বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় - হ্যাক হওয়া টাকা ব্যাক আনার উপায়


বিকাশ একাউন্টে হ্যাক হলে করণীয়? বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম হলো বিকাশ এবং এই বিকাশ যদি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনি কি করতে পারেন এবং কিভাবে সেই হ্যাক হয়ে যাওয়া বিকাশের টাকা ব্যাক আনা যায়। সেই সম্পর্কে আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা।
বিকাশ-একাউন্ট-হ্যাক-হলে-করণীয়
আবার অনেকেই জানেন না যে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে কি করবেন। বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে কি করবেন আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোক সরকারের পুরনো স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নিন। ও এক সম্ভাবনার কারণ কিভাবে টাকা ব্যাক পাওয়া যায় সে বিষয়েও জেনে নিন। 

পেজ সূচিপত্র: বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়

বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়

বর্তমানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম হল বিকাশ। এবং আমরা জানি যে এই বিকাশ ব্যবহারকারীর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এবং আরো জানি বিকাশ থেকে টাকা হ্যাক হওয়ার সংখ্যাও অনেক বেড়েই চলেছে তবে ২০২৩ সালের রেকর্ড অনুযায়ী প্রতি ১০০ জন বিকাশ ইউজারের মধ্যে দশ জনারই বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার রেকর্ড অনেক বেশি। এবং ২০২৫ সালের রেকর্ড অনুযায়ী আমরা জানি প্রতি ১০০ জন বিকাশ ইউজার এর মধ্যে প্রায় দুই থেকে তিনজনার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা পাওয়া গেছে। তাহলে নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পেরেছেন যে ২০২৩ সালের অনুযায়ী ২৫ সালে এসে এখন চাহিদাটা অনেকটাই কমে গেছে। 
তারপরেও নিজেকেও সতর্ক থাকতে হয় এবং নিজে যদি সতর্ক থাকেন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক কোন সময় হবে না। এবং যদিও হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনি কি করতে পারেন। যদি আপনার বিকাশ একাউন্ট আপনার অজান্তে হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনি যখনই বুঝতে পারবেন তখনই আপনি বিকাশ হেল্পলাইনে ফোন করে আপনার সমস্যাগুলো তাদেরকে জানাতে পারবেন এবং তারা আপনার সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবে। আবার আপনি যদি মনে করেন বিকাশে সরাসরি চ্যাট করবেন সেটির মাধ্যমে ২০২৫ সালে এসে চালু হয়ে গেছে। বিকাশে চ্যাট করতে এখানে ক্লিক করুন

বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার কিছু কারণ

বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার কিছু কারণ? বিষয় হচ্ছে আপনারা উপরে সেকশনে জানলেন বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় এবং এইসেকশনে আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব যে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার কিছু কারণ নিয়ে। যে কি কি কারণে আপনার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হতে পারে। প্রথমে আমি বলি যে আপনার গাফিলতির কারণেই আপনার বিকাশ একাউন্টটি হ্যাক হতে পারে যেমন অনেক হ্যাকাররা আছে যারা আপনাকে ফোন দিয়ে বলবে স্যার আপনার বিকাশ একাউন্টে এত টাকা আছে এবং আপনার সেই টাকাতে আপনি তুলতে পারবেন না। 

এবং তারা আপনাকে ফোর্স করবে যে আপনি যদি এই টাকাটি তুলতে চান তাহলে আমাদের কিছু ইনফরমেশন দিয়ে সাহায্য করলে আপনি টাকাটি তুলতে পারবেন। তখন আপনি যদি সেই হ্যাকারের কথা অনুযায়ী সেই ইনফরমেশন গুলো আপনি তাকে দিয়ে দেন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হয়ে যাবে। এটি একটি কারণ 

দ্বিতীয়তঃ আপনি এমন অনেক সাইট আছে যেখানে আপনি আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন দিয়ে পেমেন্ট নিতে চান। যেমন এমন অ্যাড আছে যেগুলোতে বলা হবে ফ্রিতে ২০০০ টাকা ৩ হাজার টাকা নিতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন এবং একাউন্ট তৈরি করুন। আপনি যদি সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার বিকাশ একাউন্টের ইনফরমেশন গুলো দিয়ে সেই সাইডে একাউন্ট তৈরি করলে আপনার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

