রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান গুলো - সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান
রাজশাহী বাংলাদেশের উত্তর -পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক শহর। ও রাজশাহী জেলায় যে সকল দর্শনীয় স্থানগুলো আছে সেগুলো, ৬৪ জেলার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থানগুলো রাজশাহী জেলাতে বললেই চলে।
রাজশাহী জেলাতে অনেক পুরনো পুরনো দর্শনীয় স্থান আছে। যেগুলো দেখতে হলেও ৬৪ জেলার
মানুষই একবার না একবার হলেও রাত্রে জেলাতে আসে। আজকে রাজশাহী জেলার সেরা ১০টি
দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব। দেখে নেয়া যাক রাজশাহীর সেরা ১০টি দর্শনীয়
স্থান।
পেজ সূচিপত্র: রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানগুলো
- রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানগুলো
- রাজশাহীর ঐতিহাসিক সকল স্থানগুলো
- রাজশাহীর ঐতিহাসিক স্থানগুলো কোথায় অবস্থিত জেনে নিন
- পদ্মারপার রাজশাহী কোথায় অবস্থিত
- পুঠিয়া শিব মন্দির রাজশাহী জেলা থেকে কত দূরে
- বরেন্দ্র গবেষণা না জাদুঘর
- বাঘা মসজিদ
- শহীদ কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা
- শাহ মখদুম মাজার
- সাবিনা পার্ক ও রিসোর্ট
- শহীদ জিয়া শিশু পার্ক
- টি - বাঁধ ও আই - বাঁধ রাজশাহী
- লালন শাহ মুক্তমঞ্চ
- রাজশাহের বিখ্যাত কি কি আছে
- রাজশাহীর বিখ্যাত কি কি খাবার
- রাজশাহী দর্শনীয় স্থানগুলো - উপসংহার
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানগুলো
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানগুলো? আজকে যারা রাজশাহী ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন তাদের
জন্যই আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমি আর্টিকেলে রাজশাহী শহরে কিংবা
রাজশাহী জেলার দশটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ আলোচনা করব
ও আলোচনা করব যে রাজশাহী শহর থেকে সেই দর্শনে স্থানগুলো কতদূর দূরে এবং কত টাকা
ভাড়া লাগে সে সম্পর্কেও আলোচনা করব। তো আজকে আমি আর্টিকেলে রাজশাহী শহরের
অনেকগুলো ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান সম্পর্কেও আলোচনা করব আবার রাজশাহী শহরের
বাইরে যে সকল দর্শনীয় কিংবা ঐতিহাসিক স্থানগুলো আছে সে সম্পর্কেও আলোচনা
করব।
- আরো পড়ুনঃ ঈদুল আজহা ২০২৫ কত তারিখে
আমাদের রাজ্যেই শহরে অনেক দর্শনীয় স্থান আছে যেগুলোর মধ্যে কিছু দর্শনে
স্থানগুলো ঐতিহাসিক যেগুলো অনেক পুরনো। আবার অনেক দর্শনে স্থান আছে যেগুলো
দেখতে অনেকটাই সুন্দর এবং ঘোরার মতনই জায়গা। যেখানে গিয়ে আপনি ঘোরাঘুরি করতে
পারবেন সময় কাটাতে পারবেন ও অনেক মজা পাবেন। আবার রাজশাহী শহরে আছি অনেক মজার
মজার খাবার। এবার আপনি যদি রাজশাহী শহরে রাতে থাকেন তাহলে রাজশাহী শহরটাকে রাতে
ঘুরতে অনেকটাই মজা লাগে কারণ রাজশাহী শহরের যে লাইটিং গুলা আছে সেগুলো রাতে
দেখতে অস্থির লাগে। রাজশাহী শহরটাকে রাতকে দিন বললেই চলে।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক সকল স্থানগুলো
আমরাই সেকশনে এখন জানব যে রাস্তায় ঐতিহাসিক যে সকল দর্শনীয় স্থানগুলো আছে
সেগুলো। এবং নিচের দিকে গিয়ে আমরা সেই সকল স্থানগুলো রাজশাহী শহর থেকে কত দূর
ভেতরে ও কত টাকা ভাড়া কতক্ষণ সময় লাগে সেগুলো সম্পন্ন আলোচনা করব। তোমায়
দেখে নিয়ে রাজশাহী ঐতিহাসিক স্থানগুলো নাম কি কি।
- পদ্মার পাড় রাজশাহী
- পুঠিয়া শিব মন্দির
- বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
- বাঘা শাহী মসজিদ
