চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার - ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন


চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার? চুলের যত্ন নেয়ার জন্য কালোকেশী অত্যন্ত উপকারী একটি গাছ, এই গাছটা দিয়ে আপনি কালোকেশীর তেল তৈরি করতে পারবেন। আবার হেয়ার প্যাক ও তৈরি করতে পারবেন। আরো চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য ও কালোকেশীর গাছটি ব্যবহার করতে পারবেন। 
চুলের-যত্নে-কালোকেশী-ব্যবহার
আর আজকে আমি আপনাদেরকে সম্পূর্ণ কালকেশী গাছের উপকারিতা সম্পর্কে ও কিভাবে ব্যবহার করবেন কিভাবে তেল তৈরি করবেন কিভাবে তৈরি করবেন সম্পূর্ণ আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলে। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করুন ও কালকেশী গাছের ব্যবহার ও উপকার সম্পর্কে জেনে নিন। 

পেজ সূচিপত্র: চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার? আজকে আমরা এই আর্টিকেলে জানব, যে চুলের যত্ন নেয়ার জন্য কালোকেশীর ব্যবহার। কালোকেশী ব্যবহারের ফলে আমাদের চুলের অনেক উপকার হয়। আমাদের মাথার চুল যদি পড়ে, তাহলে চুল পড়া বন্ধ করে। ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, আবার চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে? ও চুল কালো করতে সাহায্য করে, আরো অনেক উপকার আছে কালোকেশী ব্যবহারে। আজকে আপনাদের এই আঁটিকেলের মাধ্যমে জানাবো, কালোকেশী ব্যবহারে কত ধরনের উপকার আছে ও অপকার আছে। তাই প্রথমেই আমরা জেনে নিই, কালোকেশী‌ ব্যবহারের ফলে আমাদের চুলের অনেক উপকার হয়। 

তবে আপনি যদি চান তাহলে, চুলের যত্নে কারিপাতা ব্যবহারের নিয়ম ও কারি পাতা ব্যবহারে কি কি উপকার ও অপকার আছে। সে সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি নিচে আরো পড়ুন, সেকশনটি তে ক্লিক করে। আমার লেখা সেই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। এবং চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহারের ও সম্পূর্ণ নিয়ম আবার উপকার এবং কি কি ঝুঁকি আছে সুন্দরভাবে জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি আর্টিকেলটি পড়বেন। আমি আবারও অনুরোধ করবো, নিচে আরো পড়ুন, সেকশনের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
আবার আপনার চুলে যদি, কোন সমস্যা হয়ে থাকে, কিংবা আপনার মাথায় যদি অনেক উকুন ও খুশকি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি কালোকেশী ব্যবহার করতে পারেন। এবং কালোকেশী ব্যবহারে আপনার চুলের উকুন ও খুশকি চিরতরে দূর হয়ে যাবে। আবার আপনি যদি পারেন তাহলে, কালোকেশীর তেল ১ মাস রাতে সোবার আগে আপনি মাথায় 15 মিনিট ধরে মাছাজ করেন, তাহলে আপনার মাথার উকুন খুশকি এবং অন্যান্য সকল সমস্যা যেমন মাথা ব্যথা করা, মাথার চুল পড়ে যাওয়া, চুল পেকে যাওয়া এই সকল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। কালোকেশীর তেল ব্যবহারে এবং এভাবে যদি আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ১ মাস রাতে সোবার আগে ব্যবহার করেন। আবার আপনার চুল কালো হবে, ঘন হবে, তাই ফুলের যত্ন নেয়ার জন্য কালোকেশী ব্যবহারের নিয়ম সুন্দরভাবে জানতে হবে, এবং সুন্দরভাবে জানতে এই আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের নিয়ম