আবার আপনি যদি খুব বেশি এমাউন্টেড টাকা কোন অচেনা এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ডিপোজিট করে থাকেন তাহলেও আপনার বিকাশ একাউন্টটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কারণ সেই এজেন্ট পয়েন্ট থেকে আপনার বিকাশের নাম্বার হ্যাকারদের কাছে দিয়ে দেয় এবং হ্যাকাররা আপনার থেকে টাকাটি নিয়ে নিতে পারে যদি আপনি তাদের ইনফরমেশন গুলো দিয়ে দেন। 

তাহলে আপনারা হয়তো বুঝে গেছেন এই সেকশনটি পড়ে যে আপনার বিকাশ একাউন্ট কি কি কারনে হ্যাক হতে পারে। আমি একটা কথা বলবো আপনি যদি নিজে সচেতন থাকেন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট কোন সময়ই হ্যাক হবে না। এবং কোন সমস্যা হবে না আপনার বিকাশ একাউন্টে। তবে আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার একাউন্টে কোন সমস্যা হয়েছে তাহলে আপনি সরাসরি বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদেরকে সেই বিষয়ে বলতে পারেন। বিকাশ প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে এই বাটনে ক্লিক করুন এবং তাদের সঙ্গে সরাসরি লাইভ চ্যাট করুন। আবার চাইলে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারেও ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেন বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার হল ১৬২১৬ 

কিভাবে বুঝবেন আপনার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হয়েছে

কিভাবে বুঝবেন আপনার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হয়েছে। এমন অনেক বিকাশ ইউজার আছেন যারা বিকাশে তেমন একটা খুব লেনদেন করেন না কিন্তু হুট করে একদিন দেখা যায় যে কোথাও থেকে বেশি একটা পরিমাণের টাকা আপনার বিকাশ একাউন্টে চলে আসে। যেমন আপনার পরিচিত কেউ আপনাকে কিছু টাকা পাঠাবে সে অনেক দূরে আছে সে আপনার বিকাশ একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়। এবং এই ইউজারদেরকে বিশেষ করে আমি বলব আপনারা হয়তো কোন একদিন কাউকে আপনার বিকাশ একাউন্টের তথ্য দিয়েছেন আপনি নিজেই ভুলে গেছেন। কিন্তু আপনার একাউন্টে টাকা নাই এজন্য আপনি বুঝতে পারেন নাই যে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়েছে এবং আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে আছে। 
তখন আপনি কি করতে পারেন টাকা আসার আগে আপনার অ্যাকাউন্টটি চেক করে নিতে পারেন। যেমন আপনি চাইলে বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং বিকাশ হেল্পলাইনে কল করে আপনি জেনে নিতে পারেন যে আপনার একাউন্টে কি হ্যাক হয়ে আছে কি চেক করে দিন। কারণ যেহেতু আপনি অনেক দিন ধরে বিকাশটি ব্যবহার করেন না হুট করে যদি আপনার একাউন্টে এতগুলো টাকা আসে বাই চান্স যদি হ্যাক হয়ে থাকে তাহলে সেই টাকাগুলো আপনি তুলতে পারবেন না হ্যাকাররা সেই টাকাগুলো তুলে নিবে। বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে এই নাম্বারে ১৬২১৬ কল করুন এবং লাইভ চ্যাটে সরাসরি মেসেজ করতে এই বাটনে ক্লিক করুন

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে কি করবেন

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে কি করবেন এবং বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করনীয়। বিষয় হচ্ছে আমার জানামতে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয় না তবে আপনার ক্রটির কারণে বিকাশ এখন বন্ধ হয়ে যেতে পারে যেমন আপনি যদি বিকাশ পলিসি ভাইলেট করে কোন কাজ করেন বিকাশ একাউন্ট দিয়ে তাহলে আপনার বিকাশ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এবং আপনার বিকাশ একাউন্ট দিয়ে যদি অনেক জায়গায় একসঙ্গে সাবস্ক্রাইপশন কেনা থাকে কিংবা সেগুলো বিকাশ প্রাইভেসির বাইরে তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিংবা ব্লক হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি কি করতে পারেন। 

