ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে? যারা মনে করছেন যে ফ্যাশন ডিজাইনার হব।
কিন্তু ভালো কোন আইডিয়া পাচ্ছেন না তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলে আমি ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করা লাগবে সম্পূর্ণ
গাইড করব।
ও আপনারা যদি এই নিয়ম মেনে কাজগুলো করেন তাহলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। ও খুব সহজে
ইনকামের পদ্ধতি ও বুঝতে পারবেন। তো আটিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন ও জেনে
নিন কিভাবে একজন অভিজ্ঞ ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া যায়।
পেজ সূচিপত্র: ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে
- ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে
- একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এর কাজ কি
- ফ্যাশন ডিজাইনারের কি কি স্কিল থাকা প্রয়োজন
- বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে
- ফ্যাশন ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়ার সহজ উপায়
- ফ্যাশন ডিজাইনারের কোর্স সম্পর্কে
- ফ্যাশন ডিজাইনারের শিক্ষাগত যোগ্যতা
- ফ্যাশন ডিজাইনারের পপুলার কিছু জব
- ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে হবে
- ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে - উপসংহার
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে? আজকে আমি আপনাদেরকে সম্পূর্ণ এ টু জেড এই
আর্টিকেলটিতে বলে দিব যে একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনার কি কি করা
লাগবে। প্রথমেই বলি ফ্যাশন ডিজাইনের হতে হলে আপনাকে কোর্স করা লাগবে। কারণ আপনি
হয়তো অনেক কিছু জানেন কিন্তু একটি কোর্স করলে যতগুলো বিষয় জানবেন সেগুলো
হয়তো আপনি জানেন না। সেজন্য ফ্যাশন ডিজাইনার হতো হলে আপনাকে মাস্ট বি একটি
কোর্স করতে হবে। এবং আপনি চাইলে কোর্স করা অবস্থায় ও জব করতে পারবেন। তাকে আমি
আঁটিকেলে কোথায় কোর্স করলে ভালো হবে দেশের এবং দেশের বাইরের কিছু কোর্স
সম্পর্কেও আলোচনা করব।
আরো ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে এই সেক্টরের সময় দিতে হবে। এটা হয়তো
আপনারা সবাই জানেন যে যে কোন কাজে সফল হওয়ার জন্য সেখানে ব্যাঘাত দিতে হয়
অনেক দিন। তাই আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান তাহলে আপনাকে সময়
দিতে হবে এবং আপনার দক্ষতা স্কেলকে কাজে লাগিয়ে। মন দিয়ে কাজ শিখতে হবে।
তাহলে হয়তো আপনি একদিন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে উঠতে পারবেন। আবার ফ্যাশন
ডিজাইনার হওয়ার জন্য মাজদি আপনাকে উচ্চমাধ্যমিক কমপ্লিট করা লাগবে। কারণ উচ্চ
মাধ্যমিক কমপ্লিট না করলে যে কোন জায়গায় জবের জন্য গেলে জব পাওয়া অনেক
মুশকিল হয়ে যাবে। মাস্তি আপনাকে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার পাস করতে হবে এবং
মিনিমাম ৫০ পার্সেন্ট নাম্বার থাকা লাগবে।
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এর কাজ কি
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এর কাজ কি? এই প্রশ্নটা অনেকের মাথায় থাকে তো এই
প্রশ্নটা আমি আজকে আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করব যে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার কাজ কি।
আপনি সাপোজ মনে করেন আপনার বিয়ে কিছুদিন পর এবং আপনি আপনার জন্য একটি লেহেঙ্গা
বানাতে চাচ্ছেন। সেই কারণে একটি ফ্যাশন ডিজাইনার কে হার করে আনছেন। এবং আপনি
জানেন না আপনার শরীরে কিংবা আপনাকে যে লেহেঙ্গাটি পড়লে ভালো লাগবে সে বিষয়টা
কিন্তু আপনি কিছুই জানেন এবং আপনার কোন ধারণাও নেই। এই ধারণাটা নেয়ার জন্য
আপনাকে একটি ফ্যাশন ডিজাইনার হার করতে হবে এবং সেই ফ্যাশন ডিজাইনার এর কাজটা কি
সেটা নিচে বুঝে নিন।
প্রথমত ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজ হল আপনার শরীরে কোন লেহেঙ্গাটি পড়লে ভালো হবে
লেহেঙ্গাটি কিভাবে তৈরি করলে ভালো হবে দেখতে ভালো লাগবে। আপনার গায়ের কালারের
