অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম


আপনি কি এনআইডি কার্ড করতে চান। কিংবা বাংলাদেশে একজন ভোটার হতে চান। তাহলে আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কারণ আজকেরে আর্টিকেলে আমি অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করবো। 
অনলাইনে-নতুন-ভোটার-আইডি-কার্ড-করার-নিয়ম
হাতে থাকা মোবাইল ফোনটা দিয়ে পাঁচ মিনিটে এনআইডি কার্ডের এর আবেদন করতে পারবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে সুন্দরভাবে আর্টিকেলটি পরুন এবং বুঝে নিন যে কিভাবে হাতে থাকা মোবাইল ফোনটা দিয়ে পাঁচ মিনিটে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম।

পেজ সূচিপত্র: অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম? আপনি যদি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এন আই ডি কার্ড প্রয়োজন। এবং আপনার বয়স যদি ১৬ বছরের বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই এনআইডি কার্ড টি করতে পারবেন এবং আপনি একজন বাংলাদেশের নাগরিক বলে পরিচিত পাবেন এবং আপনি একজন বাংলাদেশের ভোটার হিসেবে পরিচিত পাবেন। তো কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড এর আবেদন করা যায় সেই বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলকে আমি উপস্থাপনা করতে চলেছি। এখন আর্টিকেলটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং বুঝে নিবেন। 
একটা কথা আপনাদের বলি আজকে আমি আপনাদের যে নিয়মটা শেয়ার করব একটি ২০২৫ সালের নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার নিজের এনআইডি কার্ড টি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করব এবং আবেদন করতে কোথায় গিয়ে কি করতে হবে কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে সে সকল সম্পর্কে আপনাদের সামনে এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব। তারমানে হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আমি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ নিজ জ্ঞান থেকে তৈরি করছি এবং নিজে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি সে সকল সমস্যা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক আজকের এই আর্টিকেল।

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি কাগজপত্র লাগে

এখানে এখন বিষয় হচ্ছে যে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি কাগজপত্র লাগে। হ্যাঁ আপনি যদি বর্তমানে আমার এই আর্টিকেলটিভ পড়েন এবং মনে করেন যে আমি একটি অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে যাচ্ছি তাহলে আপনার অবশ্যই যে সকল কাগজপত্র গুলো লাগবে সে সকল কাগজপত্র গুলো সবগুলো এক জায়গাতে নিয়ে বসতে হবে এবং সেগুলো দেখে সেগুলো ইনফরমেশন গুলো দিয়েই কিন্তু আপনাকে এনআইডির আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। তোর নিচে দেখে নিন কোন কোন কাগজপত্র গুলো লাগবে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে। 
  • আপনার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন 
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এসএসসি কিংবা এইচএসসির সার্টিফিকেট 
  • পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি 
  • আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে স্বামী কিংবা স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটো করছি 
  • আপনার বাসার কারেন্ট বিল / গ্যাস বিল / এবং ইউটিলিটি বিল এর কাগজ।
  • নাগরিক সনদপত্র কিংবা চারিত্রিক সনদপত্র 
  • আপনি যে এর আগে কোনদিন ভোটার আবেদন করেননি এমন একটি সনদপত্র পৌরসভা কিংবা উপজেলা থেকে নিতে হবে 
  • লাস্ট আপনার রক্তের গ্রুপ এবং টেস্ট রিপোর্ট
আপনি এই সকল ডকুমেন্টগুলো জোগাড় করতে পারেন তাহলে আপনি এই মুহূর্তে মাত্র 5 মিনিটে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে খুব সহজে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড এর আবেদন খুব সহজে করতে পারবেন। এবং আবেদন করার জন্য আপনার এ সকল ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই থাকতে হবে তা না হলে আপনি এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তো চলুন এই সকল ডকুমেন্টগুলো দিয়ে আইডি কার্ড কিভাবে করে সেটি নিচে দেখে নিন।