- রোহিত কামরুজ্জামান উদ্যান ও চিড়িয়াখানা
- শাহ মখদুম মাজার
- সাবিনা পার্ক
- শহীদ জিয়া শিশু পার্ক
- টি - বাঁধ ও আই - বাঁধ রাজশাহী
- লালন শাহ মুক্তমঞ্চ
উপরে যে দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম বললাম এগুলো রাজশাহী জেলার ঐতিহাসিক দর্শনের
স্থানের মধ্যে কিছু। রাজশাহীতে আরো অনেক ঘোরাঘুরির মত দর্শনীয় স্থান অনেক
আছে তার মধ্যে এগুলো সচরাচর সবাই জানে কিংবা এগুলোর দর্শন করতে অনেক জেলা
থেকে অনেক মানুষ আসে। তাই আজকে এগুলা সম্পর্কে আমি আলোচনা করতে চলেছি এই
আর্টিকেলে ও এগুলো রাখছে শহর থেকে কত দূরে এবং কত টাকা ভাড়া লাগে সে
সম্পর্কেও আলোচনা করব।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক স্থানগুলো কোথায় অবস্থিত জেনে নিন
আমরা ইতিমধ্যেই উপরে জেনে এসেছি যে রাজ্যের সকল দর্শনের স্থানগুলো সম্পর্কে। ও
দর্শনীয় স্থান গুলোর নাম। এখন আমরা জানবো যে রাজ্যের ঐতিহাসিক দর্শন গুলো
কোথায় অবস্থিত। আমরা সচরাচর সবাই জেনে থাকি যে রাজ্যে দর্শনীয় স্থান তার মানে
এটা রাজশাহী জেলাতে অবস্থিত। উপরে যে দশটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা
করেছি কিংবা নাম বলেছি এখানে সবগুলাই রাজশাহী শহরের ভেতরে অবস্থিত না কিছু
জায়গা আছে যেগুলো রাজ্যের বাইরে অবস্থিত। তো আজকে আমি রাজশাহী শহর থেকে এসব
দর্শনীয় স্থানগুলো যেতে কতক্ষণ সময় লাগে কত টাকা ভাড়া লাগে সে সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আর প্রথমেই আমি বলে দেই যে রাজশাহীর যে সকল দর্শনের স্থান আছে সেই সকল দর্শনের
স্থানে সবগুলাতে ঢুকতে কোন টিকিট লাগেনা এখানে হাতে গোনা তিন থেকে চারটা
জায়গাতে ঢুকতেই টিকিট লাগে। তাই এটা নিশ্চিন্ত হতে পারেন যে রাজশাহীতে ভ্রমণ
করলে অনেক কম খরচে আপনি রাজশাহী শহর ভ্রমণ করতে পারবেন। আর রাজশাহী শহরটি অনেক
ছোট শহর তাই আপনি রাজশাহী শহরের ভেতরে যে সকল দর্শনের স্থানগুলো আছে সে সকল
দর্শনের স্থানগুলোতে যেতেও সময় খুব কম লাগবে আবার ভাড়াটা অনেক কম লাগে। তো
চলুন নিচের সেকশনে স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেই যে রাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থানে
যেতে কতটুকু সময় লাগে ও কত টাকা ভাড়া লাগে সে সম্পর্কে।
পদ্মারপার রাজশাহী কোথায় অবস্থিত
রাজশাহী দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রাজশাহীর পর্দার পাড় এটি ঘোরার মতন কিংবা
ঘোরাঘুরি করার মতন একটি সুন্দর জায়গা। যেখানে আপনি পদ্মা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে
থেকে সময় কাটাতে পারবেন ও সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটতে পারবেন। একটি রাজশাহী
শহরের ভেতরে অবস্থিত ও রাজশাহী শহরের সাহেব বাজার মানে জিরো পয়েন্ট থেকে এখানে
যেতে অনেক কম সময় লাগে আবার ভাড়াও কম। জিরো পয়েন্ট থেকে কতটুকু সময় লাগে ও
কত টাকা ভাড়া সে সম্পর্কে নিজে দেখে নিন।
- জিরো পয়েন্ট থেকে পদ্মারপাড় যেতে পায়ে হেঁটে ১০ মিনিট সময় লাগবে
- রিকশা নিয়ে গেলে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে
- রিকশাভাড়া ২০ টাকা নিবে
- পদ্মার পাড়ে কোন টিকিট লাগবেনা ফ্রিতে ঘুরতে পারবেন
- আরো পড়ুনঃ অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে রাজশাহী শহর থেকে পদ্মার পাড়ে যেতে কতটুকু
সময় লাগে এবং কত টাকা ভাড়া লাগে। আর একটা কথা রাজশাহী শহরের ভেতরের যে সকল
ভ্রমণের স্থানগুলো আছে। সেগুলোতে যেতে আপনার খুব কম টাকায় ভাড়া লাগবে ও খুব
কম সময় লাগবে। আর অনেক সুন্দর সুন্দর আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন। তো নিচে আরও
