৎ বিলের রেট একটু কম হবে। আবার আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে আমাদের বাসা বাড়ির জন্য একটি
নিয়ম ও রুলস আছে এই নিয়মের ঊর্ধ্বে যদি আমরা বেশি বিদ্যুৎ খরচ করেন তাহলে
আপনাদের ইউনিট চার্জ একটু বেশি হয়ে যাবে। কত ইউনিট ব্যবহার করলে কত টাকা করে এক ইউনিটের রেট ধরা হয় সেটি এখন জেনে নেয়া যাক সুন্দরভাবে ও বুঝে নেয়া যায়।
আবার আমরা সবাই মনে করি যে এক ইউনিট ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা কিন্তু এটা
সম্পূর্ণ ভুল। এখন আপনার মনে করতে পারেন আপনি তো বললেন উপরে প্রতি ইউনিট ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা। আবার এখন বলছেন ওইটা ভুল। তখন আপনারা সেটি যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ করে বের করেছিলাম এজন্য তখন ইউনিটের রেট ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা ছিল। এখন এটি আপনার আর্টিকেলের মাধ্যমে বের করা হয়েছে এর জন্য দুইটি আলাদা। তো এখন আমরা যদি একটি সাধারণত বাসা বাড়িতে ১ থেকে ৭৫ ইউনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ খরচ
করে থাকে তাহলে আমাদের ওই ইউনিটের রেট গড় হিসাব করলে দাঁড়াবে ৩.৮০ টাকা। এর সাথে
সরকারের ভ্যাট চার্জ ও অন্যান্য সকল চার্জ যোগ হবে।
আবার যদি আপনি একটি সাধারণ বসতবাড়িরতে ৭৫ থেকে ২০০ ইউনিটের মধ্যে খরচ করেন তাহলে আপনার এই মাসের ইউনিটের রেট
হবে ৫.১৪ পয়সা করে। এর সাথে সরকারের ভ্যাট চার্জ ও অন্যান্য সকল চার্জ যোগ হবে।
আবার আপনি যদি ২০০ থেকে ৩০০ ইউনিটের ভেতর বিদ্যুৎ খরচ করেন একটি সাধারণ বসতবাড়িরতে তাহলে ওই মাসের বিদ্যুতের বিলের ইউনিটের রেট আসবে
৫.৩৬ পয়সা। এখন এখানে সবার প্রশ্ন থাকতে পারে যে যত বিদ্যুৎ খরচ করব তত বেশি রেট এসে দাঁড়াবে ১ ইউনিটের। এটাই বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম।
আবার যদি আপনি একটি সাধারণ বসতবাড়িরতে ৩০০ থেকে ৪০০ ইউনিটের ভেতর বিদ্যুৎ খরচ করে থাকেন তাহলে আপনার ওই মাসের বিদ্যুতের ইউনিট এসে দাঁড়াবে ৫.৬৩ পয়সা। এটাই কিন্তু একটি সাধারন বাসাবাড়িতে যে বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট হয়ে থাকে।
আমরা হিসাব করে জেনেছি যে সাধারণত একটি বাসা বাড়িতে ইউনিটের যেমন রেট আসে। এখন আপনি
যদি ৩০০ থেকে ৪০০ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ খরচ করেন তাহলে আপনার ইউনিটের কেমন আসবে। এই বিষয়ে জেনে নেওয়া দরকার তাই না। তো আমি আপনাদের সুবিধার্থে নিচে সুন্দরভাবে দিয়েছি। এখন তাহলে আমরা নিচে দেখে নিই যে সরকারের নিয়মের বাইরে গিয়ে যদি ইউনিট কিংবা বিদ্যুৎ বেশি ফুরায় তাহলে
ইউনিটের রেট কেমন হবে।
এখন আপনি যদি 400 থেকে 600 ইউনিট একটি সাধারণ বছর বাড়িতে খরচ করে থাকেন কিংবা আপনার এক মাসে যদি 400 থেকে 600
ইউনিটের বেশি কিংবা 600 ইউনিটের মধ্যে খরচ হয়। তাহলে আপনার ওই মাসের ইউনিটের রেট এসে দাঁড়াবে ৮.৭০ পয়সা করে। এখন তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ৪০০ থেকে ৬০০ ইউনিটের বেশি কিংবা এর মধ্যে খরচ করি তাহলে ইউনিটের রেট কত টাকা এসে দাঁড়াবে।
এখন আপনি যদি একটি সাধারণত বাসা বাড়িতে 600 ইউনিটের উর্ধ্বে খরচ করে থাকেন তাহলে আপনার ইউনিটের রেট এসে
দাঁড়াবে সরকারের রেট অনুযায়ী ৯.৯৮ পয়সা। মানে দশ টাকার দুই সেন্ট কম। এখন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আপনার বাসা বাড়িতে আপনি যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করবেন সে অনুযায়ী আপনার ইউনিটের রেট ধরা হবে। আবার আপনি যদি এর থেকে অধিক ইউনিট খরচ করেন তাহলে
আপনার ইউনিটের রেট আরো বেশি ধরা হবে।