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি যোগ্যতা লাগে

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি যোগ্যতা লাগে এটি একটি বিষয় কারণ আপনি যে একজন বাংলাদেশের নাগরিক সেটি প্রথমত প্রমাণ করতে হবে আপনাকে তারপরে আপনি এনআইডি কার্ডের আবেদন করতে পারবেন এবং আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি এনআইডি কার্ড করতে পারবেন। প্রথমত এনআইডি কার্ড কিংবা অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি যোগ্যতা লাগে। প্রথমত উপরে যে সকল কাগজপত্রগুলো দেখছেন সেসকল কাগজপত্র গুলো আপনার মাস্ট বি লাগবে। এবং 
আপনার পৌরসভা ইউনিয়ন কিংবা আপনি যদি সিটিতে থেকে থাকেন সিটি কর্পোরেশনের কিছু প্রত্যয়ন পত্র আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে যে আপনি সেই পৌরসভা ইউনিয়ন কিংবা সিটির একজন নাগরিক। এবং আপনার বয়স মাস্ট বি 16 বছর হওয়া লাগবে আপনার বয়স যদি ১৬ বছরের কম হয়ে থাকে তাহলে আপনি এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এবং আপনার পিতামাতার সকল সত্য তো কাগজপত্রগুলো থাকা লাগবে। এবং আপনার যদি কোন ভাই বোন থেকে থাকে তারও কাগজপত্র গুলো অবশ্যই লাগবে। এবং শেষ আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটগুলো লাগবে। তাহলে বুঝতেই পেরেছেন যে এ সকল কাগজপত্র গুলো যোগাড় করতে যে যোগ্যতা আপনার প্রয়োজন সেটি আপনার মধ্যে আছে কিংবা আপনি এই যোগ্যতাগুলো সত্যায়িত করতে পারবেন।

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদনের নিয়ম

আপনি যদি অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আপনি সেকশনটি সুন্দরভাবে পড়ুন এবং জেনে নিন। আর একটা কথা আপনি যদি ইতিমধ্যেই ওপরকার সবগুলো সেকশন সুন্দরভাবে পড়ে আসেন তাহলে হয়তো আপনি অনেক বিষয় বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক। প্রথমত অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য আপনাকে গুগলে গিয়ে services.nidw.gov.bd এটা লিখে সার্চ করতে হবে এবং প্রথমেই যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেই ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে। 
অনলাইনে-নতুন-ভোটার-আইডি-কার্ড-করার-নিয়ম
এবং উপরে দেখুন কোন ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে। এবং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে নিচে দেয়া আছে ঠিক এমন একটি ইন্টারফেস আপনার সামনে শো করবে ওখানে লিখা থাকবে রেজিস্ট্রেশন করুন এবং আবেদন করুন। 
অনলাইনে-নতুন-ভোটার-আইডি-কার্ড-করার-নিয়ম
আপনি যদি নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করুন এই বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবং রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে নিচে দেয়া ঠিক এমন একটি ইন্টারফেস আবারো শো করবে। 
অনলাইনে-নতুন-ভোটার-আইডি-কার্ড-করার-নিয়ম
এবং এই জায়গাতে আপনার জন্ম নিবন্ধন এ যে ইংরেজিতে নামটি দেয়া আছে সেই নামটি লিখতে হবে এবং জন্মতারিখ টি দিয়ে সুন্দরভাবে ফর্মটি পূরণ করতে হবে এবং সর্বশেষ নিচে একটি ক্যাপচার থাকবে সেই ক্যাপচারটি পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। 
অনলাইনে-নতুন-ভোটার-আইডি-কার্ড-করার-নিয়ম
আপনি যদি সাবমিট বাটনে ক্লিক করেন তাহলে কিছুক্ষণ সময় লাগবে এবং আপনার সামনে ভেরিফাই করার জন্য একটি অপশন আসবে যেখানে জিমেইল এবং মোবাইল নাম্বার থাকবে। আপনি যেটা দিয়ে খুশি সেটা দিয়ে ভেরিফাই করতে পারেন এবং ভেরিফাই করে এনআইডি কার্ড আবেদনের নিয়ম সম্পূর্ণ করুন। 