সব দর্শনীয় স্থানগুলোর সম্পর্কে জেনে নিও রাজশাহী শহর থেকে সকল জায়গাতে
যেতে কত টাকা ভাড়া লাগে সে সম্পর্কেও জেনে নিন।
পুঠিয়া শিব মন্দির রাজশাহী জেলা থেকে কত দূরে
পুঠিয়া শিব মন্দির যেটা হিন্দুদের একটি পুজো করার জায়গা বললেই চলে। পুঠিয়া
শিব মন্দির রাজশাহী শহর থেকে একটু ভেতরে। পুঠিয়া শিব মন্দিরেও অনেক মানুষ আছে
যারা আচ্ছাই শহর ভ্রমন করতে আসে তারা এই শিব মন্দিরে কিংবা পুঠিয়া রাজবাড়ীতে
বেড়াইতে যাই। পুঠিয়া রাজবাড়ী অনেকটাই সুন্দর একটি বাড়ি আর এখানে অনেকে আছে
যারা ভ্রমণ করতে আসে। রাজশাহী শহর থেকে এখানে যেতে কতটুকু সময় লাগে ও কত টাকা
ভাড়া লাগে সে সম্পর্কে জেনে নিন।
- প্রথমে জিরো পয়েন্ট থেকে একটি রিক্সা নিয়ে তালাইমারিতে আসতে হবে
- জিরো পয়েন্ট থেকে তালাই মারি রিক্সার ভাড়া ৪০ টাকা
- তালাইমারি থেকে বাসে চড়তে হবে যে পুঠিয়াতে যাব বলে
- বাসের ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা
- সময় লাগবে এক ঘন্টা বাসে যেতে
- পুঠিয়া থেকে শিব মন্দির কিনবা রাজবাড়ী যেতে সময় লাগবে পায়ে হেঁটে ১০ মিনিট
- একটি রিক্সা বা ভ্যান নিয়ে গেলে ভাড়া লাগবে ১০ টাকা পিস
- রাজবাড়ীতে প্রবেশের টিকিট লাগবে
- টিকিট মূল্য ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা নিবে
এখন নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে রাজশাহী শহর থেকে উঠিয়া যেতে কতটুকু
সময় লাগে কোথায় থেকে কোথায় যেতে হবে ও কত টাকা ভাড়া লাগে। এটা যেহেতু
রাজশাহী শহর থেকে একটু ভেতরে এর জন্য এটার খরচ একটু বেশি আরও যে সকল রাজশাহী
দর্শনীয় স্থানগুলো আছে সে সকল দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে নিচে আপনারা দেখে নিন
ও কোথায় যেতে কতটুকু সময় লাগে সে সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
রাজশাহীর ঐতিহাসিক একটি দর্শনীয় স্থান এর নাম হল বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। একটি
রাজশাহী শহরে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত করা হয়েছে। এটি
অনেক পুরনো একটি দর্শনীয় স্থান যেখানে ৬৪ জেলার মানুষই দর্শন করতে আসে কিংবা
ভ্রমণ করতে আসে। আরি দর্শনীয় স্থানটি কিংবা বরেন্দ্র জাদুঘর টি রাজশাহী শহর
থেকে কতটুকু ভেতরে এবং কত টাকা ভাড়া লাগে কত টাকা সময় লাগে সে সম্পর্কে নিচে
বিস্তারিতভাবে দেখে নিন।
- জিরো পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগবে
- রিকশা নিয়ে গেলে ২০ টাকা ভাড়া নিবে
- জিরো পয়েন্ট থেকে ১ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত
- এখানে প্রবেশ করতে টিকিট নেয়া লাগবে
- জাদুঘরে প্রবেশ টিকিট মূল্য ৫০ টাকা জন প্রতি
আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন এই সেকশনটি পড়ে যেয়ে রাজশাহীর ঐতিহাসিক দর্শনীয়
স্থান বরেন্দ্র জাদুঘর কিংবা বরেন্দ্র গবেষণা কেন্দ্র এখানে যেতে কতটুকু সময়
লাগে কত টাকা ভাড়া লাগে এবং রাস্তায় শহর থেকে কতটুকু ভেতরে সে সম্পর্কে উপরে
বিস্তারিতভাবে জেনেছেন। এখন নিচে সেকশনে জানবেন যে বাঘা মসজিদ যেটি রাজশাহীর
জেলার বিখ্যাত একটি মসজিদ সম্পর্কে।
বাঘা মসজিদ
রাজশাহী দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বাঘা মসজিদ একটি বাংলাদেশের বিখ্যাত একটি
দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি। আমরা সচরাচর বাংলাদেশের সব লোকই জানি যে পাখা
মসজিদ বাংলাদেশের বিখ্যাত একটি মসজিদ নামে পরিচিত। কি বাঘা মসজিদের ছবি আমরা
সবাই সচরাচর প্রতিদিনই দেখে থাকি। কারণ আমরা যে টাকা ব্যবহার করি ১০০ টাকার
