আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী জেনে নিন


আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী? বাংলাদেশের অনেক কৃষক আছেন যারা তাদের মাঠান জমিতে আলু চাষ করে থাকেন। আবার অনেকে আছেন যারা অন্যের জমি কটে নিয়ে কিংবা বন্ধক নিয়ে সেই জমিতে আলু চাষ করেন। তাদের জন্য আজকের এই আটিকেলটি।
আলু-চাষের-জন্য-কোন-মাটি-উপযোগ-জেনে-নিন
যারা মনে করছেন যে আলু চাষ করবেন কিংবা যারা আলু চাষ করেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি আমি বলব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আর্টিকেলে থাকছে কিভাবে আলু চাষ করলে আলুর ফলন ভালো হবে এবং কিভাবে সার / বিষ প্রয়োগ করলে আলুর ওজন বাড়বে।

পেজ সূচিপত্র: আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী জেনে নিন

আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী জেনে নিন

আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী? আমরা গ্রামাঞ্চলের রায় মানুষ হই কিন্তু আলু চাষ করে থাকি এবং আবার অনেক নতুন মানুষ আছেন যারা মনে করছেন আলু চাষ করব কিন্তু আলু চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না তাদের জন্য আর্টিকেলটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যারা নতুন। আবার যারা আপনারা ইতিমধ্যে আলু চাষ করছেন তাদের জন্যও কিন্তু আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কথায় আছে যে সব জানলেও কিন্তু কিছু কথা জানা থাকে না তো যে কথাগুলো জানা থাকে না সেগুলো নিয়ে আমি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করতে চাচ্ছি। তো চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক এবং আর্টিকেল কি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 
প্রথমে আমি বলব যে আলু চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হল বেলে মাটি ও দোআঁশ মাটি। এই দুই ধরনের মাটিতে আপনারা আলু চাষ করতে পারবেন এবং এই মাটিতে আলু চাষ করে আপনি লাভজনক হতে পারবেন। আবার যে শুধু এই দৈমাটিতে আলু চাষ করলে লাভজনক হবেন সেটা কিন্তু কথা না কথা হচ্ছে যে নিয়ম মেনে এবং সকল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যদি আপনি আলু চাষ করেন তাহলে বেলে মাটি ও দোআঁশ মাটিতে আপনি লাভজনক করতে পারবেন। আবার এখানে কথা হচ্ছে যে শুধু এই দুই মাটিতে কি আলু চাষ হয় না আপনি চাইলে অন্যান্য মাটিতে আলু চাষ করতে পারবেন কিন্তু এই দুই মাটিতে সচরাচর আমরা আলু চাষ করে থাকি এবং এখান থেকে আমরা লাভজনক হই।

আলু চাষের মাটি প্রস্তুত কিভাবে করব

আলু চাষের মাটি প্রস্তুত কিভাবে করব? এখানে কথা হচ্ছে অনেকেই জানেন না যে আলু চাষ করার জন্য মাটি প্রস্তুত কিভাবে করতে হয় কিংবা আপনার জমিতে কিভাবে আপনি আলু চাষ করলে ভালো হবে এবং আলু চাষ করা কতদিন আগে থেকে জমিতে কি কি করা লাগবে সে সম্পর্কে সুন্দরভাবে জেনে নিন। প্রথমত আলু রোপন করার অন্তত ১০ দিন আগে আপনাকে আপনার জমিটি সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে জমিতে কোন আগাছা যেন না থাকে এবং সেই জমিতে এক থেকে দুইবার শেষ দিয়ে নিবেন। মানে নাঙ্গল দিয়ে নেবেন দিয়ে সেই মাটিগুলো সুন্দরভাবে সমান করবেন এবং নাঙ্গল দেয়ার পরে দেখবেন অনেক মাটি বড় বড় দল হয়ে থাকে সে মাটিগুলো ভেঙে ঝুরঝুরি করে ফেলতে হবে। 