উপরের সেকশনে জেনেছেন, কালোকেশী ব্যবহারের উপকার সম্পর্কে। কিন্তু ব্যবহারের নিয়ম সম্পূর্ণ জানেনি। এই সেকশনটি পড়লে জানবেন, কালোকেশী কিংবা কালোকেশীর তেল কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। আরো জানবেন চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য, কালোকেশী কিভাবে ব্যবহার করলে ভালো হবে। আবার আপনাদের বলে দি, নিচের সেকশনটি পড়লে আপনি জানবেন কালোকেশী ব্যবহারের ১০ টি উপকার সম্পর্কে। আরো জানবেন, কালকেশীর তেল কিভাবে তৈরি করতে হয়। 

আবার কালোকেশীর হেয়ার প্যাক তৈরির নিয়ম ও জানতে পারবেন। তাই আমি অনুরোধ করবো, এই সকল নিয়মগুলো জানতে হলেও, আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এখন আমরা জানবো, কালোকেশী ব্যবহারের কিছু নিয়ম। প্রথমে বলি কালোকেশী মূলত আপনি চাইলে অনেকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। আজকে আমি আপনাদের, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কালোকেশী কিভাবে ব্যবহার করলে ১০০% কাজ করবে। তবে আমি বলবো হেয়ার প্যাক ও কালোকেশীর তেল ব্যবহারে ফলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুলকে লম্বা করতে এবং চুলের উকুন খুশকি দূর করতে অনেকটা সাহায্য করবে।

আবার আপনার শরীরে কোন জায়গায় যদি কেটে যায় তাহলে, আপনি সাথে সাথে যদি কালোকেশীর পাতা কিছু দিয়ে বেটে সেখানে লাগিয়ে দেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত বের হলে, রক্ত বের হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, এবং রক্ত বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেলে ৫ মিনিট পরে এই কথাগুলো তুলে ফেলে সেই জায়গাটি পরিষ্কার করবে নিয়ে আবার যদি আপনি আরো কিছু পাতা ওখানে দিয়ে দেন বেটে। তাহলে আপনি এক ঘণ্টার মধ্যে সেই কাটা জায়গাতে আর রক্ত বের হবে না, ও সেই কাঁটা জায়গাতে কোন ব্যথাও অনুভব করবেন না। এমনকি ওই জায়গাটা এক সপ্তাহের মধ্যে শুকিয়ে যাবে, এবং ১ মাসের মধ্যে কাটা দাগ মুছে, আগের মত হয়ে যাবে। এবং নিজে ব্যবহার করে দেখেছি ১০০% কাজ করেছে।

এর জন্যই কিন্তু আপনাদের মাঝেও শেয়ার করছে। এখন আপনাদের যদি, আমার আর্টিকেল পড়তে ভালো লাগে, তাহলে অনুরোধ করবো, আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝে এবং আত্মীয়-স্বজনের মাঝে শেয়ার করুন। এই বিষয়গুলো শেয়ার করলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না, কিন্তু অনেক উপকার হবে, আপনার এবং আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের। আপনার মনে হতে পারে আমি কেন শেয়ার করব, এর জন্য আপনি নিজেই আর্টিকেলটি পরলে বুঝতে পারবেন, যে এই আর্টিকেলেটি পড়ে আমার কতটা উপকার হচ্ছে। এর জন্য আমি বলবো, আপনার যদি উপকার হয় তাহলে অন্যজনেরও উপকার হবে, আরেকজনের উপকার হোক তার জন্য, আমি বলব আমার এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এবং আপনার যদি কোন বিষয়ে না জানা থাকে, আমাকে মন্তব্য করবেন। আমি সেই বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করব।