সেক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় এমন হলে আপনাকে হ্যাকাররাও ফোন দিয়ে বলতে পারে আপনার বিকাশে এই সমস্যা আছে আপনি সেটি সমাধান করতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং আমাদের কিছু ইনফরমেশন দিয়ে সাহায্য করুন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্টের সমস্যা গুলো সমাধান হয়ে যাবে। আপনি যদি তাদের থেকে সমাধান করে নেন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্টে সমাধান হবে প্লাস হ্যাক ও হয়ে যাবে। তো আপনি কিভাবে সেটি বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান করে নিবেন। 
বিকাশ-একাউন্ট-হ্যাক-হলে-করণীয়
তো আপনার অ্যাকাউন্ট যদি বন্ধ হয়ে যায় কিংবা ব্লক হয়ে যায় তাহলে আপনি সরাসরি বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। বিকাশ কাস্টমার হেল্পলাইন নাম্বার হল ১৬২১৬ এটি বিকাশ হেল্পলাইন অফিশিয়াল নাম্বার এবং আপনি চাইলে বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে সরাসরি লাইভ চ্যাটেও যোগাযোগ করে আপনার সমস্যাটি সমাধান করতে পারবেন। বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে লাইভ চ্যাটে কথা বলতে এই বাটনে ক্লিক করুন এবং বিকাশ কাস্টমার প্রদীপের সঙ্গে সরাসরি লাইভ চ্যাটে কথা বলে আপনার সমস্যাটি সমাধান করে নিন।

বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে কোন কোন মাধ্যমে কথা বলবেন

বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে কোন কোন মাধ্যমে কথা বলা যায় কিংবা বলবেন। তো বিষয় হচ্ছে আমি আপনাদেরকে বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার দুইটি মাধ্যম বলে দিয়েছি, এই আর্টিকেলে। তোর যারা উপরের সেকশনগুলো সম্পূর্ণ পড়ে এসেছেন তারা নিশ্চয়ই এতক্ষন জেনে গেছেন বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার দুইটি মাধ্যম সম্পর্কে। বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার যে এই দুটি মাধ্যমে আছে তা না তো চলুন দেখে নেয়া যাক কোন কোন মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন আপনারা। 
  • ১৬২১৬ হট লাইন নাম্বার ১
  • ০২-৫৫৬৬৩০০১ হট লাইন নাম্বার ২
  • support@bikash.com
  • Live Chat 
  • এগুলোর মাধ্যমে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘন্টায় সাপোর্ট পাবেন 
উপরে বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রায় পাঁচটি মাধ্যম আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। এবং বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার এই পাঁচটি মাধ্যমে অফিসিয়াল ভাবে চালু আছে। এবং এগুলো ব্যতীত আর কোন বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার মাধ্যম নেই। আশা করবো আপনারা এই মাধ্যম ব্যতীত অন্য কোন মাধ্যমে গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না। তবে যদি চেষ্টা করেন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হতে পারে। কিংবা এই মাধ্যম ব্যতীত অন্য মাধ্যমে যদি আপনার বিকাশ একাউন্ট এর তথ্য দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হয়ে যাবে।

কোন মাধ্যমে কথা বললে দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়

কোন মাধ্যমে কথা বললে দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন কমেন্ট করেছেন তো তাদের উদ্দেশ্য করে আমি বলব যে আপনারা বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে কোন মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আপনার সমস্যাটি অতি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। প্রথমে আমি বলি বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার ১৬২১৬ তে আপনি যদি ফোন করেন। তাহলে অনেক সময় আছে যে দেখা যায় নাম্বারটি বিজি আছে কিংবা বন্ধ থাকে। এমন সমস্যাগুলো প্রায় সময় ও দেখা যায়। সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় আপনি চাইলে। 
বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে সরাসরি লাইভ চ্যাটে যোগাযোগ করতে পারেন তো লাইভ চ্যাটে যোগাযোগ করতে এই বাটনে ক্লিক করুন এবং লাইভ চ্যাটে যোগাযোগ করলে আপনি অতি দ্রুত সমাধান পাবেন কারণ বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধিরা লাইভ চ্যাটে বর্তমানে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে থাকে এবং আপনার সমস্যাটি অতি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করে থাকে। তবে আমি এটা বলব না যে হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করলে সমাধান হবে না সেখানে যোগাযোগ করলেও সমাধান হবে এবং লাইভ চ্যাট এ যোগাযোগ করলেও সমাধান হবে। 

এবং আপনার যদি এমন কোন সমস্যা থাকে যে এক দুই ঘন্টার মধ্যে সমাধান করলেই হয়ে যাবে তাহলে আপনি চাইলে বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে জিমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। এটার মাধ্যমে যোগাযোগ করলে কি আপনি আপনার সমস্যাটি হয়তো পাঁচ দশ মিনিট দেরি হবে কিন্তু নিখুঁতভাবে আপনার সমস্যাটি সমাধান করতে পারবেন। এবং যদি দ্রুত সমাধান করার কোনো সমস্যা না হয়ে থাকে তাহলে আপনারা অবশ্যই জিমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন।