তাহলে এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন যে একটি সাধারন বাসা বাড়িতে কতো ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করলে ১ ইউনিটে কত টাকা করে সরকার চার্জ করে।
বিদ্যুৎ বিল কেন বেশি আসে সে সম্পর্কে জেনে নিন
বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার কারণ? আমাদের কিছু কিছু ভুলের জন্যও কিন্তু অনেক বেশি
পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল চলে আসে। তো আজকে আমি আপনার আমার যে সকল ভুলগুলোর জন্য বিদ্যুৎ বিল
বেশি আছে সে সকল ভুলগুলো শুধরে দিব।তো চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক যে আমাদের কি কি ভুলের কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে।
প্রথমত আমরা অনেক সময় যেকোনো জিনিস ব্যবহার করার পরে তার যে ফ্লাগ টা থাকে ওই ফ্লাগ টা
কিন্তু বিদ্যুৎ বোর্ডের সাথে কিংবা সার্কিট বোর্ডের সঙ্গে লাগিয়ে রাখি তাই আমাদের এতে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় শুধু এইটুকু ভুলের জন্য। তাই এটা করা য়াবে না। এটা করার
ফলে আপনার আমার বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি এসে থাকে। বোর্ডের সঙ্গে ফ্লাগ লাগিয়ে রাখলে আপনি কিছু করবেন না কিন্তু তা কিন্তু যে ফ্লাগটি বিদ্যুৎ বোর্ডের সঙ্গে লেগে থাকে সেটি অটোমেটিক আপনার বিদ্যুৎ অপচয় করে। এবং যতক্ষণ সেই ফ্ল্যাগটি বোর্ডের সঙ্গে লেগে থাকবে ততক্ষণ আপনার বিদ্যুৎ অপচয় হবে। তাই এটা থেকে বিরত থাকুন আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসবে।
- আরো পড়ুনঃ লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
এরপরে আপনি আপনার বাসা বাড়িতে ব্যবহারের জন্য যে সকল ইলেকট্রিক জিনিসগুলো কিনে আনেন সে সকল
জিনিসগুলো অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে এটি ব্যবহার করলে আপনার বিদ্যুৎ অপচয় কম হবে। আরেকটা বিষয় দেখে নিতে হবে যে আপনার সেই ইলেকট্রিক পণ্যটিতে বিদ্যুৎ ছাড়কিস রয়েছে কিনা। যদি সেই ইলেকট্রিক পণ্যটিতে বিদ্যুৎ সার্কিট থাকে তাহলে আপনি ওই পণ্যটি কিনবেন। আর যদি সেই ইলেকট্রিক পণ্যটিতে বিদ্যুৎ সার্কিট না থাকে তাহলে ওই ইলেকট্রিক পন্যটির কিনবেন
না। এখন কথা হচ্ছে বিদ্যুৎ সারকিট আলা জিনিস কোথায় পাব। একটি কথা বলি ইলেকট্রিক অন্য সকল জিনিসই দুই ধরনের হয়ে থাকে একটিতে ইলেকট্রিক সার্কিট থাকে এবং অন্য একটিতে ইলেকট্রিক সার্কিট থাকে না।
আবার আপনার বাসা বাড়িতে যদি অনেক আগেকার যেমন একটি ইলেকট্রিক পণ্যের বয়স প্রায় ১৫ বছর পার হয়ে গেছে সিটি লাইট কিংবা আগেকার ফ্যান হতে পারে। এবং এই সকল আগেকার ইলেকট্রিক পণ্যগুলো ব্যবহার করেন তাহলে ওগুলা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। কারণ আগেকার যে সকল ইলেকট্রিক পন্যগুলো আছে ওই
সকল ইলেকট্রিক পণ্যগুলো ব্যবহারে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যয় হয়। ও আগেকার ইলেকট্র্রিক পণ্যগুলোতে এখকার মত সার্কিট ব্যবহার করেনি তাই অনেক বেশি মাত্রায় বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই এখন যে সকল নতুন
জিনিস বাজারে উঠেছে যেমন এলইডি লাইট এলইডি ফ্যান মানে এলইডি আরো নতুন নতুন
কোম্পানি যেগুলোতে বিদ্যুৎ সার্কিট রয়েছে এ সকল কোম্পানির ইলেকট্রিক পণ্য কিনতে হবে এবং সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল আগের তুলনায় অনেকটি কম আসবে।
এখন আপনাদের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যে ভাই আমার তো আগেকার জিনিস আছে তো আমি
নতুন জিনিস আবার টাকা খরচ করে কিনব কেন। ভাই একটাই কথা যে ডিজিটাল যুগে এসে আপনি যদি
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারেন তাহলে আপনার দ্বারা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা
সম্ভব না। এখন সবাই জানে যে সব জায়গাতেই ঘাপলা ও ২ নাম্বারি চলে ও সব জায়গাতেই ২ নাম্বারি। তাই এখন আমারা সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সরকারের সাথে কিছু কিছু কোম্পানিরা চুক্তি
করেছে, যে আমাদের জিনিস ব্যবহার করলে ওদের বিল কম আসবে আবার আগেকার যুগের যেগুলা
আছে ওগুলো ব্যবহার করলে ওগুলো তো অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে। তাই আপনার বিল কমানোর জন্য
ডিজিটাল যুগের সাথে আপনাকেও তাল মিলাতে চলতে হবে তা না হলে আপনার বিদ্যুৎ বিল বেশি
আসবে।
বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
এখন এখানে বিদ্যুৎ বিল কিভাবে কমানো যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করব। তো আমরা ইতিমধ্যে উপরের সেকশনে জেনে এসেছি যে কি কি কারনে আমাদের বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। এখন এখানে আমরা
জানবো যে বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য আমাদের কি কি উপায় অবলম্বন করতে হবে। আমি আপনাদের অল্প কথাই বুঝাতে চাচ্ছি যে উপরের সেকশনটা আপনারা মনের সহকারে পড়লে এই সেকশনে আমি কি বোঝাতে চাচ্ছি আপনারা নিশ্চয়ই বুঝে যাবেন। আপনারা যদি উপরের নিয়ম অনুযায়ী আপনার বাসা বাড়িতে ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবহার করেন এবং সেগুলো ইলেকট্রিক সার্কিট থাকে এমন ইলেকট্র্রিক পণ্য ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল কম আসবেই এটি ১০০% সত্য।
আবার হ্যাঁ আপনারা যদি পারেন তাহলে আপনাদের বাসা বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার
করুন। এতে অনেক সুবিধা আছে আবার এটা ব্যবহারে আপনার বিল যদি সাপোস বিদ্যুৎ বিল মাসে ২০০০ টাকা আছে, তাহলে আপনি সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে আপনার মাসে ১২০০
থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে চলে হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুতের মতন সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তবে আপনি চাইলে এটি ব্যাকআপ হিসেবে রাখতে পারেন আপনার বাসাতে। এতে আপনার বিদ্যুৎ সংযোগ যদি দু'একদিন নাও থাকে তাহলে আপনি সেই সৌর বিদ্যুৎ চালিয়েও আপনার বাসার কাজগুলো করতে পারবেন। তাহলে এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপকার আছে কিনা সেটি বুঝে গেছে। আবার হ্যাঁ সবচেয়ে বেশি উপকার বিদ্যুৎ থেকে হলো না সৌর বিদ্যুৎ থেকে হলো। আবার আপনি চাইলে আপনার বাসাতে যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে
আপনার সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে আপনি আপনার বাসার সচরাচর সব কাজগুলো করতে পারবেন। শুধু
যেগুলা ওয়েট বেশি টানে যেমন এসি ফ্রিজ ওগুলা বাদ দিয়ে সবগুলোই ব্যবহার করতে পারবেন।
তাহলে এখন বুঝতে পারছেন যে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপকার কি। সৌর বিদ্যুৎ
ব্যবহার করলে আপনার বাসাতে যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে আপনার বাসার লাইট ফ্যান ও ফ্রিজ সবগুলাই চলবে টিভিও চলবে শুধু চলবে না আপনার বাসাতে যদি এসি থাকে এসিটা
চলবে না। আবার এসির মত ইলেকট্রিক পণ্য যেগুলোতে অনেক পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে কিংবা যেগুলো ব্যবহার করতে অনেক বেশি ওয়েট খরচ হয় সেগুলো চলবে না। আবার সৌর বিদ্যুৎ
ব্যবহারের ফলে আপনার বিলের হারও কমে যাবে।
মিটারে যে সকল কাজগুলো করতে হয়
আপনার বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ বেশি আসার কারণের মধ্যে মিটারের উৎস কিন্তু থাকে। আপনার এই
মিটারে যদি কোন সমস্যা থাকে তাও কিন্তু আপনার বাসা বাড়িতে বিল বেশি আসবে। সুন্দরভাবে দেখে নিন কিভাবে আপনি আপনার মিটার পরীক্ষা করবেন ও আপনার মিটারের সমস্যা আছে কিনা