নোটের ওপরেই আমাদের বাঘা মসজিদের ছবি খুব সুন্দর ভাবে দেয়া আছে। আজকে বাঘা
মসজিদ সম্পর্কে আমরা জানব ও রাজশাহী শহর থেকে এখানে যেতে কত টাকা ভাড়া লাগে
কতক্ষণ সময় লাগে সে সম্পর্কেও জানবো।
আরো আমরা জানি যে বাঘা মসজিদ রাজশাহী জেলা থেকে কিংবা রাজশাহী শহর থেকে প্রায়
৫০ কিলোমিটার ভেতরে। যেটি বাঘা উপজেলায় অবস্থিত। বাঘা মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল
১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে। আর এটি নির্মাণ করেছে সুলতান নাসির উদ্দিন নুসরাত শাহ।
তাহলে আপনার হয়তো বুঝতেই পেরেছেন যে বাঘা মসজিদ কেন বিখ্যাত এটি অনেক আগে
অবস্থিত ও এটি সকলেই কমবেশি আমরা নাম শুনে থাকি এজন্যই রাজশাহী জেলা ভ্রমণ করতে
আসলে সকলেই এই বাঘা মসজিদ ঘুরতে যাই তো এটি রাজশাহী শহর থেকে কত টাকা ভাড়া
লাগবে কতক্ষণ সময় লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নিন।
- সাহেব বাজার থেকে আপনাকে শিরোইল বাস টার্মিনালে যেতে হবে
- সাহেব বাজার থেকে শিরোইল বাস টার্মিনালে রিকশাভাড়া ৩০ টাকা
- শিরোইল টার্মিনাল থেকে যে বাসগুলো বাঘার উদ্দেশ্যে রওনা হবে সেই বাসে উঠতে হবে।
- শিরিল টার্মিনাল থেকে বাহা টার্মিনালের ভাড়া ৯০ টাকা করে জনপ্রতি।
- রাজশাহী শহর থেকে এখানে যেতে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লাগবে
- বাঘা থেকে নেমে একটি অটো কিংবা ভ্যান নিয়ে বলতে হবে বাঘা মসজিদে যাব।
- বাঘা টার্মিনাল থেকে বাঘা মসজিদের ভাড়া ১০ টাকা করে জনপ্রতি।
- এখানে কোন টিকিট লাগবে না উন্মুক্ত ফ্রি ঘুরতে পারবেন।
- আরো পড়ুনঃ খালি পেটে ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এখন তাহলে আমি নিশ্চিন্তে বলতে পারবো যে আপনারা অবশ্যই এখন রাজশাহী শহর থেকে
বাঘা মসজিদে যেতে কোথায় থেকে কোথায় যাওয়া লাগবে এবং কোথায় থেকে কত টাকা
ভাড়া সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ জেনেছেন। তাহলে এখন আপনারা রাজশাহী শহর থেকে
বাঘা শাহী মসজিদে যেতে আপনাদের আর কোন সমস্যা হবে না। এখন নিচে আমরা আলোচনা
করব শহীদ কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান সম্পর্কে ও চিড়িয়াখানা সম্পর্কে।
শহীদ কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা
রাজশাহী শহরে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে ছোটখাটো একটি পার্ক বললেই চলে এই শহীদ
কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা টিকে। এই চিড়িয়াখানা কি আজ
থেকে পাঁচ বছর আগেও এখানে অনেক পশু পাখি থাকতো। বর্তমান সময়ে একটি নতুন ভাবে
নির্মাণের ফলে এখানকার সকল পশু-পাখি সবগুলা বিক্রি করে দিতে হয়েছে দিয়ে
নতুনভাবে এটি আবার প্রতিষ্ঠিত করেছে। নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত করার পরে এটি আরো
দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে এবং এখানে বর্তমানে এখন অনেক লোকজনই ভ্রমণ করতে
আসছে।
আমরা অনেকেই জানি না যে এই সেই শহীদ কামরুজ্জামান উদ্দানতী ব্রিটিশ আমলে একটি
রেসকোর্স ময়দান ছিল। যেখানে ব্রিটিশদের ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা হইত। আর এই
উদ্যানটি এবং একটি বিলুপ্ত হয়ে গেছিল। কিন্তু যুদ্ধের পরে ১৯৭২ সালে এই
উদ্যানটিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এবং এটি নির্মাণ হতে প্রায় অনেক বছরই সময়
লেগেছিল। ১৯৭২ সালে অনুমোদন হয়েছিল এবং এটি কমপ্লিট হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। এবং এই