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের ১০ টি উপকারিতা

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের ১০ টি উপকারিতা? আবার আমরা উপরের সেকশনগুলো পড়ে বুঝেছি, কালকেশীর তেল কিংবা হেয়ার প্যাক ব্যবহারে কতটা উপকার আছে। কালোকেশীর অনেক উপকার আছে ও আমরা কালোকেশীর ১০ টি উপকার সম্পর্কে জানবো। তাহলে নিচে দেখে নিন, কালকেশীর ১০ টি উপকার সম্পর্কে ও জেনে নিন। কালোকেশী ব্যবহারে কি কি উপকার আছে।
  1. আপনার যদি হাত-পা কোন জায়গায় কেটে যায় তাহলে, আপনি কালোকেশীর পাতা পাটাতে বেটে ওই জায়গাতে লাগালে। তখনই আপনার রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে, এবং ২-৩ বার ব্যবহারের ফলে ব্যথা-নিরাস হয়ে যাবে। আবার সেই কাটা জায়গাটি এক সপ্তার মধ্যে মুছে যাবে।       
  2. কালোকেশীর তেল ব্যবহারের ফলে আপনার মাথা ঠান্ডা হবে, মাথার চুল পড়া বন্ধ হবে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে, এবং চুলের গোড়া শক্ত করতেও সাহায্য করবে। 
  3. কালোকেশীর হেয়ার প্যাকটি ব্যবহারের ফলে, আপনার মাথায় যদি কোন উকুন কিংবা খুশকি থাকে তাহলে ১০০% আমি গ্যারান্টি দিব দূর হয়ে যাবে। আবার যদি পাকা চুল থেকে থাকে পাকা চুল উঠে সেই জায়গাতে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে 
  4. কালোকেশী ব্যবহারের ফলে আপনার লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য করে, এবং লিভারের যেকোন সমস্যায় সমাধানে অনেকটাই সাহায্য করে।
  5. নিয়মিত দুই চামচ করে কালোকেশীর রস খেলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ রাখতে রাখে।        
  6. কালোকেশী ব্যবহারে শরীরের যেকোনো রোগ প্রতিরোধে লড়াই করতে সক্ষম হয়। 
  7. আবার যাদের অনেক কাশি এবং যাদের সিগারেট খেয়ে খেয়ে কাশি বেড়ে গেছে, তারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কালোকেশী রস খেলে কিংবা কালোকেশীর পাতা খেলে, একমাসের মধ্যে শরীরের সকল রোগ নিরাশ করবে ও আপনার কাশি ভালো হয়ে যাবে।        
  8. যাদের মাথা অল্পতে গরম হয়ে যায়। তারা নিয়মিত বাসা থেকে বের হওয়ার সময়, একটু করে কালোকেশীর তেল মাথায় দিয়ে বের হলে, মাথা ঠান্ডা রাখবে।        
  9. আরেকটা কথা যাদের মাথা ব্যথা হয়। তাদের কালোকেশীর তেল ব্যবহারে অনেক উপকার হবে, যেমন মাথা ব্যাথা শুরু হলে, দু ফোটা কালোকেশীর তেল নাকের গোড়াতে দিন ও কপালে দু এক ফোঁটা দিয়ে, পাঁচ মিনিট মাসাজ করুন দেখবেন মাথা ব্যাথা দূর হয়ে গেছে 
  10. কালোকেশী ব্যবহারে মাথার চুল গজাতে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে খুবই কার্যকরী একটি উপায়। আবার কালোকেশী ব্যবহারে ফলে, আপনি আপনার চুলের যত্ন না নিলেও এমনিতেই আপনার চুল সুন্দর দেখাবে।        
আশাকরি আপনারা বুঝতে পেরেছেন, কালোকেশী ব্যবহারের ১০ টি উপকারিতা, ও কালোকেশী ব্যবহারের ১০ টি গুণ সম্পর্কে। এখন আপনারা ইচ্ছে করলে আপনার নিজের বাসায় বসে থেকে,  কালোকেশীর ১০ টি গুণ নিজেই ট্রাই করে দেখতে পারেন কাজ করছে কিনা।

চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহার কয়েকটি অপকারিতা

আমরা ওপরের সেকশন গুলো পড়ে জেনে এসেছি, চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহারে ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে। একটা কথা কি সবাই জানি যে, জিনিসের ব্যবহারে উপকার আছে, সে জিনিস ব্যবহারে কিন্তু ক্ষতিও আছে। ঠিক তেমন কালকেশী ব্যবহারে যেমন উপকার আছে, ঠিক তেমনি কালকেশী ব্যবহারে কিছু ক্ষতিও আছে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে, কালকেশী ব্যবহারে কি কি ক্ষতিকর দিকগুলো আছে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আবার বলে দেবো কি কি ক্ষতি হতে পারে কালকেশী ব্যবহারে। তাহলে এখন নিচে দেখে নিন, কালোকেশী ব্যবহারের কয়েকটি ক্ষতিকর দিকগুলো।
  • আপনার শরীরের যদি এলার্জি থাকে তাহলে কালকেশী ব্যবহারে এলার্জি বেড়ে যাবে।       
  • কালোকেশীর রস অথবা তেল আপনার চোখে পড়লে চোখ জ্বালাপোড়া করবে।
  • অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আপনার মাথার চুল পড়ে যেতে পারে।
  • আবার এটি ব্যবহারের ফলে সবার কিন্তু উপকার হয় না। তাই ১ থেকে ২ সপ্তাহ ব্যবহারের পরে, আপনি যদি দেখতে পান, আপনার কোন উপকার হচ্ছেন না। তাহলে কালকেশী ব্যবহার করা বন্ধ করে দিবেন। তা না হলে আপনার মাথার চুল উঠে যেতে পারে।
  • গর্ভবতী অবস্থায় কালোকেশীর তেল, কিংবা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যাবে না। গর্ভবতী অবস্থায় কালকেশী ব্যবহারের ফলে আপনার সন্তানের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • আবার কারো যদি, স্কিনের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনারা কালোকেশীর তেল মাথায় ব্যবহার করবেন না। এতে আপনাদের অনেক ক্ষতি হতে পারে এবং আপনার মাথার চুল সব ঝরেও পরতে পারে।
চুলের-যত্নে-কালোকেশী-ব্যবহার
এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন, কালকেশীর তেল কিংবা কালোকেশী হেয়ার প্যাক ব্যবহারের ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে সেগুলো সুন্দরভাবে জেনেছেন। এবং এই ক্ষতি তাদেরই হবে, যাদের আগে থেকেই সমস্যা। এজন্য যাদের কোন সমস্যা নাই তারা নির্ভয় কালকেশী ব্যবহার করতে পারে। আবার যাদের সমস্যা আছে তাদেরকে, আমি বলব এটি ব্যবহারের ফলে, আপনার ক্ষতি হতে পারে, এজন্য এটা ব্যবহার না করাই ভালো আপনার জন্য।

কালোকেশী গাছ কি কি সমস্যাই ব্যবহার করা যাবে 

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে উপরে জেনেছি। এখন জানবো কালকেশীর গাছ কি কি সমস্যায় ব্যবহার করা হয়। আবার আমরা ইতিমধ্যেই জেনে এসেছি কালোকেশী ১০ টি উপকার সম্পর্কে। আবার এখানে আমরা জানবো ওই উপকার গুলো সম্পর্কে, তবে আরো জানবো কালকেশী ব্যবহারে কি কি সমস্যা সমাধান করে। তাহলে নিচে দেখে নেয়া যাক, কালোকেশীর গাছ কি কি সমস্যায় ব্যবহার করা যাবে। 
  1. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে।
  2. চুল পড়া বন্ধ করতে কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে। 
  3. চুল কালো করার জন্য কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে। 
  4. মাথার উকুন ও খুশকি দূর করার জন্য কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে।
  5. মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে। 
  6. রক্ত বন্ধ করার জন্যও কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে।
  7. লিভার ভালো রাখার জন্য কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে।
  8. চুলের গোড়া মজবুত করতে কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে। 
  9. নতুন চুল গজানোর জন্য কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে।
  10. কাশি কমানোর জন্য কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করা যাবে।
এখন আপনারা সম্পূর্ণ বুঝে গেছে কালোকেশীর গাছ ব্যবহারে কি কি উপকার হয়। আর একটা কথা, না বললে না, কালোকেশীর গাছ ব্যবহারে উপকার ঠিকিই আছে, আবার ক্ষতিও আছে। কিন্তু আমি বলবো ক্ষতির চাইতে উপকার বেশি কালোকেশীর গাছ ব্যবহারে। তাই আমি সাজেস্ট করব, আপনাদের মাথার সমস্যায় কিংবা চুলের যেকোনো সমস্যাই কালোকেশীর গাছ ব্যবহার করবেন। এবং আমি ১০০% গ্যারান্টি দিব, কালোকেশীর গাছ ব্যবহারে আপনার মাথার ও চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