দ্বিতীয়তঃ আপনাকে সুন্দরভাবে সেই গোটা জমিটিতে কোন আগাছা আছে কিনা সেগুলো সুন্দরভাবে দেখতে হবে যদি কোন আগাছা থেকে থাকে তাহলে সেগুলো সুন্দরভাবে তুলে ফেলুন এবং আরো দু'একবার শেষ দেয়ার পরে সেই জমিতে আপনি সার প্রয়োগ করুন। তাহলে দেখবেন যে আপনার জমিতে কোন আগাছা নেই এবং আলু রোপণ করার দুই থেকে তিন দিন আগে আপনাকে আবারো এক থেকে দুই বার আপনার জমিটিকে শেষ দিয়ে নিতে হবে। এবং এবার শেষ দিয়ে আপনাকে দেখতে হবে আপনার জমিতে কোন বড় মাটি মানে ঢেলা হয়ে আছে কিনা সেগুলো যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে সেগুলো ভেঙে ঝুরঝুর করে ফেলতে হবে এবং আপনার গোটা জমি সমান হতে হবে। 

পরবর্তীতে আপনি লাঙল দিয়ে আলু রোপন করার মতন খাল কেটে নিতে হবে এবং সেখানে আপনাকে আলুর উপর করতে হবে। এখন আপনি যদি এটি ভালো করে বুঝতে না পারেন তাহলে আমার আরও একটি আর্টিকেল আছে সেটি যদি আপনি আরো বলেন তাহলে আলু চাষের এ টু জেড সকল নিয়ম আপনি সুন্দরভাবে বুঝে যাবেন। আবার আপনাকে আপনার মাটি থেকে এমন ভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন আপনার মাটিতে কোন আগাছা না জন্মাতে পারে আগাছা না জন্মানোর জন্য আপনাকে আলুর উপর করার এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই সেখানে আগাছা নিষ্কাশনের কিছু ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে তাহলে আপনার জমিতে কোন আগাছা জন্মাবে না। তাহলে আশা করি আপনারা বুঝে গেছেন আলু চাষের মাটি প্রস্তুত কিভাবে করতে হয়।

চাষের আগে কি কোন সার / বিষ প্রয়োগ করা লাগবে

আলু চাষের মাটি প্রস্তুত কিভাবে করব? এ বিষয়ে আপনারা উপর কার সেকশনে জেনে এসেছেন এখন বিষয় হচ্ছে যে অনেকেই প্রশ্ন করেছে যে ভাইয়া চাষের আগে কি কোন সার কিংবা বিষ প্রয়োগ করা লাগবে জমিতে। এখন আমি আপনাদেরকে একটি পরামর্শ দিতে পারি যে আপনার জমিতে যদি আগে থেকে কোন আগাছা না জন্ম নিয়ে থাকে তাহলে আপনাকে কোন সার্ভিস প্রয়োগ না করলেও হবে। কিন্তু আপনার জমিতে যদি আপনি দেখেন যে অনেক আগাছা জন্মে আছে তাহলে আপনি কি করতে পারেন। আগাছা নিষ্কাশনের জন্য বিষ পাওয়া যায় সেই বিষ আপনার জমিতে চাষের দুই থেকে তিন দিন আগে প্রয়োগ করতে পারেন। এতে আপনার জমির আগাছা মরে যাবে। 
এবং আপনি চাষ করার পরে আপনার জমিতে কিছু পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে পারেন। যেই সারগুলো দিলে আপনার জমির কোন ক্ষতি হবে না এবং আরো উপকার হবে যেমন মনে করেন অনেক জমি আছে যেগুলোতে সার প্রয়োগ করলে অনেক আগাছা জন্মায়। আপনার কি ধরনের জমি সেই ধরনের আগাছা নিষ্কাশনের বিষ প্রয়োগ করুন এবং সার প্রয়োগ করুন এতে আপনার জমির ফলন ভালো হবে এবং আপনি সেই আলু চাষ করে লাভবান হবেন। তাহলে আশা করি আপনারা হয়তো বুঝে গেছেন যে চাষের আগে কি সার প্রয়োগ করা লাগবে সে সম্পর্কে। আলু চাষের জন্য আরো টিপস পেতে নিচের সেকশনগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আলু চাষ কোন সময় করলে ভালো হয়