আশা করব এখন আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় এবং হ্যাক হওয়া টাকা বেঁকানোর উপায় আবার সুন্দরভাবে জেনে গেলেন যে কোন মাধ্যমে বিকাশ প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করলে অতি দ্রুত আপনার সমস্যার সমাধানটি পাওয়া যায়। তাহলে এবার যদি আপনার বিকাশ একাউন্টের কোন সমস্যা হয়, কিংবা যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনি সমাধান করার মাধ্যম কি জেনে গেলেন এবং আপনি নিজেই খুব সহজে সমাধান করতে পারবেন।

কোন এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কি বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করতে পারে

বিষয় হচ্ছে কোন এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কি বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করতে পারে। এ বিষয়টা নিয়ে নানান নানান প্রশ্ন কারণ অনেকেই আছেন তাদের পরিচিত এজেন্ট বাদ দিয়ে অন্য অনেক এজেন্ট দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন এবং ডিপোজিটও করে থাকেন। তবে একটা কথা যে যারা বিকাশ এজেন্ট তারা আপনার অ্যাকাউন্ট সরাসরি হ্যাক করতে পারবে না কারণ তারা যদি আপনার একাউন্ট সরাসরি হ্যাক করেন তার মামলা হয়ে যাবে এবং তাকে অনেক টাকা জরিপানা দিতে হয়। সে কারণে তারা কি করতে পারে তারা আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি এবং আপনার একাউন্টের ইনফরমেশনটি অন্য হ্যাকারদের কে দিয়ে দিতে পারে। 

এবং সে এজেন্ট পয়েন্টের লোক হ্যাক না করে যে হ্যাকারদেরকে দিবে সে হ্যাকাররা আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করতে পারবে এবং সেই এজেন্ট পয়েন্ট কে কিছু কমিশন দিয়ে তার মুখটি বন্ধ করে দেবে। এজন্যই যে কোন এজেন্ট পয়েন্ট থেকে টাকা তোলার কিংবা টাকা ঢোকানোর সময় চেষ্টা করবেন যে পরিচিত এজেন্ট পয়েন্ট থেকেই টাকা তোলা কিংবা বের করার কাজটি করবেন। এক্ষেত্রে আপনি সিকিউরিটি সম্পন্ন থাকবেন। তবে যে অন্য বাইরে কোন এজেন্ট পয়েন্ট থেকে তুলবেন সেটা আপনার উপর ডিপেন্ড করে তুললে কোন সমস্যা নেই কিন্তু এমন অনেক এজেন্ট পয়েন্ট আছে যারা এমন কাজ করে থাকে কিন্তু সব এজেন্ট পয়েন্টে তো আর এমন কাজ করে থাকে না।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার কোন জেলায় কোথায় অবস্থিত

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার কোন জেলায় কোথায় অবস্থিত এটা কিন্তু অনেকেই জানেন না। তবে বিকাশের যেকোনো সমস্যা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সমাধান করতে পারেন তারপরেও অনেকে আছেন যারা একটু মূর্খ সূর্খ মানুষ মোবাইলে কথা বলতে পারেন না তাদের জন্য এই বিকাশ কাস্টমার কেয়ারটি শেষ ভরসা। তো তারা কিভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনার জেলার বিকাশ কাস্টমার কেয়ার কোথায় অবস্থিত। তো আপনারা প্রথমেই গুগল ক্রোমে গিয়ে সার্চ করতে পারেন কিংবা এই বাটনে ক্লিক করতে পারেন আপনি যদি এই লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস আসবে। 
যেখানে আপনি আপনার জেলার নাম লিখলে সেই জেলায় কোথায় কাস্টমার কেয়ার অবস্থিত সেই লোকেশনটি আপনি সুন্দরভাবে দেখতে পাবেন। আবার আপনি চাইলে google ক্রমে গিয়েও সার্চ করতে পারেন বিকাশ কাস্টমার কেয়ার আপনার জেলার নাম লিখে। তাহলেও সুন্দরভাবে গুগল ক্রোম আপনাকে গুগল ম্যাপের লোকেশন দিয়ে দিবে এবং ডাইরেকশনও দিয়ে দিবে যে আপনার সেই জায়গা থেকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার কত কিলোমিটার দূরে এবং কোন মাধ্যমে গেলে কত সময় লাগবে। তাহলে আপনার এই সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে তাই তো।