সঙ্গে লেহেঙ্গা কালার টি কেমন হলে ভালো লাগবে। আরো নানান ধরনের যে সকল কাজগুলো
করলে লেহেঙ্গাটি আপনার শরীরে ফিট হবে এবং আপনার শরীরের জন্য লেহেঙ্গাটি ইসমতলী
তৈরি করা যাবে সেই সম্পর্কে ধারণা দেওয়াটাই হলো একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজ।
আরো লেহেঙ্গাটিতে কি ধরনের ডিজাইন দিলে ভালো হবে কোথায় কি বুঝবে কিভাবে তৈরি
করা হবে সেই সম্পর্কে একজন ওয়ার্কার কে গাইড করা তাকেই আসলে ফ্যাশন ডিজাইনার
বলে। আশা করবো আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজটা
কি।
ফ্যাশন ডিজাইনারের কি কি স্কিল থাকা প্রয়োজন
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে? ও একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের কি কি স্কিল
থাকা প্রয়োজন সে সকল সম্পর্কে এই সেকশনে সুন্দরভাবে আলোচনা করব। আমি বলে নি যে
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে তার অনেক স্কিল এবং দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। একজন
দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার এর কিছু স্কিল এর নাম নিচে বলে দিব। যেগুলো একজন দক্ষ
ফ্যাশন ডিজাইনারের থাকা দরকার। এই স্কীল গুলো যদি তার না থাকে তাহলে সে ফ্যাশন
ডিজাইনার সম্পর্কে কিছুই বোঝেনা।
- গুড ইমেজেলেশন
- মার্কেট ডিমান্ড এন্ড অবজারবেশন
- স্কেচিং
- কালার সেভ এন্ড টুলস
- ইউনিক আইডিয়া
- ক্রিয়েটিভিটি
- আর্টিস্ট থিংকিং
- আরো পড়ুনঃ অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম ১০০% বিকাশ পেমেন্ট
একজন হতে হলে মাস্টি আপনাকে এই সকল স্ক্রিল গুলো জানা লাগবে। আর শুধু যে এই
স্কিলগুলো জানলেই একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া যাবে এমন কোন কথা না। এই ইস্কিল
গুলা পপুলার স্কিল গুলার মধ্যে কিছু। একজন ফ্যাশন ডিজাইনার যদি এই পপুলার কিছু
স্কিল গুলা না জেনে থাকে তাহলে সে ফ্যাশন ডিজাইনের কোন কাজই করতে পারবে না এবং
কোথাও সে জব করতেও পারবেনা। আর এই ইস্কিল গোলা কাজ কি সেগুলো জানা লাগবে। আশা
করব এই স্কিল গুলার কাজ কি সে সকল বিষয়গুলো জানলে আপনি ফ্যাশন ডিজাইনার এর কাজ
করতে পারবেন এবং যেকোনো ওয়ার্কশপে কিনবা কোম্পানিতে আপনি কাজ করতে পারবেন।
বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে
বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে? হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই
জানেন না যে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে তো আজকে আমি বাংলাদেশের
বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে তার সম্পর্কে কিছু কথা বলব ও তার নাম কি সেটাও
বলবো। আবার বলব ইন্ডিয়ার ও কিছু বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারের নাম। তো চলেন
প্রথমে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারের নাম জেনে নেয়া যাক ও তার
সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক:
- মাহীন খান
বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। মাহীন খান বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী
পোশাক নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন হাউস মায়াসির এর
প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহীন খান।
এখন হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন যে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে। এবং
বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ কোনটা তার ওনার এবং তার পরিচালককে সে সম্পর্কে
হয়তো বুঝতে পেরেছেন। এখন নিচে দেখে নেন যে ইন্ডিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন
ডিজাইনারের নাম:
- মনীষ মালহোত্রা
নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার হলো মনীষ মালহোত্রা যে বর্তমানে চলচ্চিত্র জগতের বলিউডের অনেক সিনেমায় সে ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজ করে। তাহলে বুঝতেই পেরেছেন ইন্ডিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে ও বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কে।