চুল কালো করার উপায় 

চুল কালো করার উপায়? আবার চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার। এখানকার দুইটা টপিকই কিন্তু আপনার কাছে একই মনে হচ্ছে তাইনা। কিন্তু দুইটা টপিক এক না, আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লেই বুঝে যাবেন। তাহলে চলুন চুল কালো করার জন্য কিছু উপায় জেনে নিই এই সেকশনে। এখন আপনার চুল যদি, কালো করতে চান তাহলে, আপনি কালোকেশী ব্যবহার করতে পারেন, এবং ১ মাস নিয়মিত কালকেশী ব্যবহারের ফলে আপনার চুল ১০০% কালো হবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। এখন আপনার চুল কালো করার জন্য, কালোকেশী কিভাবে ব্যবহার করবেন? প্রথমত আপনি যদি কালোকেশী তেল ব্যবহার করতে চান তাহলে ও হবে, আবার যদি মনে করেন, কালোকেশীর পেস্ট কিংবা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করব সেটাও করতে পারেন। মানে এক কথাতে কালকেশী ব্যবহারের ফলে আপনার মাথার চুল কালো হবে ১০০% আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।
আবার আপনি চাইলে কালকেশীর ব্যবহারটিকে বলতে পারেন, ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়া। এই কথাটা বলার কারণ হচ্ছে, আপনি এটা আপনার নিজের বাসাতেই তৈরি করতে পারবেন, এবং নিজেই এই পেষ্টি কিংবা কালকেশী আপনার শরীরের অথবা লাগাতে পারবেন, খুব সহজেই। আবার অনেকের প্রশ্ন আসতে পারে, কালোকেশীর গাছটি কোথায় পাবো। তবে গ্রামাঞ্চলে যারা বসবাস করেন তাদের জন্য এটা আরো সহজ। গ্রামাঞ্চলে আপনাদের বাসার আসে পাশে খোঁজা খুঁজি করলেই দেখতে পাবেন, কালকেশীর গাছটি। গ্রামাঞ্চলে এই গাছটি অনেক হয়ে থাকে, কিন্তু যারা শহরে থাকেন তাদের জন্য, এই গাছটি খোঁজা মোটেও সহজ নয়। কালোকেশীর গাছটি আবার শহরের ভেতরে সব জায়গায় হয় না। শহরে এমন জায়গায় হয়, যেখানে অনেকদিন ধরে কোন কিছু করা হয় না, জায়গাটি পড়ে আছে এমন জায়গাতে যদি খোঁজাখুঁজি করেন তাহলে পেতে পারেন।