সেটি আপনি নিজেই চেক করে দেখবেন।
এখন কথা হচ্ছে যে মিটার কিভাবে চেক করব। একজন সাধারণ মানুষ জানি না কিভাবে মেটাচ্ছে করতে হয় এটা স্বাভাবিক। যদি আপনি দেখেন যে আপনার বাসা বাড়িতে
বিদ্যুৎ খরচ করার থেকে আপনার মনে হচ্ছে যে অনেক বেশি বিদ্যুৎ বিল এসেছে তাহলে
আপনি বিদ্যুতের লোক দিয়ে আপনার মিটারটা যত দ্রুত পারেন পরীক্ষা করান ও আপনার যদি মনে হয় যে
আপনার মিটারটি ঠিকঠাক মতো কাজ করে না তাহলে আপনি বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে
বিদ্যুতের লোক আসতে বলবেন ও আপনার মিটারটা চেক করতে বলবেন। ওরা এসে যদি আপনার
মিটারটি চেক করে কোন সমস্যা থাকে তাহলে ওরা বলবে আপনি অফিসে গিয়ে দরখাস্ত করে
আছেন ও নতুন মিটারের জন্য আবেদন করে আছেন।
তাহলে আপনি কি করবেন আপনি যত দ্রুত পারবেন বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তাদেরকে আপনার সমস্যা বলবেন এবং তারা আপনাকে এই সমস্যার সমাধান বুঝিয়ে বলে দিবে এবং আপনি সেই কাজটি করবেন তাহলে বিদ্যুৎ অফিসের লোক আপনার আগের মিটারটি নিয়ে গিয়ে নতুন মিটার লাগিয়ে দেয়া যাবে আপনার বাসাতে। এতে আপনার বিদ্যুৎ আগের তুলনায় আশা করা যায় কম আসবে। আপনারা এখন হয়তো বুঝে গেছেন যে আপনার মিটারটি কিভাবে পরীক্ষা
করবেন মিটারে সমস্যা আছে কিনা।
লেখকের শেষ কথা বা মন্তব্য
আজকের এই আর্টিকেলে আমি একটি সাধারন বাসা বাড়ির কিভাবে বিদ্যুৎ বিল চেক করতে হয় সম্পর্কে আলোচনা করেছে। আবার কি কি
কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে ও কি কি করলে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে সেসব বিষয় নিয়ে
আজকে এই আর্টিকেলটিতে সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কি কি কারনে বিদ্যুৎ বিল
বেশি আসে ও কি কি করলে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে। আবার আপনার নিজের বাসার বিদ্যুৎ
বিল আপনি নিজেই কিভাবে বের করতে হয় সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলেছে। এখন কথা হচ্ছে আপনার
বাসা বাড়িতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল আসে আপনার যদি সেই বিদ্যুৎ দিতে কোন সন্দেহ
থেকে থাকে তাহলে আপনি নিজেই এখন আপনার বাসাবাড়ি বিদ্যুৎ বিল বের করতে পারবেন কত টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে।
- আরো পড়ুনঃ সাত দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
আবার আপনার বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল আসার পরে যদি আপনি মনে হয় যে আপনার আমার আইডিয়া থেকে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি এসেছে তাহলে আপনি কিরে আর্টিকেলটি পরে যে সকল পদ্ধতি গুলো শিখেছেন সেগুলো আপনি নিজেই চেষ্টা করবেন এবং আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিল আপনি নিজেই বের করবেন কত টাকা আসছে। অনেকগুলো
পদ্ধতি আমি শিখিয়ে দিয়েছি এই আর্টিকেলটিতে আবার বলে ও দিয়েছি যে কি কি কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি
আসে। সে অনুযায়ী যদি আপনি কিছুদিন ট্রাই করেন তাহলে
বুঝতে পারবেন। আপনার মিটারে সমস্যা থাকে কিংবা বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে গিয়ে
আপনাদের কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি ধরতে পারবেন। আর আমি যে নিয়মগুলো বলেছি সেই নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল কম
আসবে। আবার আপনার এই মাসে কত টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে আপনি নিজেই খুব সহজে বের করে নিতে পারবেন।



অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url