ফ্যাশন ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়ার সহজ উপায়
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে? এই সম্পর্কে আমরা উপরে হয়তো জেনে এসেছি
যে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে। এখন জানব একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের
ক্যারিয়ার গড়ার সহজ উপায়। বর্তমান সময়ে ফ্যাশন ডিজাইনারের চাহিদা অনেক
বেশি। এজন্য একজন ফ্যাশন ডিজাইনার ক্যারিয়ার করার জন্য প্রথমত আপনার ইচ্ছে
থাকা লাগবে যে আপনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হবেনই। এর পরে আপনাকে ফ্যাশন
ডিজাইনারের কোর্স আছে অনেক কোর্স আছে যে কোর্সগুলো আপনি করলে। আপনি সফল ফ্যাশন
ডিজাইনার হতে পারবেন। এবং আপনি কোর্স কমপ্লিট করার সঙ্গে সঙ্গে যে কোন
ব্র্যান্ড কোম্পানিতে ভালো স্যালারির বেতনে জব পেতে পারেন।
- আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে অনলাইন ইনকাম করার পদ্ধতি
আবার যে আপনি ফ্যাশন ডিজাইনের কোর্স কমপ্লিট করে জব করবেন এমন কোন কথা নেই।
আপনি চাইলে চলাকালীন সময়েও ছোটখাটো ওয়ার্কশপে কিংবা কোম্পানিতে জব করতে
পারেন। এটা করলে আপনার কাজের দক্ষতা ও স্কিন ধারনাটা বাড়বে। আর একজন ফ্যাশন
ডিজাইনার ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়টি হল আপনি যদি কোর্স কমপ্লিট করে সফল একজন
ফ্যাশন ডিজাইনার হন তাহলে আপনার মান্থলি আই মিনিমাম দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা
হবে। ও একজন ফ্যাশন ডিজাইনার মনে করলে সে নিজেই একটি কোম্পানিও দাঁড় করাতে
পারবে। এবং তার আন্ডারে শত শত লোক কাজ করাতে পারবে। তাহলে হয়তো বুঝতে পেরেছেন
একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের ক্যারিয়ার গড়ার সহজ উপায়।
ফ্যাশন ডিজাইনারের কোর্স সম্পর্কে
ফ্যাশন ডিজাইনারের কোর্স সম্পর্কে কিছু কথা প্রথমত ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোর্স করা লাগবে। এবং ফ্যাশন ডিজাইনার হতো হলে কোন কোর্সটি করলে ভালো হবে কোন স্কোরটি তে সময় কম লাগবে এবং কোন কোর্সটি কত টাকা খরচ হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব এই সেকশনে। প্রধানত ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে মাস্ট বি দুইটা কোর্স করতেই হবে। এবং ফ্যাশন ডিজাইনারের মোট তিনটা কোর্স থাকে সে তিনটা কোর্স কি কি সেটা হল প্রথমত:
- শর্ট টাইম ডিপ্লোমা
- গ্রাজুয়েশন কোর্স
- পোস্ট গ্রেজুয়েশন কোর্স
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এর এই তিনটি করছি যথেষ্ট। এই তিনটি কোর্স সম্পূর্ণভাবে
কমপ্লিট করলে সে বাংলাদেশের কিংবা ইন্ডিয়ার যে কোন ব্র্যান্ড কোম্পানিতে
অনায়াসে জব করার অফার পাবে। তো এই তিনটি কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিচের
দিকে জেনে নিন।
শর্ট টাইম ডিপ্লোমা: শর্ট টাইম ডিপ্লোমা এই কোর্সটি কমপ্লিট করতে আপনাকে
মিনিমাম এক থেকে তিন বছর এই কোর্সের পেছনে সময় দিতে হবে। এবং কোষ চলাকালীন
অবস্থায় আপনি যদি মনে করেন যে ছোটখাটো কোন কোম্পানিতে কিংবা ওয়ার্কশপে কাজ
করব সেটাও পারবেন। আর শর্ট টাইম ডিপ্লোমা কোর্সটি কমপ্লিট করতে আপনার ২০ হাজার
থেকে ৬০ হাজার টাকার মত খরচ হবে।
গ্র্যাজুয়েশন কোর্স: আপনি যদি শর্ট টাইম কোর্সটি নাও করেন কোন সমস্যা নেই
কিন্তু আপনাকে গ্রেজুয়েশন কোর্স এটি করতেই হবে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে।
এই পোস্টটি কমপ্লিট করতে আপনার তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে এবং এই কোর্সটি
কমপ্লিট করতে আপনার মোট এক লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। আবার চাইলে
কোর্স চলাকালীন অবস্থায় আপনি ছোটখাটো কোন কোম্পানি কিংবা ওয়ার্কশপে কাজ করতে
পারবেন।
পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স: প্রথমত আপনি গ্রাজুয়েশন কোর্স টি কমপ্লিট করা হয়ে