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম স্টেপ ১ 

প্রথমত আপনাদের কাছে থেকে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে বর্তমানে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মে যে সার্ভারটি আছে সে সার্ভারটি কাজ করছে না এজন্য আমি নিজেই এখন আবেদন করতে পারছি না এজন্য আপনাদেরকে আমি স্ক্রিনশটটি দেখাতে পরছিনা। কিন্তু আমি আপনাদেরকে রাইটিং এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবো কোথায় কি করতে হবে। তো প্রথমত আপনি যদি আপনার ফোন ভেরিফাইটি কমপ্লিট করে চলে আসেন তাহলে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস আসবে যেখানে। আপনাকে বলা হবে একটি ইউজারনেম পাসওয়ার্ড সিলেক্ট করতে। 
পরবর্তীতে যেন আপনার এনআইডি কার্ডে কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি আপনার ইউজার এবং পাসওয়ার্ডটি দিয়ে লগইন করে আপনার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। একটি ইউজার এবং পাসওয়ার্ড বেছে নিন এবং নিচে ক্যাপচার টি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নাও বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনি এনআইডি কার্ড তৈরি করার জন্য এন আই ডি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলেছেন। এখন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনি প্রথম স্টেপের কাজ কমপ্লিট করুন এবং দ্বিতীয় স্টেপে গিয়ে আপনাকে কি করতে হবে সেটা আমি বলে দিব। 

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম স্টেপ ২

আপনি প্রথম স্টেপের কাজ কমপ্লিট করেছেন এবং দ্বিতীয় স্টেপে আপনার সামনে একপাশে লেখা থাকবে আপনার জন্ম তারিখ আপনার নাম এবং নিচে বিস্তারিত প্রোফাইল এবং আরেক পাশে বাটন আকারে দুইটি অপশন থাকবে যেখানে লেখা থাকবে প্রোফাইল প্রোফাইল দেখুন ও পরিবর্তন করুন। এবং তার নিচে থাকবে পাঁচ ওয়াট পরিবর্তন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। এখন আমার নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার সামনে যদি এই ইন্টারফেসটি আসে তাহলে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি সঠিক নিয়মে এনআইডি আবেদন করতে চলেছেন। 

এবং এখানে এসে আপনাকে প্রোফাইল এবং প্রোফাইল দেখুন পরিবর্তন করুন এই বাটনটির উপর ক্লিক করতে হবে এবং যাদের ইংলিশ করা থাকবে তাদের ইংলিশে প্রোফাইল লেখা থাকবে এবং তার নিচে এডিট লেখা থাকবে। আপনারা প্রোফাইল দেখুন কিংবা এডিট সেই লেখার উপরে ক্লিক করুন সেই লিখার উপরে ক্লিক করলে আপনার সামনে আরো একটি ইন্টারফেস শো করবে যেখানে আপনাকে বলা হবে আপনার ব্যক্তিগত ইনফরমেশন গুলো দিতে। আপনার ব্যক্তিগত ইনফরমেশন গুলো দিয়ে ফর্মটি সুন্দরভাবে পূরণ করুন এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দ্বিতীয় স্টেপের কাজ কমপ্লিট করুন তৃতীয় স্টেপের জন্য প্রস্তুত হন। 

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম স্টেপ ৩

এখন আপনি যদি দ্বিতীয় স্টেপের কাজ কমপ্লিট করে আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন গুলো দিয়ে থাকেন তাহলে তার নিচেই আরো একটি ফ্রম পাবেন যেখানে আপনার পিতা-মাতার এবং আপনার যদি ভাই বোন থেকে থাকে তার ইনফরমেশনগুলো সেখানে সুন্দরভাবে পূরণ করতে হবে। একটা কথা মাথায় রাখবেন যে আপনি যে ইনফরমেশন গুলো দিচ্ছেন সেগুলো যেন সকল সত্য হয় এবং সেগুলো আপনার সার্টিফিকেট এবং আপনার জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী হয়ে থাকে। 
আপনি যদি আপনার পিতা মাতা এবং ভাই বোনের ইনফরমেশন গুলো দিয়ে থাকেন তাহলে তার নিচে আরও একটি ফর্ম থাকবে যেখানে অন্যান্য তথ্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার ফ্যামিলির তিন নাম্বার এবং আপনার ফোন নাম্বারটি শো করবে সেই ফর্মটি ও সুন্দরভাবে পূরণ করতে হবে। এবং সেই ফর্মটি পূরণ করার পরে আপনাকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে আপনি তিন নাম্বার স্টেপের কাজ সম্পূর্ণ করুন এবং চার নাম্বার স্টেপে কি করতে হবে সেটি নিজের সেকশনে দেখে নিন। 