আলু চাষ কোন সময় করলে ভালো হয়? ‌ যারা ইতিমধ্যে আলু চাষ করে এসেছেন কিংবা গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা অবশ্যই জানেন যে আলু চাষ কোন সময় করলে ভালো হয় এবং সচরাচর কোন সময় আলু চাষ করা হয়। আবার অনেকেই জানেন না তো যারা জানেন না তাদের জন্য আমি বলব যে যারা গ্রামাঞ্চলে থাকেন তারা হয়তো বাংলা ভাষায় অভ্যস্ত বাংলায় কার্তিক মাসের অর্ধেক থেকে অগ্রহায়ণ মাসের অর্ধেক পর্যন্ত মানে একমাস আপনি আলুর ওপন করতে পারবেন আপনার জমিতে। এবং ইংরেজিতে বলতে গেলে অক্টোবার থেকে নভেম্বর মাসের অর্ধেক পর্যন্ত আপনারা আলু রোপন করতে পারবেন। সচরাচর গ্রামাঞ্চলের মানুষ সবাই এই অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে আলুর রোপন করা হয়ে যায়। 

তারপরে যে আমি বলছি যে শুধু এই অক্টোবরণ নভেম্বর মাসে আলু চাষ হয় এটা কোন কথা। আপনি মনে করলে সবসময়ই আলু চাষ করতে পারবেন কিন্তু বর্তমানে বা ঋতুর যে পরিবর্তনটি এসেছে সে পরিবর্তনের দিক দিয়ে আমরা যদি দেখতে যাই তাহলে কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসের মধ্যে যদি আলু আমরা রোপণ করে ফেলি তাহলে প্রায় তিন মাস এর মধ্যে আমরা আলু সংগ্রহ করতে পারব এবং এই তিন মাস আমরা দেখলে আমাদের তেমন একটি ঝড় বৃষ্টি হয় না। এজন্য এই সময়টি আলু চাষের জন্য উপযোগী একটি সময়। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝে গেছেন যে কি জন্য এই সময়ে আলু চাষ করা হয় এবং আলু চাষের উপযোগী সময়। এবং বুঝে গেছেন যে কোন সময় আলু চাষ করলে ভালো ফলন হবে এবং ভালো হয়।

আলু চাষের জন্য কি কি প্রয়োজন হয়

আলু চাষের জন্য কি কি প্রয়োজন? যারা গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা হয়তো জানেন আলু চাষ করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়। প্রথমত আপনি যদি কোন টাকা পয়সা খরচ না করে আলু চাষ করতে চান তাহলে আপনার কিছু জিনিস প্রয়োজন হবে যেমন আপনার জমিতে শেষ দেয়ার জন্য একটি মোটর একটি লাঙ্গল এবং আরো অন্যান্য জিনিস যে সকল গুলো আপনারা টাকা দিয়ে বাইরে থেকে পেয়ে যান সে সকল জিনিসগুলো আপনার যদি নিজের থাকে তাহলে এই টাকাগুলো আপনার বেঁচে যাবে আলু চাষ। তারপরেও আমি আপনাদের বলি কি কি প্রয়োজন আলু চাষের জন্য।
আলু-চাষের-জন্য-কোন-মাটি-উপযোগ-জেনে-নিন
  • ভালো মানের মাটি দোআঁশ বেলে মাটি 
  • ভালো মানের বীজ 
  • জমিতে আগাছা মুক্ত 
  • মাটির (Ph) 5.5 থেকে 6.7 এর মধ্যে 
  • রোপনের জন্য অভিজ্ঞ কৃষক 
  • শেষ দেওয়ার জন্য ভালো মানের মটর 
  • লাঙ্গল দেয়ার জন্য ভালো মানের লাঙ্গল 
  • একটি কোদাল ও হাইসি 
আলু চাষের জন্য যে সকল জিনিসগুলো প্রয়োজন সেগুলো সুন্দরভাবে আমি উপরে পয়েন্ট আকারে আপনাদের বলে দিয়েছি। তবে এ সকল জিনিসগুলো সবাই জানেন তারপরেও আমি বলে দিলাম। তবে এ সকল জিনিসগুলোর মধ্যে কিছু জিনিস আপনার বাসাতেই থাকবে এবং যেগুলো আপনার বাসাতে থাকবে না সেগুলো হয়তো ভাড়া করে নিয়ে আসতে হবে কিংবা অন্যজনের কাছ থেকে ধার নিয়ে আসতে হবে। এ সকল জিনিসগুলো আপনার আলোর ওপনের সময় অবশ্যই লাগবে এগুলো থাকলে আপনি সুন্দরভাবে আপনার জমিতে আলুর উপর করতে পারবেন এবং সেই আলুর ফলন ভালো দেবে এবং আপনি আলু চাষে লাভবান হতে পারবেন।

কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়

কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়? এই প্রশ্নটা না করলেও হত তবে এই বিষয়টি অনেকেরে জানা প্রয়োজন যে যারা বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় আলু চাষ করে থাকেন তাদের বিশেষ করে এটি জানা। কারণ বাংলাদেশের যে সকল জেলাতে কৃষি পণ্য বেশি উৎপন্ন হয় সেসবল জেলাতে একটু বেশি পরিমাণে সেবা পাওয়া যায়। আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো যে বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। তো নিচে সুন্দরভাবে দেখে নিন যে কোন কোন জেলাতে সবচাইতে আলু চাষ বেশি হয়।
  1. প্রথমত রংপুর জেলায় আলু চাষ 
  2. দ্বিতীয়তঃ বগুড়া জেলায়ও আলু চাষ বেশি হয় 
  3. তৃতীয় রাজশাহী জেলার কিছু জায়গায় অনেক পরিমাণে আলু চাষ হয় 
  4. আবার চাপাই নাটোর এই দুই জেলাতেও আলু চাষ হয় 
  5. অন্যান্য সকল জেলাতেই কম বেশি আলু চাষ করা হয়
এখন হয়তো আপনারা এই সেকশনটি পড়ে বুঝে গেছেন যে বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচাইতে বেশি আলুর চাষ হয়। এই বিষয়টি আমারও জানা ছিল না পরবর্তীতে আমি খোঁজ নিয়ে দেখলাম যে বাংলাদেশের রংপুর জেলায় আলু চাষের জন্য বিখ্যাত এবং সেই জেলা থেকে প্রতিবছর প্রায় এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। এবং রংপুরের পরেই আছে কিন্তু বগুড়া জেলা যে জেলাতে ছয় মাস পানি জমে থাকে এবং ৬ মাস শুকনো থাকে। তো বগুড়া জেলাতেও কিন্তু অনেক পরিমাণ আলু চাষ হয় তারপরে আপনার আসি রাজশাহীতে রাজশাহী হয়তো অনেকে জানেন আমি জন্য বিখ্যাত তারপরেও এখানে আলু চাষ হয় কিন্তু অনেক।