গেলে মাসবি আপনাকে পোস্ট গ্রেজুয়েশন কোর্সটিও কমপ্লিট করতে হবে। কারণ
গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনি জব পাবেন না যতদিন আপনি পোস্ট গ্রেজুয়েশন
কোর্সটি কমপ্লিট করবেন এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স কমপ্লিটেড সার্টিফিকেট হাতে
পাবেন তখন আপনি যে কোন ব্র্যান্ড কোম্পানিতে কিংবা আপনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান
দাঁড় করাতে পারবেন।
আশা করব এখন আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি
ধরনের কোর্স করা লাগবে। এবং কোর্স করতে কত টাকা খরচ হবে কত দিন সময় লাগবে সেই
সম্পর্কে সকল তথ্য জেনেছেন। এখন আপনি মনে হতে পারে এই কোর্সটি কোথায় করলে ভালো
হবে বাংলাদেশে এমন অনেক কোর্স করা এমন সেন্টার আছে আপনি চাইলে কলেজে করতে
পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের থেকে ইন্ডিয়াতে এ ফ্যাশন ডিজাইনারের চাহিদা অনেক
বেশি এবং ইন্ডিয়াতে এমন অনেক কলেজ আছে কোর্স সেন্টার আছে যেখানে সকল কোর্সগুলো
করিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও আছে আপনি চাইলে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন কিনব
ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন বাংলাদেশের সেরা ফ্যাশন ডিজাইনার সেন্টার।
ফ্যাশন ডিজাইনারের শিক্ষাগত যোগ্যতা
ফ্যাশন ডিজাইনার এর শিক্ষাগত যোগ্যতা? এটা খুবই ইম্পোর্টেন্ট একটি সেকশন হতে
চলেছে তো সেকশনটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বুঝে নিন যে একজন ফ্যাশন
ডিজাইনার হতে হলে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু থাকা লাগবে। প্রথমে আমি বলি একজন
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে পড়াশোনা জানা লাগবে এবং অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক
পাস করা লাগবে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলেই আপনি ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন এবং
এখানে বয়সেরও ফ্যাক্ট আছে সে বয়সের মধ্যে হলে আপনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে
পারবেন এবং খুব অল্প সময়েই করছো কমপ্লিট করতে পারবেন।
- উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা লাগবে
- উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বনিম্ন ৫০% মার্ক থাকা লাগবে
- ২৩ বছরের নিচে বয়স থাকা লাগবে
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে মাস্ট বি এতটুকু যোগ্যতা অবশ্যই থাকা
লাগবে। এই যোগ্যতাটুকু যদি থাকে তাহলে আপনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন।
এবং আপনার বয়স যদি আবার ২৩ বছরের বেশি হয়ে যায় তাহলে আপনি ব্র্যান্ড
কোম্পানি বলেন কিংবা আপনি নিজস্ব প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারবেন না বললেই
চলে। ফ্যাশন ডিজাইনার এর কিছু রুলস আছে যে ওপরে রুলসগুলা মেনে একজন ফ্যাশন
ডিজাইনার কে দক্ষতা প্রমাণ করা হয়। এজন্যই একজন দক্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার হতে
হলে মাস্ট বি এই যোগ্যতাগুলো আপনার থাকা প্রয়োজন।
ফ্যাশন ডিজাইনারের পপুলার কিছু জব
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে? এই সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে আর্টিকেলটি
পড়ে জেনে এসেছি। এখন কথা হচ্ছে যে ফ্যাশন ডিজাইন এর কোর্স কমপ্লিট করলাম
সম্পূর্ণ কিছু কমপ্লিট করে এখন আমি কোথায় জব করতে পারবো। এই বিষয়ে নানান
ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে অনেক মানুষের। তো আজকে আমি আপনাদেরকে ফ্যাশন ডিজাইনারের
কিছু পপুলার জব এর নাম বলবো। এবং এই জবগুলো বছরে বারোমাস আপনি এই সকল কাজগুলো
করতে পারবে এবং এই সকল কাজের চাহিদাও অনেক বেশি। তো পপুলার কিছু জবের নাম দেখে
নিন:
- ফ্যাশন ডিজাইনার
- টেক্সটাইল ডিজাইনার
- ফ্যাশন স্টাইলিষ্ট
- কস্টিউম ডিজাইনার
- ফ্যাশন ইলাস্ট্রেটর
- ফ্যাশন ব্লগার
- ফ্যাশন প্রোডাক্ট ম্যানেজার