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম স্টেপ ৪

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম স্টেপ ৩ আপনি যদি আমি যেভাবে আপনাকে বুঝিয়ে বলছি সেভাবে কাজ করে আসেন তাহলে চার নাম্বার স্টেপে এসে আপনার কাছে একটি ফর্ম ওপেন হবে ফরটি অনেক বড়। এবং সেই ফর্মে আপনাকে আপনার স্থায়ী ঠিকানার সকল ইনফরমেশন গুলো সেখানে নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। তো হয়তো আপনারা আপনাদের ইনফরমেশন গুলো দিয়ে ফরম পূরণ করা জানেন। ফর্মটি সুন্দরভাবে পূরণ করুন এবং হোম টি পূরণ করার পরে নিচে একটি ঘরের মতো একটি ফর্ম থাকবে যেখানে আপনাকে আপনার এরিয়ার ওয়ার্ড নাম্বারটি দিতে বলবে। 
অনলাইনে-নতুন-ভোটার-আইডি-কার্ড-করার-নিয়ম
এই জায়গাতে এসে কিন্তু অনেকেই ভুল করে যে সবগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পরে এই নিচের এই ঘরের এই অপশনটি দেখতে পায় না ঘরের অপশনটি আপনাকে পূরণ করতে হবে যে আপনার এলাকাতে আপনি কত নাম্বার ওয়ার্ডে বসবাস করেন। এবং সম্পূর্ণ তথ্য গুলো নির্ভুলভাবে পূরণ করার পরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে আপনি চার নাম্বার স্টেপ এর কাজটি কমপ্লিট করুন। 

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম স্টেপ ৫

এখন বিষয় হচ্ছে আপনি যদি সকল নিয়মকানন মেনে চার নাম্বার স্টেপ এর কাজ কমপ্লিট করে আছেন তাহলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি এনআইডি কার্ড অনলাইনে আবেদন করার ১০০ পার্সেন্ট আশি পার্সেন্ট কাজ কমপ্লিট করে এসেছেন। এখন পরবর্তী নাও বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস শো করবে যেখানে আপনি ইতিমধ্যে যে সকল ইনফরমেশনগুলো দিয়ে এসেছেন সে সকল ইনফরমেশন এর একটি ফরম। এবং এখানে আপনাকে খুব মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে যে এখানে সবগুলো কি ঠিক আছে। 
এই ফর্মটি মনোযোগ সহকারে পড়ে যদি দেখেন যে ভুল আছে তাহলে আপনি ওপরে ব্যাক বাটন দেখতে পাবেন সেই ব্যাক বাটনে গিয়ে সেই জায়গাটি পরিবর্তন করতে পারেন। তো ফোনটি সুন্দরভাবে দেখে শুনে নির্ভুল ভাবে পূরণ করে আপনি পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস শো করবে যে নিশ্চিত করুন। আপনিও তো প্রথম থেকে দেখে আসছেন আপনি আবেদন করার সময় আপনার মোবাইল ফোন কিংবা ডেক্সটপ এর উপরে তিন তিনটা ফেস শো করছে যেখানে এডিট কাগজপত্র এবং নিশ্চিত করুন এই বাটনটি। এই বাটনের মধ্যে দুটি বাটন আপনার সামনে টিক মার্ক হয়ে যাবে যে আপনি সম্পূর্ণ করেছেন। 