উদ্যানটির কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৩/০২/১৬ ই ফেব্রুয়ারি। এবং তখন থেকেই এই
উদ্যানটি একটি ঐতিহাসিক স্থান নামে পরিচিত। একটি রাজশাহী শহর থেকে কতদূর ভেতরেও
কত টাকা ভাড়া লাগে? কতটুক সময় লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে এখানে যেতে রিকশাতে ৪০ টাকা ভাড়া লাগে
- আপনি যদি অটোতে যান তাহলে 10 টাকা তেই হয়ে যাবে
- রাজশাহী শহর থেকে এটি ৩ কিলোমিটার ভেতরে কোট এর দিকে যেতে হবে।
- এখানে প্রবেশ করতে টিকিট লাগবে।
- পার্কে প্রবেশ টিকেট ৩০ টাকা জনপ্রতি ও
- নভো থিয়েটারে প্রবেশ টিকিট ১০০ টাকা জন প্রতি
এটি আবার নতুনভাবে নির্মাণ হয়েছে ২০২২ সালে কিংবা ২০২৩ সালে। এবং নতুনভাবে
নির্মাণ হয়ে যে নব থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবং সেই নব থিয়েটারের টিকিট
মূল্য একটু বেশি বললেই চলে। এখন আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন যে রাজশাহী
শহর থেকে শহীদ কামরুজ্জামান কেন্দ্র উদ্যান ও চিড়িয়াখানাতে যেতে কতটুকু সময়
লাগবে কত টাকা ভাড়া লাগবে সে সম্পর্কে সবকিছুই জানলেন।
শাহ মখদুম মাজার
আমরা আলোচনা করব যে শাহ মখদুম বাবার মাজার সম্পর্কে। ইতি রাজশাহী শহরের ভেতরে
অবস্থিত এবং এটি অনেক পুরনো একটি মাজার যেখানে অনেক জেলা থেকে মানুষ এখানে আছে
এবং এই মাজারটি ভ্রমণ করে যায়। আমরা জানি যে শাহ মখদুম মাজারটি ১২১৬ থেকে ১৩১৩
খ্রিস্টাব্দে এর একটি নির্মাণ করা হয়। এবং সেই থেকে একটি রাজশাহী শহরের একটি
ঐতিহাসিক স্থান নামের পরিচিত। যেখানে ৬৪ জেলার মানুষই এই মাজারটি ভ্রমণ করতে
আসছে। একটি রাজশাহী শহর থেকে কতটুকু ভেতরে এবং কত টাকা রিক্সা ভাড়া লাগে সে
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেন।
- সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে হেঁটে আসলে ২০ মিনিট সময় লাগবে।
- একটি রিকশাতে আসলে ২০ টাকা ভাড়া নিবে
- একটি রাজশাহী শহর সাহেব বাজার থেকে ১ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত
- এখানে কোন টিকিট লাগেনা
- টিকেটবিহিনে আপনি ঘোরাঘুরি করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্য।
এখন তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ঐতিহাসিক শাহ মখদুম মাজার ভ্রমণ
করতে রাজশাহী শহর থেকে কত টাকা ভাড়া লাগে কতক্ষণ সময় লাগে ও কিভাবে যেতে
হয় সে সম্পর্কেও খুব ভালো করেই এই সেকশনে জেনেছেন। এখন আপনারা একলাই রাজশাহী
শহরের ঐতিহাসিক বাবার মাজার ভ্রমণ করতে পারবেন। এখন নিচে আমরা রাজশাহী শহরের
একটি পার্ক সম্পর্কে আলোচনা করব এবং এখানে যেতে কত টাকা লাগে কতটা সময় লাগে
সে সম্পর্কেও আলোচনা করব।
সাবিনা পার্ক ও রিসোর্ট
রাজশাহী জেলার ভ্রমণ করার মত একটি পার্ক যেটিকে আমরা সাবিনা পার্ক ও রিসোর্ট
নামে চিনে থাকি। এটি 2025 সালে এসে একটি ভাইরাল পার্ক নামেও পরিচিত। যেটি ২০২৪
সালে নতুন নতুন ভাবে পার্কে কাজ করে সেই পার্কটিকে দেখার মত করে তৈরি করা
হয়েছে। এবং সেই পার্কটি ২০২৪ সালের একটি ভাইরাল পার্ক নামে পরিচিত। রাজশাহী
শহর থেকে এই পার্কটি কতদূর ভেতরেও কোথায় থেকে কোথায় যাওয়া লাগবে এই পার্কে
যাওয়ার জন্য সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
- সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে রেল গেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।
- রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলো ভেতরে সাবিনা পার্ক অবস্থিত
- সাহেব বাজার থেকে রেলগেটের ভাড়া রিকশাতে গেলে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা নিবে
- অটোতে যদি জান তাহলে ৫ টাকা জন প্রতি নিবে