- ফ্যাশন ব্র্যান্ড ম্যানেজার
- টেকনিশিয়ান ডিজাইনার
- সাসটেইনেবল ফ্যাশন ডিজাইনার
উপরে যে সকল জব গুলোর নাম দেখতে পাচ্ছেন এই জবগুলো বছরে প্রায় বারোমাসি চলে।
এবং এই জব গুলোর চাহিদা অনেক বেশি। কারণ বাংলাদেশের মানুষ কিংবা ইন্ডিয়ার
মানুষ সকলে এই সকল ব্র্যান্ডের জামাকাপড় প্যান্ট সময় প্রতিবছর ইউজ করে
থাকে। এজন্য এ সকল পপুলার জব গুলোর চাহিদা অনেক বেশি। আর এই সকল প্রোডাক্টের
চাহিদা অনেক বেশি। আর প্রোডাক্ট এর চাহিদা যদি বেশি না হয় তাহলে জবের
চাহিদাও তো বেশি হবে না এটা স্বাভাবিক। তাই আপনি নিজেই ভাবতে পারেন যে সব
প্রোডাক্টের চাহিদা বেশি সে সকল জব গুলোরও চাহিদা বেশি হবেই।
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে হবে
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে হবে এই বিষয়টা কিন্তু
অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এর সাবজেক্ট ভিন্ন আছে এজন্য যার
ছোট থেকে স্বপ্ন তারা এসএসসি সমাপনী পরীক্ষা দেয়ার পরে আপনাকে দুইটা সাবজেক্ট
নিয়ে পড়তে হবে। এ দুইটা সাবজেক্ট নিয়ে যদি না পড়ে থাকেন তাহলে আপনি ফ্যাশন
ডিজাইনার হতে পারবেন না। এ দুটি সাবজেক্ট কি কি নিচে দেখে নিন:
- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
- এমএসসি ফ্যাশন ডিজাইন
এখন এখানে কথা হলো যে এই দুইটা কিন্তু সাবজেক্ট বললেও চলে আবার এই দুইটা
সাবজেক্ট না বললেও চলে। কারণ অনেকেই আছে এগুলোকে হাতে কলমে শেখানো কাজ বলে
থাকে। যেমন আপনি কলেজে উঠলে আপনার কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস থাকে সেই
প্রাকটিক্যাল ক্লাসে গিয়ে আপনি যে সকল জিনিসগুলো শিখেন সেটাকেই বলে
প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস এবং উপরে যে দুইটা সাবজেক্ট দেখতে পাচ্ছেন এটাও ঠিক
তেমনি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে গিয়ে এগুলো শিখতে হবে। এবং এগুলো উপর দক্ষতা
আপনার ভালো থাকতে হবে এবং এই কোর্সটি কমপ্লিট করে এ কোর্সের সার্টিফিকেট
মাস্ট বি আপনার প্রয়োজন হবে।
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে - উপসংহার
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে? এই সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে এই আর্টিকেলটি
পড় জেনে এসেছি
আরো জেনেছি যে ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজ কি বাংলাদেশের ও ইন্ডিয়ার বিখ্যাত
ফ্যাশন ডিজাইনার কে ফ্যাশন ডিজাইনারের ক্যারিয়ার কি কোর্স সম্পর্কে জেনেছি
শিক্ষাগত যোগ্যতা আরো নানান ফ্যাশন ডিজাইনার সম্পর্কে সবকিছুই আমরা এই
আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনেছি। এখন আপনি যদি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান তাহলে
এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর্টিকেলটি আপনি নিজে করুন এবং
আপনার বন্ধু বান্ধব দের কাছে শেয়ারও করতে পারেন। তাদের যদি ইচ্ছা থাকে ফ্যাশন
ডিজাইনার হওয়ার।
- আরো পড়ুনঃ ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে হলে কি করতে হবে এই সম্পর্কে আমার মন্তব্য প্রথমত আমি যে
একটা সাজেস্ট করব যে আপনার স্কিল এবং দক্ষতাটা থাকা মাস্ট বি প্রয়োজন এগুলো না
থাকলে আপনি কোনদিনও একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন না। কারণ একজন ফ্যাশন
ডিজাইনারের মেন কাজই হচ্ছে তার দক্ষতা এবং স্কেল থাকা। তার দক্ষতা এবং ইস্কিল
দিয়েছে নিত্যনতুন জিনিস তৈরি করতে পারবে এবং সেই জিনিসগুলোকে মার্কেটে রিভিউ
করতে পারবে এবং সেই জিনিসগুলো যদি ভাল মতন চলে। তাহলে সেই ফ্যাশন ডিজাইনার তার
স্কিল এবং দক্ষতাটাকে তার ক্যারিয়ারের সঙ্গে যোগ করতে পারবে। তাহলে হয়তো
বুঝতে পেরেছেন যে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতো হলে কি করতে হবে এই সকল সম্পর্কেই
আর্টিকেলে। যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ছোট মানুষ হিসেবে ক্ষমার দৃষ্টিতে
দেখবেন আল্লাহ হাফেজ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url