কালোকেশী গাছের তেল তৈরি করার নিয়ম

এতক্ষণ তো আমরা অনেক কিছুই জানলাম? আবার জানলাম ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন কিভাবে নিতে হয়। আরো জেনেছি চুলের যত্নে কালকেশীর ব্যবহার। এখন আমরা জানবো, কালকেশী গাছের তেল তৈরি করার নিয়ম। আবার কালকেশী গাছের তেল ১০০ জন তৈরি করে তাহলে তাদের ভেতর ৮০ জন লোকই ঠিক ভাবে তৈরি করতে পারে না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে, কালকেশীর গাছ দিয়ে তেল তৈরি করার সম্পূর্ণ নিয়ম বলবো। সঠিক নিয়মে কালকেশী গাছের তেল, কিভাবে তৈরি করবেন। নিচে স্টেপ বাই স্টেপ দেখে নিন।
  • প্রথমে একটি পাত্র নিবেন 
  • পাত্রে নারিকেলের তেল এক কাপের মতো নিবেন
  • তার সঙ্গে একটি আমলকি নিবেন ও
  • এক চামচ মেথি নিয়ে নিবেন 
  • এবং কালোকেশী গাছের কয়েকটি পাতা নিয়ে নিবেন 
  • পাতাগুলো অবশ্যই পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন 
  • এরপরে সবগুলো মিশ্রণ করে দশ মিনিটের মত চুলার উপরে দিয়ে জাল করে নিবেন 
  • এবং সেটাকে জাল করা হয়ে গেলে ২-৩ ঘণ্টার জন্য একটি পরিষ্কার জায়গাতে থুয়ে দিন 
  • জিনিসটি ঠান্ডা হয়ে গেলে ফেকনি দিয়ে ছেকেনিন কিংবা পরিষ্কার একটি তেনা দিয়ে ছেঁকে নিন 
  • যদি সম্ভব হয় কাচের বোতলে মজুদ করে রাখুন 
  • সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন 
  • নিয়মিত একমাস ব্যবহারের ফলে আপনি এর উপকার সম্পর্কে এমনিতেই বুঝতে পারবেন।
এখন সম্পূর্ণ বুঝে গেছেন কালোকেশী গাছ দিয়ে অথবা পাতা দিয়ে কিভাবে তেল তৈরি করতে হয়। এবং কালোকেশীর তেল ব্যবহারের ফলে আপনার চুলের অনেক উপকার হবে। এখন আপনি নিশ্চিন্তে কালোকেশীর তেল যদি, একমাস ব্যবহার করেন তাহলে, এক মাসে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে, নতুন চুল গজানো শুরু হবে, এবং আপনার মাথায় যদি খুশী থেকে থাকে সেটাও দূর হবে।

কালোকেশী গাছের হেয়ার প্যাক তৈরি করার নিয়ম

ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন ও কালকেশী গাছের তেল তৈরির নিয়ম ইতিমধ্যে জেনেছি। এবার জানবো, কালোকেশী গাছের হেয়ার প্যাক তৈরি কিভাবে করা যায়। এবং কিভাবে করলে সেটি খুব দ্রুত তৈরি করা যাবে, সে সম্পর্কে সুন্দরভাবে আলোচনা করব,ও স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিব। তাহলে নিচে দেখে নিন কালকেশী গাছের হেয়ার প্যাক তৈরির নিয়ম।
  • একটি ছোট দেখে পাত্র নিয়ে নিন
  • প্রথমে আপনি কিছু কালোকেশী গাছের পাতা নিয়ে নিন 
  • আর অবশ্যই পাতাটিকে ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন 
  • আর যদি আপনার কাছে পাতা না থেকে থাকে আপনি বাজারে থেকে যে কোন মুদিখানার দোকান থেকে কালোকেশীর গুড়া পাওয়া যায় সেই গুড়া নিয়ে আসতে পারেন
  • এর সঙ্গে এলোভেরা দুই থেকে তিন চামচ দিয়ে দিন এবং 
  • নারিকেলের তেল কিনবা তিলে তেল যদি থাকে এক কাপ নিয়ে নিন 
  • আপনি যদি মনে করেন সাদা পানি দিয়ে পেজ তৈরি করবেন তাও পারবেন আবার যদি মনে করেন যে গোলাপজল দিয়ে করব সেটাও পারবেন
  • অবশ্য গোলাপজল দিয়ে করলে একটু ভালো হতো 
  • এবং সবগুলো একসঙ্গে মিশ্রন করে ব্লেন্ডারের সাহায্যে মিশ্রণ করে নিন কিংবা শিল্পা টা দিয়ে বেটেও নিতে পারেন
হ্যাঁ, এটাই হলো কালোকেশী গাছের হেয়ার প্যাক তৈরির নিয়ম। এবং এই হেয়ার প্যাকটি খুব সহজেই, আপনার বাসাতে বসে থেকে তৈরি করতে পারবেন। এবং এটা ব্যবহারের নিয়ম, ইতিমধ্যে উপরে জেনে এসেছেন। তবুও আমি আরেকটু বলে দিই। এটি রাতে সোয়ার আগে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করতে পারবেন। ভালো করে মাথায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে। এবং মাসাজ করার পরে তোয়ালি দিয়ে মুড়িয়ে নিন। তাহলে বিছানা নষ্ট হবে না। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে চুলে শ্যাম্পু করে নিবেন। এভাবে ১ মাস ব্যবহারে আপনি রেজাল্ট পাবেন। এবং কালোকেশী গাছের হেয়ার প্যাক তৈরি করার নিয়ম ১০০% জেনেছেন।