- রেলগেটে গিয়ে ওখানে চাপাই এর গাড়ি পাওয়া যাবে সেই চাপাই এর গাড়িতে উঠতে হবে
- এবং সুপারভাইজার কে বলতে হবে গোদাগাড়ীতে নামবো
- গোদাগাড়ী থেকে একটি অটো কিংবা রিক্সা নিয়ে সাবিনা
- গোদাগাড়ী থেকে সাবিনা পার্ক এর দূরত্ব প্রায় ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার
- বাসের ভাড়া ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা নিবে
- পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে
- বাসি থেকে নেবে পার্ক পর্যন্ত যেতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা রিক্সা ভাড়া নিবে
- এখানে টিকিট করে ঢুকতে হবে
- টিকেট মূল্য ৫০ টাকা জনপ্রতি
ওপরের সেকশনটি পড়ে আশা করছি আপনারা খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছেন যে রাত্রেই শহর
থেকে সাবিনা পার্ক কতদূর কতটুকু ভেতরে এবং কত টাকা ভাড়া লাগবে কিভাবে যাবেন সে
সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনেছেন।
- আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা
আর হ্যাঁ সাবিনা পার্ক টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১২ সালে এবং সাবিনা পাকটি
প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপরে প্রতিষ্ঠিত যেটি একটি অনেক বড় জায়গায় অবস্থা
দেখতেও খুব সুন্দর লাগে। সাবিনা পার্ক সম্পর্কে তাহলে সবকিছুই বিস্তারিত জানলেন
এখন নিচের সেকশনে জানবেন শহীদ জিয়া শিশু পার্ক সম্পর্কে।
শহীদ জিয়া শিশু পার্ক
শহীদ জিয়া শিশু পার্ক এটি রাজশাহী শহরের অবস্থি ছোট একটি পার্ক। যেখানে অল্প
কিছুক্ষণ সময় কাটানো যায় এবং এটি ছোট বললেও চলে না কাছে এটি অনেক বড় জায়গা
নিয়েই অবস্থিত। এই পার্কটি অবস্থিত হয়েছিল কিংবা নির্মাণ হয়েছিল ২০০৬ সালে
শহরবাসীর উদ্যোগে। এই পার্কটি প্রায় ১২.২১ বিঘা জমির উপরে অবস্থিত আবার
একেবারে বড় না আছে ঘোড়ার মতো একটি জায়গা বললেই চলে। এই পার্কটিতে যেতে
রাজশাহী শহর থেকে কতটুকু সময় লাগবে কতটুকু ভেতরে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করব নিচে।
- রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত
- জিরো পয়েন্ট সাহেব বাজার থেকে রিকশা ভাড়া নেই ৫০ টাকা
- এবং আপনি যদিও অটোতে যান তাহলে ১৫ টাকা জনপ্রতি
- এখানে ঢুকতে টিকিট লাগবে
- টিকিট মূল্য ৩০ টাকা জন প্রতি এবং
- ছোট বাচ্চাদের জন্য টিকিট মূল্য ফ্রি
- এবং এটি আপনার সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
উপরের সেকশনটা পড়ে আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে শহীদ জিয়া শিশু পার্ক
রাজশাহী শহর থেকে কতটুকু ভেতরে অবস্থিত এবং কতটুকু সময় লাগে এখানে যেতে ও শিশু
পার্ক সম্পর্কেও অনেক কিছুই জানলেন। এখন আমরা নিজের সেশনে জানব রাজশাহীর আরো
সকল দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে এবং ঘোড়ার মতন স্থান গুলো সম্পর্কে।
টি - বাঁধ ও আই - বাঁধ রাজশাহী
রাজশাহী শহরের মধ্যে সময় কাটানোর জন্য এই দুই জায়গা অনেক সুন্দর বললেই চলে
এবং এটি অবস্থিত পদ্মা নদীর তীরে এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে আসে
এবং ঘুরাঘুরি করে। টি - বাঁধ ও আই রাজশাহীর বিখ্যাত এই দুইটি স্থান। যেখানে
সারাদিনই হাজার হাজার লোকজন ঘোরাঘুরির জন্য গিয়ে থাকে। এটি রাজশাহী শহর থেকে
খুব বেশি একটি ভেতরে না কিন্তু এটি আপনার কোর্টের দিকে যেতে হয়। রাজশাহী সাহেব
বাজার থেকে এই দুই জায়গাতে যেতে কত
টাকা ভাড়া লাগে এবং কতটুকু সময় লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে
নিন।
সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে টি বাঁধ যেতে যতটুকু সময় লাগে ও যত টাকা
ভাড়া লাগে সে সম্পর্কে জেনে নিন।
- সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার ভেতরে
- রিকশাতে গেলে রিক্সা ভাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে ৪০ টাকা
- সচরাচর কোনো অটোয় ওখানে যায় না যদি অটোতে যাব মনে করেন তাহলে রিজার্ভ করে নিয়ে যেতে হবে।
- ওখানে কোন টিকিট প্রয়োজন হয় না
- বিনামূল্যে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন ও অনেক সুন্দর একটি জায়গা উপভোগ করতে পারবেন।
সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে আই - বাঁধ যেতে যতটুকু সময় লাগে ও যত টাকা
ভাড়া লাগে সে সম্পর্কে জেনে নিন।
- সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় 5 কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত
- রিকশাতে গেলে রিকশাভাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে ৬০ টাকা লাগবে।
- অটোতে যাব মনে করলে অটো যাবে অটো থেকে নেমে একটু হেঁটে যেতে হবে।
- অটোর ভাড়া ১৫ টাকা জনপ্রতি
- ওখানে ঢুকতে কোন টিকিট লাগবে না
- বিনা টিকিটে ই ঘোরাঘুরি করতে পারবেন ও ওখানে রেস্টুরেন্টে ঢুকলে ভালো মানের খাবার খেতে পারবেন
রাজশাহী শহরের পদ্মার পাড় এই অবস্থিত এই দুইটি জায়গা ঘোরাঘুরির জন্য বেস্ট।
এই জায়গাগুলোতে আপনি চাইলে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন নদীর ওপরে এবং নদী
পার হয়ে ওইপাশেও যেতে পারবেন। যেখান থেকে আপনি ইন্ডিয়া খুব কাছাকাছি দেখতে
পাবেন। রাজশাহী শহরে টি - বাঁধ ও আই থেকে ইন্ডিয়ার দূরত্ব মাত্র ২
কিলোমিটার। ওই পাশে গিয়ে আপনি যতক্ষণ মনে করবেন ততক্ষণ সময় কাটাতে পারবেন।
লালন শাহ মুক্তমঞ্চ
রাজশাহী শহরের আরেকটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এটি একটি লালন শাহ মুক্তমঞ্চ যেটি
শাহ মখদুম বাবার মাজার থেকে একটু সামনে অবস্থিত। এখানে প্রতিদিন প্রায় হাজার
হাজার মানুষ ঘোরাঘুরি করতে আছে সময় কাটাতে আসে। এই জায়গাটিও অনেক সুন্দর
জায়গা যেটি পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত। ও এই জায়গাটিতে অনেকখানি বালুচরো দেখা
যায় যেখানে অনেকে ঘোরাঘুরি করে। রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে এখানে
আসতে কত টাকা ভাড়া লাগে কতটুকু সময় লাগে সে সম্পর্কে জেনে নিন।
- সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে এখানে আসতে রিক্সা ভাড়া ২০ টাকা থেকে ত্রিশ টাকা নিবে
- পায়ে হেঁটে আসলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগবে
- সচরাচর ওখানে অটো চলে না আপনি চাইলে রিজার্ভ করে নিয়ে যেতে পারেন
- ওখানে প্রবেশ মূল্য কিংবা টিকিট প্রয়োজন হয় না
- উন্মুক্ত জায়গাতে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন ও ইন্ডিয়া ও দেখতে পাবেন এ পাশে থেকে।
আশাকরি এখন আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে রাজশাহী শহর থেকে লালন শাহ মুক্তমঞ্চ
যেতে কতটুকু সময় লাগে? কত টাকা ভাড়া লাগে এবং আরো অনেক কিছুই জানলেন। এটি
রাজশাহী শহরের একটি সময় কাটানোর স্থান বললেই চলে। এবার আমরা নিজের শিখ শুনে
জানবো যে রাজশাহীতে বিখ্যাত কি কি আছে যেগুলো অনেকেরই অজানা।
রাজশাহীর বিখ্যাত কি কি আছে
রাজশাহী শহরে কিংবা রাজশাহী জেলার বিখ্যাত অনেক কিছুই আছে সেগুলোর অল্প কিছু
সম্পর্কে আমরা ই সেকশনে আজকে জানব যে আমাদের রাজশাহী জেলাতে কিংবা রাজশাহী শহরে
কি কি বিখ্যাত কি কি আছে। আর আমরা অনেকেই জানি যে রাজশাহী আম লিচু বিখ্যাত আরো