হ্যাক হওয়া টাকা ব্যাক আনার উপায়

তবে আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় এবং কি কি কারণে হ্যাক হয় আরো বিকাশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছি তবে বিষয় হচ্ছে হ্যাক হওয়া টাকা বেক আনার উপায়। আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা যদি হ্যাক হয়ে যায় যেমন আপনার একাউন্টে ১০ হাজার টাকা আসছে সে টাকাটি আপনি তোলার আগে অন্য কেউ তুলে নিয়েছে। কিংবা সে টাকাটি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন। যখনই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার একাউন্টে টাকা নেই তখনই আপনি বিকাশ হেল্পলাইন এ কল দিবেন কিংবা বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধি সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। 
বিকাশ-একাউন্ট-হ্যাক-হলে-করণীয়
এবং তাদেরকে সকল বিষয়গুলো বলবেন আপনার একাউন্টে কত টাকা আসছিল কিভাবে টাকাটি গায়েব হয়ে গেছে কখন গায়েব হয়ে গেছে সে বিষয়ে। সে ক্ষেত্রে বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধি আপনার ইনফরমেশন গুলো যাচাই-বাছাই করে যদি দেখে এটি সত্য তাহলে তারা আপনাকে আশা দিবে যে আপনার টাকাটি ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার একাউন্টে ব্যাংক এনে দেয়ার। তবে আপনার সেই একাউন্টের টাকাটি যদি কেউ উঠিয়ে না নেই যদি অন্য একাউন্টে থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই টাকাটি ব্যাক পাবেন। তবে যদি সে টাকাটি অন্য একাউন্টে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কোন এজেন্ট পয়েন্ট থেকে তুলে নেয় তাহলে আপনি আর সেই টাকাটি ব্যাক পাবেন না। 

সেক্ষেত্রে আপনি কি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে থানায় গিয়ে আপনি একটা জিডি করতে পারেন যে আমার এই নাম্বার থেকে এত টাকা হ্যাক হয়ে গেছে। তাহলে প্রশাসনের লোক বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কোন একাউন্টে গিয়েছে এবং কোথায় থেকে তোলা হয়েছে সে সকল সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে সে হ্যাকারটিকে ধরার চেষ্টা করবে এবং তাকে যদি ধরতে পারে তাহলে আপনার টাকাটি হয়তো ব্যাগ পেতে পারেন। তবে এই কাজটি করতে আপনার কিছু টাকা খরচও হতে পারে কারণ বাংলাদেশের যে অবস্থা আপনার তো হয়তো জানিনি যে কোন কাজ করার জন্য কিংবা করিয়ে নেয়ার জন্যই টাকা ছাড়া কোন কাজ করতে চায় না কেউ।

বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় - উপসংহার

আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম যে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় ও হ্যাক হওয়া টাকা বেক আনার উপায় সম্পর্কে। আরো আলোচনা করেছি যে কিভাবে বিকাশ কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন কিভাবে আপনার একাউন্ট হ্যাক হয় কিভাবে বুঝতে পারবেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে আরো নানান সকল সম্পর্কে এবং বিকাশের এ টু জেড সকল সম্পর্কে আলোচনা করেছে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। তো আপনাদের কোন সমস্যা থাকলে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনার বিকাশ সম্পর্কে সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। 
এবং বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয় আমি যে বিষয়টি আপনাদের বলব। আপনারা যদি নিজের সচেতন থাকেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটি কোন সময় হ্যাক হবে না এবং আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্লক হবে না বন্ধ হবে না। আপনি যদি বিকাশ প্রাইভেসি পলিসি নিয়ম অনুযায়ী লেনদেন করেন সেক্ষেত্রে আপনার কোন সমস্যা হবে না আবার আপনি যদি আপনার একাউন্টে ইনফরমেশন অন্য কোন ব্যক্তিকে দিয়ে রাখেন সে ক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে হ্যাক হবে। তাই যেহেতু বিকাশটি পার্সোনাল এজন্য আমি সাজেস্ট করব আপনার বিকাশ ইনফরমেশন গুলো পিন নাম্বার আপনি ব্যতীত অন্য কেউ যেন না জানে। তো যারা এতক্ষণে আর্টিকেলটি পড়ে এসেছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ এবং যদি কোথাও ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ধরিয়ে দেবেন সমাধান করার চেষ্টা করব আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url