নতুন চুল গজাতে কালকেশী হেয়ার প্যাক ব্যবহারের নিয়ম

আমরা ওপরে পড়ে জেনেছি, কালোকেশীর হেয়ার প্যাক তৈরির নিয়ম ও ব্যবহারের নিয়ম। আরো জেনেছি চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহার। তবে এখানে আমরা জানবো, নতুন চুল গজাতে কালকেশীর হেয়ার প্যাক কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে চলেন দেখে নেয়া যাক, কালোকেশীর হেয়ার প্যাকটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, স্টেপ বাই স্টেপ নিচে সুন্দরভাবে দেখে নিই।
  • একটি একটি ছোট পাত্রের নিয়ে নিন এবং ভালোমতো মিশিয়ে নিন 
  • এরপরে আঙ্গুল দিয়ে চুলের গোরাতে মাসাজ করুন 
  • মাথার গোটা তুলে লাগিয়ে নিন এবং গোড়াগুলোতে একটু ভালো করে লাগান 
  • দের থেকে ২ ঘন্টা মাথাতে রাখুন 
  • এখন হালকা গরম পানি লাগবে হালকা গরম পানি দিয়ে মাথাটি ভিজিয়ে নিন 
  • এবং আরো ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন 
  • এরপরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন 
  • সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন 
চুলের-যত্নে-কালোকেশী-ব্যবহার
এবং এই প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করুন। তাহলে আপনি এটার রেজাল্ট বুঝতে পারবেন, এবং নিয়মিত এক মাস ব্যবহারের করলে আপনার মাথায় চুল পড়ে গেলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। এবং নিয়মিত যদি ১ মাস ব্যবহার করেন তাহলে, ১ মাসে আপনার চুল অনেকটাই বড় হয়ে যাবে ও নতুন চুল গজাবে। এখন এই কথা আপনার বিশ্বাস নাও হতে পারে, তবে আপনি একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আসলেই কি আর্টিকেলে গিয়ে কথা বলেছি সেটি সত্য কিনা বুঝে যাবেন তাহলে।

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার - উপসংহার

আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে জানতে পেরেছি, চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার ও ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন কিভাবে নেওয়া যায়, সে সম্পর্কে। আরো জেনেছি, কিভাবে হেয়ার প্যাক তৈরি করতে হবে, কিভাবে তেল তৈরি করতে হবে, এবং এটার উপকার ও অপকার সম্পর্কেও জেনেছি। তাহলে আপনি এখন ঘরোয়া উপায়ে আপনার চুলের যত্ন নিতে পারবেন। আবার চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার এর সকল বিষয়ে ধারণা পেয়েছেন এবং আপনি নিজেই এখন তৈরি করতে পারবেন।
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারে? আমার মন্তব্য হচ্ছে, আপনারা যদি এই প্যাকটি ব্যবহার করেন ও এই তেল ব্যবহার করেন। তাহলে একটা কথা মাথায় রাখবেন, সপ্তাহে ১ দিন থেকে ২ দিন ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনি চাইলে, পরের সপ্তাহ থেকে ১ বার ব্যবহার করলেও কোন সমস্যা হবে না। আবার আপনি যদি পরের সপ্তাহে ৪ দিন থেকে ৫ দিন ব্যবহার করেন তাহলে, অনেক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন এর বেশি ব্যবহার করেন তাহলে ক্ষতি হতে পারে। আবার যদি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে নিয়মিত আপনাকে প্রতি সপ্তাহে ৩ দিনই ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনি এটার উপকার বুঝতে পারবেন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সবকিছু বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url