আছে বিখ্যাত জিনিসে সকল জিনিসগুলো দেখে নিন।
- রাজশাহীর বিখ্যাত আম
- রাজশাহীর বিখ্যাত লিচু
- মিষ্টান্ন সামগ্রী
- রেশম ও বস্ত্র
- আরো আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় নামে জানি
- আরো আছে রাজশাহী কলেজ
রাজশাহীর আরো অনেক বিখ্যাত জিনিস আছে যেগুলো সম্পর্কে আপনারা রাজশাহীতে ভ্রমণ
করতে আসলে জানতে পারবেন এবং সে সকল জিনিসগুলাও খেতে পারবেন দেখতে পারবেন। এখন
আপনারা হয়তো কয়েকটি রাজ্যের বিখ্যাত জিনিস সম্পর্কে পরিচিত হয়েছেন এবং আরো
অনেক আছে রাজ্যের বিখ্যাত জিনিস যে সকল জিনিসগুলোর নিচে যেখানে আলোকে আরো
কিছু আলোচনা করব নিজের সেকশনে আরো কিছু জিনিস দেখব বলব।
রাজশাহীর বিখ্যাত কি কি খাবার
এই সেকশনে আমরা জানবো যে রাজশাহীর বিখ্যাত কি কি খাবার রয়েছে। এবং এটির স্বাদ
কেমন এটির কোন কোন জেলাতে পাওয়া যায় কোন কোন জায়গাতে আমাদের রাজশাহীর
বিখ্যাত খাবার গুলো পৌছে দেয়া যায় সে সম্পর্কেও অল্প কিছু জেনে নিন। এখন আমরা
অনেকেই জানি যে রাজশাহীর বিখ্যাত আম লিচু ২৩ সেরা তাইনা আরো অনেক আছে যে
রাজ্যের সেরা জিনিস যেমন:
- রাজশাহীর বিখ্যাত কালাই রুটি
- রাজশাহীর বিখ্যাত কালাই রুটি ও হাসের মাংস
- রাজ্যের বিখ্যাত আম লিচু
- বাচ্চার বিখ্যাত কাঁঠাল
- রাজশাহীর বিখ্যাত মিষ্টি স্বাদের পান
- আরো আছে রাজশাহী শহরে বাটার মোড়ের গরম জিলাপি
- রাজশাহীর কালাভুনা
- গরম মিষ্টি ও বট রুটি
শুধু এগুলোই না আরো অনেক খাবার জিনিস আছে যেগুলো রাজশাহীর বিখ্যাত এবং
রাজশাহীরে খাবারগুলো সচরাচর অন্যান্য জেলাতে খুব কম বললেই চলে যেগুলো খাই এবং
রাজশাহীর এমন কিছু রেস্টুরেন্ট কিংবা জায়গা আছে যেগুলো রাজ্যের বিখ্যাত
খাবার নামে পরিচিত। ও অনেক জেলার মানুষ হয়ে এসে রাজশাহীতে এসব জায়গাগুলোতে
খাবার খেতে যাই। যেমন আছে রাজশাহীর কালাই হাউস যেখানে অনেক মানুষ হয়ে
প্রতিদিন খেলায় রুটি ও হাঁসের মাংস খেতে যায়।
রাজশাহী দর্শনীয় স্থানগুলো - উপসংহার
আজকের আটিকেলটি আপনাদের কাছে আমি মনে করব যে অনেক সুন্দর হয়েছে এবং রাজশাহীর
যে সকল বিখ্যাত স্থানগুলো আছে সে সকল বিখ্যাত স্থান সম্পর্কেও আমি আলোচনা করেছি
আবার রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। আরো আলোচনা করেছি যে
রাজশাহী শহর থেকে এই সকল জায়গাগুলোতে যেতে কতটুকু সময় লাগে কত টাকা ভাড়া
লাগে এবং কত দূর দূরত্ব সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সে এগুলো আলোচনার
ফলে আমি মনে করব এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অন্তত রাজশাহী
শহরে যদি কোনদিন বেড়াইতে আসেন তার জন্য হলেও আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ।
- আরো পড়ুনঃ ফাইবার থেকে টাকা ইনকামের পদ্ধতি
এখন কথা হচ্ছে রাজশাহী শহরে আমার বাসা এবং রাজশাহীতে ঘোরাঘরের মত বলতে গেলে
মানে প্রতিদিন ওই প্রায় হাজার হাজার মানুষ দর্শন করতে আসে শুধু ঐতিহাসিক স্থান
গুলো দেখার জন্য। আবার রাজশাহের কিছু স্থানীয় লোকজনরাও সময় কাটানোর জন্য
কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানেই বেশি ঘোরাঘুরি করে। এখানে আছে সুন্দর একটি
পার্ক এবং নভোথিয়েটার যে নভোথিয়েটারের ভেতরে ঢুকলে অনেক সুন্দর একটি
প্লেসমেন্ট অনেক সুন্দর লাগে। আশা করব আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো
লাগবে ওই আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই আরো জেনেছি আমরা রাজ্যের সকল দর্শনীয় স্থান
আবার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কেও জেনেছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url