কোন ধরনের মাটিতে আলু চাষ করলে ভালো হয়

কোন ধরনের মাটিতে আলু চাষ করলে ভালো হয়? আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি উপরের দিকে পড়ে এসেছেন তারা হয়তো বুঝে গেছেন যে দোআঁশ ও বেলে মাটিতে আলু চাষ ভালো হয়। আবার যে শুধু এই মাটি হলেই হবে সেটা কিন্তু কথা নাই এখানে কথা হচ্ছে আপনার জমিটি যে আলু চাষের আগে কি ধরনের ফোরজি কিংবা অন্যান্য জিনিস উৎপাদন করেছেন সে বিষয়ে কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ আপনি যদি আলু চাষের আগে সেই জমিতে কুসর ভোটটা আরো নানা অন্যান্য জিনিস চাষ করে থাকেন তাহলে আপনাকে আলু চাষের আগেই সেই জমিটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে সে জমির আগাছা মুক্ত করতে হবে এবং সে জমিতে কিছু সার / বিষ প্রয়োগ করা লাগবে।
আবার আপনার জমিতে যদি অনেকদিন ধরে পানি জমে থাকে তাহলে সেই জমিতে আপনি আলু চাষ করলে ভালো ফলন পাবেন না। পাবেন আপনার জমিতে পানি জমে থাকলে পানি জমার পরে অন্তত না হলেও 10 টি ফেস দিতে হবে আপনার জমিতে। ১০ থেকে ১২ টি সেচ দেয়ার পরে আপনার জমি আলু চাষের জন্য উপযোগী হবে। যেমন বগুড়া জেলার মানুষেরা যে নিয়মে আলু চাষ করে আপনার জমিতে যদি পানি জমে থাকে তাহলে সেম বগুড়ার যে নিয়মে আলু চাষ করে সেই নিয়মে আলু চাষ করতে হবে। এতে আপনি ভাল ফলন পাবেন এবং আলু চাষ করে আপনি লাভজনক হতে পারবেন। তাহলে আপনারা হয়তো বুঝে গেছেন যে কোন ধরনের মাটিতে আলু চাষ করলে ভালো হয়।

আলু চাষের কতদিন পর পর বিষ প্রয়োগ করা লাগে

আজকের আর্টিকেলে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী? তো আজকের আর্টিকেলের মেইন পয়েন্ট হচ্ছে আলু চাষের কতদিন পর পর ২০ প্রয়োগ করা লাগে। তো এ বিষয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা অনেকেই জানেন না এবং যারা জানেন না তারা হয়তো যে দোকান থেকে কীটনাশক কিনেন সে দোকানদারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনারা সেটি প্রয়োগ করেন। তো সেটার আর প্রয়োজন আমি মনে করি না কারণ আপনি যদি আর্টিকেলের ইন সেকশনটি সুন্দরভাবে পড়েন তাহলে আপনি নিজেই বুঝে যাবেন যে আলু চাষের কতদিন পর পর সেই জমিতে বিষ প্রয়োগ করা লাগে।
  1. প্রথমত আলু রোপন করার ২০ থেকে ২৫ দিনের মাথায় একবার স্প্রে করা লাগবে 
  2. দ্বিতীয়তঃ ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর আবারো আপনাকে বিষ প্রয়োগ করা লাগবে 
  3. এবং শেষ ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় আপনাকে বিষ প্রয়োগ করা লাগবে। 
  4. এবং আপনার ফসলের ওপর নির্ভর করে আরো দু'একবার যদি বিষ প্রয়োগ করা লাগে তাহলে করতে হবে 
  5. দেখছেন আলুর গাছ বের হওয়ার পরে গাছের উপরে পোকাতে গাছের পাতা খেয়ে নিচ্ছে তখন আপনি একবার বিশ করতে পারবেন।
আশাকরি আপনারা বুঝে গেছেন যে আলু রোপন করার কতদিন পরে বিষ প্রয়োগ করা লাগে সে সম্পর্কে। তারপরেও আমি বলব যে আমার নিয়মে আপনারা বিষ প্রয়োগ করুন কিংবা করতে হবে সেটি হয়তো ভুল ভাববেন কারণ আপনার ফসলের উপর নির্ভর করে কিন্তু আপনার আলোর জমিতে বিষ প্রয়োগ করতে হবে তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে আলু রোপন করার কিছুদিন পরে স্প্রে করা প্রয়োজন এবং আলু তোলা পর্যন্ত কতবার স্প্রে করতে হবে সে বিষয়েও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে সেটি আমি উপরে আপনাদেরকে বলে দিয়েছি। তারপরও আপনার ফসলের উপর নির্ভর করে বিষ প্রয়োগ করতে হবে আপনাকে।