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম স্টেপ ৬

এবং আপনি যদি সকল নিয়ম অনুসরণ করে পাঁচ নাম্বার স্টেপের কাজ কমপ্লিট করে আসেন ছয় নাম্বার স্টেপে আপনাকে বলবে নিশ্চয়ত করুন। এবং আপনি যদি চান আপনার এনআইডি কার্ড টি আবেদন সম্পূর্ণ করতে চান তাহলে নিশ্চয়ই করুন বাটুনী ক্লিক করে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সরকারকে এন আইডি কার্ড করার জন্য ১৫০ টাকা ফ্রি প্রদান করতে হয়। ১৫০ টাকা ফি প্রদান করুন এবং সি টি কিভাবে প্রদান করবেন। প্রথমত আপনি বিকাশ নগদ কিংবা আপনার ব্যাংক একাউন্ট আবার যে কোন অনলাইন প্লাটফর্ম দিয়ে আপনি ফ্রিতে প্রদান করতে পারেন। সিটি প্রদান করার পরে আপনাকে একটি ফ্রি প্রদানের রশিদ দেবে সেই রশিদ একটি নাম্বার থাকবে সেই নাম্বারটি আপনি নিশ্চিত করুন বাটনে ক্লিক করার পরে একটি ঘর আসবে। 

সেই ঘরে নাম্বারটি বসিয়ে দিন কিংবা আপনি চাইলে আপনার নাম ঠিকানা জন্ম তারিখ দিয়েও সেটি প্রদান করতে পারেন। সিটি প্রদান করার পরে নিশ্চিত বাটনে ক্লিক করে আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ করুন। এবং এটাই হলো অনলাইনে এনআইডি আবেদন করার নিয়ম। আবার আপনাদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে বর্তমানে সার্ভার ডাউন থাকার কারণে আপনাদেরকে আমি স্ক্রিনশট আকারে দেখাতে পারিনি কিন্তু সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলতে পেরেছি। এবং আবেদন ফরমটি সাবমিট দেয়ার পরে আপনার এন আই ডি অনলাইন আবেদনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং পরবর্তীতে আপনাকে কি করা লাগবে সেটি নিজে দেখে নিন। 

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম স্টেপ ৭

আপনি যদি ইতিমধ্যেই ছয়টি স্টেট সম্পূর্ণ কমপ্লিট করে আসেন তাহলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে আপনি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার জন্য অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে এসেছেন। এখন আপনাকে কি করতে হবে সেটি জেনে নিন। আপনি আবেদনটি কনফার্ম করলে আপনার তথ্য যাচাইয়ের জন্য তারা কিছুদিন সময় নেবে। এবং কিছুদিন পরে আপনার ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে যে আপনার আবেদনটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং আপনার এন আই ডি কার্ড করার জন্য আমরা প্রস্তুত।
এবং আপনাকে বায়োমেট্রিক দিতে যাওয়ার আগে কিছু কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। তোর কি কি কাগজপত্রগুলো সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে সেই সকল বিষয়ে নিচের সেকশনে সুন্দরভাবে দেখে নিন এবং সে সকল কাগজপত্রগুলো নিয়ে গিয়ে আপনার ছবি তুলবে আপনার চোখের স্ক্যান নিবে এবং আপনার নখের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেবে সেগুলো নিয়ে আপনাকে চলে আসতে হবে কিছুদিন পরে আপনি এনআইডি কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইন কিংবা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে। 

তথ্য যাচাই করুন ও বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান

প্রথমত আপনাকে যদি তারা তথ্য যাচাই কিংবা বায়োমেট্রিক প্রদান করার জন্য ডাকে তাহলে আপনাকে কি কি কাগজপত্রগুলো সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। সেগুলো সুন্দরভাবে নিচে দেখে নিন এবং বুঝে নিন। 
  • অনলাইনে আবেদন করেছেন সেই প্রিন্ট করা কপিটি
  • আপনার জন্ম নিবন্ধন টি ডিজিটাল
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • পিতা মাতার এনআইডির ফটোকপি
  • বাসার ঠিকানা ওয়ার্ড নাম্বার ও হোল্ডিং নাম্বার
  • অন্যান্য কাগজপত্র বিবাহিত হয়ে থাকলে বউয়ের এন আই ডি বিয়ের কাবিলনামা।
  • এবং সকল কাগজপত্র একটি করে কপি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন
আপনাকে বায়োমেট্রিক যাচাই করার জন্য ডাকা হয় তাহলে আপনাকে মাস্ট বি এ সকল কাগজগুলো নিয়ে যেতে হবে। এবং আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করবো এ সকল কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অন্যান্য যে সকল কাগজপত্রগুলো আছে যেমন আপনার আপনার পিতা-মাতার এবং আপনার ভাই বোনের সকল কাগজপত্রের একটি করে কপি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে কোন সমস্যা হলে সেখানেই আপনি সমাধান করতে পারবেন। 

