কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা - কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা


কচুর লতি পরিচিত একটি সবজি এবং এই সবজি অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত নিজের বাসাতে রান্নাবান্না করে খাচ্ছেন। আবার এমন অনেকে আছেন যে এই সবজিতে বাঁচাতেই নিয়ে যান না কারণ এই সবজি ভালো করে রান্না না করলে গলায় চুলকানি হয়।
কচুর-লতি-খাওয়ার-উপকারিতা
আজকে আমি কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে সুন্দরভাবে এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। তো আর্টিকেল কি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ও জেনে নিন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। 

পেজ সূচিপত্র: কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা

কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা

কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা। আমরা হয়তো অনেকেই জানি যে কচুর লতিতে অনেক উপকার আছে আবার অনেকেই জানত অনেক সমস্যা হয়। তো আজকে আমি আপনাদের মনের এই চিন্তাভাবনার সমস্যা গুলো সুন্দরভাবে দূর করার চেষ্টা করব। আজকে আমি এই সেকশনে আলোচনা করব প্রচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। তো নিতে সুন্দরভাবে দেখে নিন কত উন্নতি খাওয়ার কি কি উপকার আছে এবং কি কি গুন আছে।
  • রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে অনেকটা সাহায্য করে 
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে 
  • প্রচুর লতিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের যেকোনো রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় 
  • কচুর নদীতে থাকা ভিটামিন ও সি চর্মরোগ দূর করতে সাহায্য করেও চোখের জ্যোতি বাড়াতেও সাহায্য করে
  • প্রচুর লতিতে পটাশিয়াম সংযুক্ত থাকে এজন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে 
  • প্রচুর লতিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার অনেক উপকারী 
  • প্রচুর লতিতে প্রচুর কোন ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা শরীরের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
উপরের যে সকল পয়েন্ট গুলা দেখছেন এই পয়েন্ট গুলো সবগুলোই হচ্ছে কচুর লতি খাবার উপকারিতা সম্পর্কে। এখন বিষয় হচ্ছে আপনারা যারা জানেন না যে কচুর লতি খাওয়ার কি কি উপকারিতা আছে তারা এই সেকশনটি পড়ুন সুন্দরভাবেও বুঝে কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এবং নিজের সেকশনটি কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে হতে চলেছে সেই নিজের সেকশনটি ও সুন্দরভাবে পড়ে নিন।

কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা

বিষয় হচ্ছে আপনারা একটু আগে কিংবা এর উপর সেকশনে কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন। বর্তমানে আমি এই সেকশনে আলোচনা করব কচু লতি খাবার কি কি অপকারিতা আছে তো হয়তো আপনারা একটা কথা জানেন এই যে জিনিসের উপকার আছে সে জিনিসের অপকারও আছে। এবং এই কথাটি আমি অনেক আর্টিকেলেই বলে থাকি যে যেটার উপকার আছে সেটার অপকারও আছে। চলুন কচুর লতি খাওয়ার উষ অপকারিতা গুলো দেখেনি ও কি কি ঢুকি আছে সে সম্পর্কে বুঝিনি।
  • কচুর লতিতে অক্সালের নামক এক ধরনের রাসায়নিক থাকে যেটি সঠিকভাবে রান্না না করা হলে গলা চুল কোন গলা জালা বা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। 
  • প্রচুর লতিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন গঠনের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে বা স্টনের সমস্যা থাকলে কচুর লতি না খাওয়াই ভালো
  • কচুর লতি রান্না করার পরে অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া বা অদমের সমস্যা হতে পারে।
  • কচুর লতি অতিরিক্ত খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা ও পেট ফুলে দেওয়া সম্ভব না থাকে। 
  • কচুর লতি রান্না করার সময় ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে তা না হলে পেটের সমস্যা হবে কারণ অনেক কচুর লতি যেগুলো কীটনাশক সার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।
এখন আমি আশা করব আপনারা সুন্দরভাবে বুঝে গেছেন কচুর লতি খাবার উপকারিতা ও কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। তো এই বিষয়টি অনেকেরই জানা প্রয়োজন কারণ আমরা অনেকেই গ্রামাঞ্চলে যারা বাস করি তারা এই কচুর লতি সপ্তাহে কিংবা মাসে একদিন হলেও খেয়ে থাকি। এজন্য হলেও এটা খাওয়ার বিষয় সম্পর্কে সুন্দরভাবে একটি ধারণা থাকলে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে সেই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা যাবে।

গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাবার অনেক উপকার আছে তবে এটি যদি আপনি সঠিকভাবে রান্না না করে খান তাহলে ক্ষতি হতে পারে। তো আমি আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে কচুর লতি খেলে কি কি উপকার হয় একজন গর্ভবতী মায়ের। প্রথমেই বলি যে কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাপ আয়রন থাকে যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য তার শরীরের রক্তের চাহিদাটা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শরীরের রক্তশূন্যতার সঙ্গে লড়াই করে রক্তশূন্যটাকে সঠিক পর্যায়ে রাখতে সাহায্য করে। আবার কচুর লতি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কারণ এটাতে আস ফাইবার ও আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও সাহায্য করে যা একটি গর্ভকালীন সময়ে একটি অনেক বড় সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে।
আবার আমরা বলতে পারি যে কচুর লতিতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ থাকে এই কারণে একজন গর্ভবতী মায়ের ও শিশুর জন্য এই ভিটামিন এ ও সি খুবই প্রয়োজন। আবার রোগ প্রতিরোধেরও ক্ষমতা বাড়ায় একজন গর্ভবতী অবস্থায় যদি কচুর লতি খাই। তবে সেটি সুন্দরভাবে ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে যেমন অনেক কচুর লতি আছে যেগুলো কীটনাশক সার বিষ দিয়ে খুব দ্রুত বড় করে। ওই সকল কচুর লতিগুলো বাসায় নিয়ে এসে ভালোভাবে ধুয়ে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে তাহলে সেই সার বিষ কীটনাশকের প্রভাবটি কমে যাবে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন একজন গর্ভবতী মায়ের কচুর লতি খাওয়ার কি কি উপকারিতা আছে আরো শরীরে পানি ধরে রাখতে ও সাহায্য করে। 

গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা

আপনারা তো উপকার সেকশনে জানলেন যে গর্ভবতী অবস্থায় প্রচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। এখন ঘটনা হচ্ছে শুধু উপকারী তো নাই অপকারও আছে কচুর লতি খাওয়ায় কি কি উপকার আছে একজন গর্ভবতী মায়ের সেগুলো সুন্দরভাবে এই সেকশনটি পড়ে জেনে নিন। প্রথমে আমি বলি কচুর লতি খেলে গলা চুলকানিও এলার্জির হতে পারে কারণ কচুর লতিতে থাকা অক্সালেট নামক এক ধরনের উপাদান যা ভালোভাবে যদি রান্না করা না হয় তাহলে গলা চুলকানো বা এলার্জি ও শরীরে অস্থিরতা কাজ করতে পারে। আবার যদি কিডনিতে কোন সমস্যা থেকে থাকে যেমন প্রচুর লতিতে থাকা অক্সালেট উপাদান যেটি কিডনিতে পাথর জমাতে সাহায্য করে। 

আমার ওপরে চেক্সনে পড়েছেন যে গ্যাস কমাতে সাহায্য করে এখানে আমি বলব যে গ্যাস ও হজমের সমস্যাও হতে পারে যদি আপনি খুব বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেলেন। ধরেন অনেকের ক্ষেত্রে কচুর লতিতে গ্যাস হয় আবার অনেকের ক্ষেত্রে কচুর্য দিয়ে খেলে গ্যাস হয় না সে কারণে আমি বলব অল্প পরিমানে খাবেন তাহলে কোন সমস্যা হবে না কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে খেলে গ্যাস ও পেট ফাঁপা বা অস্থিরতা কাজ করতে পারে। আবার এতে ডায়রিয়া হওয়ারও সম্ভাবনা আছে আপনি যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন কিংবা ভালো করে পরিষ্কার না করে রান্না করেন তাহলে ওইটি খেলে আপনার পেটে ডায়রিয়া হবে এবং গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত ধুকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।