আলু চাষের কতদিন পরে আলু তুলে নেয়া লাগে

আলু চাষের কত দিনের মধ্যে আলু তুলে নেয়া লাগে। আবার আজকে আমরা আর্টিকেলটি পড়ে জেনেছি আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী। তো এখন আমি বলি যে আলু চাষের কতদিন পর আলু তুলে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার দিক দিয়ে যদি আপনি দেখতে যান তাহলে আপনি আলুর ওপন করার ৯০ থেকে ৯৫ দিনের মাথায় আপনার আলো যদি তুলে নেন তাহলে আপনার আলুতে কোন সমস্যা হয় না ফলন ভালো হয় এবং এটাই নিয়ম আলু চাষের 90 থেকে 95 দিনের মাথায় আলু তুলে নিতে হয়। এতে আপনার আলুর গায়ে কোন স্পট থাকবে না এবং কোন আগাছা থাকবে না। আবার আপনারা যদি বছরের দিকে হিসাব করেন তাহলে অক্টোবর নভেম্বরে আলু রোপণ করতে হয় এবং আলো তুলতে হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কিন্তু আলু তুলে কমপ্লিট করে ফেলতে হয়। 
আলু-চাষের-জন্য-কোন-মাটি-উপযোগ-জেনে-নিন
এখন এখানে বিষয় আছে যে আপনি চাইলে দুই চার দিন আগেও তুলতে পারেন দুই চার দিন পরেও তুলতে পারেন এতে কোন সমস্যা হবে না। তবে আপনি যদি ৯৫ দিন পার করে ১০০ দিনের মাথায় আলু তুলতে যান তাহলে আপনার আলুর গায়ে আগাছা জন্ম নেবে। এবং অনেক আলু দেখতে পাবেন যে পচে গেছে। তারপরেও আপনাকে আলু তোলার পাঁচ দিন আগে আলুর যে গাছগুলো থাকে সেগুলো তুলে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে এবং সেই গাছগুলো চাইলে আপনি পুরে ফেলতে পারেন এবং চাইলে আপনার বাসাতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে আলু তোলার পাশ থেকে ছয় দিন আগে আপনাকে আলুর গাছগুলো তুলে গোটা জমিটি পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী - উপসংহার

আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আমরা জেনেছি যে আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী? এ বিষয়ে আর্টিকেলটি কিন্তু লিখা হয়েছে এবং আর্টিকেলটি পড়েছেন যারা তারা সবাই বুঝে গেছেন যে আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী এবং কোন মাটিতে আলু চাষ করলে আলুর ফলন ভালো হয় এবং আলু চাষ করে লাভজনক হওয়া যায়। তো আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে বলেছি আলু চাষের জন্য কোন মাটি উপযোগী আবার বলেছি আলু চাষের মাটি প্রস্তুত কিভাবে করবেন সার্ভিস কিভাবে প্রয়োগ করবেন আরো আলু চাষের এ টু জেড সকল বিষয় সম্পর্কে কিন্তু এই আর্টিকেলে আপনারা জেনে গেছেন। 
আবার আপনারা যারা কিছুই জানতেন না আলু চাষের সম্পর্কে তারাও কিন্তু অনেক কিছুই জেনে তিনি আর্টিকেলটি পরে। আর্টিকেলটি যারা এতক্ষণ সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তাদেরকে আমি জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ এবং এই আর্টিকেলটি পড়ে যারা ভাবছেন যে আপনি আলু চাষ করবেন কিংবা আলু চাষ করছেন এখান থেকে আপনি কিছু টিপস নিয়েছেন তাদেরকেও জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং আপনাদের সুবিধার্থে বলতে চায় আপনারা আমার ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন নতুন নতুন আপডেট জেনে নিন এবং আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝে এ সকল আর্টিকেলগুলো শেয়ার করুন যাতে ওরাও আপনার মত এ সকল বিষয়ে জ্ঞান ধারণ করতে পারে। তো সবাইকে জানাই আল্লাহ হাফেজ পরবর্তী আর্টিকেলের জন্য অপেক্ষা করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url