এবং সকল ইনফরমেশন সকল কাগজপত্র গুলো যদি সঠিক থাকে তাহলে তারা আপনার বায়োমেট্রিকটি নিবে যেমন প্রথমত আপনার চোখের স্ক্যান করবে দ্বিতীয়ত আপনার একটি ছবি নিবে এবং লাস্ট আপনার নখের ফিঙ্গারপ্রিন্ট গুলো তারা নিয়ে নিবে এবং সকল কিছু দেয়া হয়ে গেলে। তারা আপনাকে একটি স্নিপ ধরিয়ে দেবে যেখানে লিখা থাকবে স্লিপ নাম্বার ও ফোন নাম্বার। এবং আপনাকে সেই স্লিপটি হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলবে। কথা হচ্ছে বায়োমেট্রিক দেয়ার কতদিন পরে এনআইডি কার্ডটি আমি অনলাইন থেকে তুলতে পারবো। 
অনলাইনে-নতুন-ভোটার-আইডি-কার্ড-করার-নিয়ম
বায়োমেট্রিক দেয়ার অন্তত ১৫ থেকে ৩০ দিন পরে আপনার মোবাইল ফোনে একটি নোটিফিকেশন আসবে যে আপনার এনআইডি কার্ড টি তৈরি করা কমপ্লিট হয়ে গেছে আপনি চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিস কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে এন আইডি কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারেন। আপনি সেই সময় সেই স্লিপটি নিয়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে ডাউনলোড করতে পারবেন এবং আপনি যদি চান তাহলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়েও সেটি নিয়ে আসতে পারবেন। তো এই ছিল অনলাইনে এনআইডি কার্ড তৈরীর নিয়ম।

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম - উপসংহার

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে সুন্দরভাবে জেনে গেছেন যে কিভাবে আপনার নিজের ঘরে বসে থেকে হাতে থাকা মোবাইল ফোন কিংবা ডেক্সটপ এর মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইনে এনআইডি কার্ডের আবেদন কিভাবে করবেন। তো সে বিষয়ে তো জানলেনই এবং এখন চাইলে আপনি অন্যের এনআইডি কার্ডের আবেদন করে দিতে পারবেন টাকার বিনিময় তার থেকে টাকা নিয়ে। যেমন যেকোনো অনলাইনে দোকানে থেকে আইডি কার্ডের আবেদন করে নিয়ে তারা কিছু টাকা চার্জ করে সেই টাকার বিনিময়ে আপনি চাইলে আপনার ঘরে বসে থেকেই কাজ করতে পারেন। 
অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে আমার মন্তব্য হচ্ছে যে আপনারা নিজের কাজ নিজেই করুন এতে কি হবে নিখুঁতভাবে আপনি কাজটি করতে পারবেন এবং কোন ভুল ত্রুটি হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন। কিন্তু যখনই আপনি উপজেলা নির্বাচন অফিস কিংবা অনলাইনে অন্য কারো মাধ্যমে করিয়ে নিতে যাবেন তখনই সমস্যা হতে পারে তারা হয়তো কোন জায়গাতে ভুল করে ফেলতে পারে। আবার আপনারা অনেকেই জানেন যে উপজেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে এনআইডি কার্ড করলে ১০০ জনের মধ্যে দেখা যায় ২০ জন আর এনআইডি কার্ডে অনেক ভুল করে ফেলে। ভুল হওয়ার আগ থেকে বাঁচানোর জন্য আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটা দিয়ে নিজেই আপনার এনআইডি কার্ডের আবেদন ঠিক করে ফেলুন খুব সহজে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url