কচুর লতিতে কি আয়রন আছে

হ্যাঁ প্রচুর লতিতে অনেক পরিমাণ আয়রন আছে যেমন আমি প্রথমে বলে এসেছি প্রচুর লতিতে আয়রন শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে যা রক্তের অক্সিজেন বহন করে এবং ফলে কচুর লতি খেলে রক্তশূন্যতা ভাব প্রতিরোধের সহায়তা করতে পারে বিশেষ করে গর্ভবতী অবস্থায় যাদের রক্তশূন্যতার সংকট করে তাদের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। এবং কচুর লতিতে কি কি ধরনের আয়রন আছে সেগুলো সুন্দরভাবে বুঝে নিন ও দেখে নিন। 
কচুর-লতি-খাওয়ার-উপকারিতা
  • আইরন যেটি রক্ত গঠনের সহায়তা করে 
  • ক্যালসিয়াম যদি হারমজবুত করতে সাহায্য করে 
  • এবং ভিটামিন এ ও সি শরীরের যেকোনো ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে 
  • আমরা জানি কচুর লতিদের ডাইরেক্টারি ফাইবার অনেক বেশি পরিমাণ থাকে যেটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে 
  • এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের সম্পর্কে জেনেছি উপরের দিকে একটি শরীরকে টনিক থেকে রক্ষা করে।
কুতুর লতিতে কি কি আয়রন থাকে এবং প্রচুর লতি খেলে কি কি উপকার হয় সে সম্পর্কে আপনারা সুন্দরভাবে হয়তো এই সেকশনটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। এখন তাহলে যারা কচুর লতি খেতে চান না তারা হয়তো এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে অনেক লোকে খাওয়ার প্রতি একটু হলেও মন টানবে। এবং আমি নিজে বলব যে কচুর লতি যদি ঠিকঠাক ভাবে রান্না করে খাওয়া যায় তাহলে এতে অনেক উপকার আছে। কারণ উপাদানটি প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এটি খেলে অনেক উপকার হবে কোন অপকার হবে না আবার হবেও ঠিকঠাক মতো না রান্ন করে খেলে।

কচুর লতি কি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো

কচুর লতি কি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। বিষয় হচ্ছে যে কচুর লতি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো কিনা সেটি হয়তো আপনারা এই আর্টিকেলটি যদি পড়ে আছেন এতক্ষণ তাহলে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। তারপরেও আমি বলব যে হ্যাঁ কচুর লতি খাবার শরীরের জন্য অনেক উপকার। তবে গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আয়রন থাকে প্রচুর এবং এই আয়রন রক্ত গঠনের সাহায্য করে। এবং অনেক গর্ভবতী মায়েদের বাচ্চা প্রসব দেওয়ার সময় রক্তের সম্পর্ক করতে পারে এজন্য তাদের আগে থেকেই এই কচুর লতি খাওয়া উচিত এবং কচুর লতি খেলে অনেক উপকার হয়।

আবার কচুর লতিতে ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে তাই কচুর লতি খেলে আপনার শরীরের যেকোনো ধরনের ক্যালসিয়ামের সমস্যা দূর হবে আবার আপনার শরীরের হাড়কে মজবুত করতেও সাহায্য করবে। যেমন ধরেন আপনার শরীরের হাটটি অনেক পাতলা মানে গাট্টু কিছু হলে অনেক লাগে এজন্য আপনারা নিয়মিত কচুর লতি খাওয়া অভ্যাস করুন দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার হাতটি মজবুত হবে এবং অনেক আরাম পাবেন। আবার কত নদীতে কিন্তু আমরা শুনেছি যে ভিটামিন এ সি থাকে এজন্য শরীরের নানান ধরনের রোগ প্রতিরোধেরও ক্ষমতা রাখে কচুর লতি খেলে। তাহলে এখন বুঝে গেছেন কচুর লতি খেলে কি শরীরের জন্য ভালো কিনা।

কচু খেলে কি শরীরের রক্ত বাড়ে।

কচু খেলে কি শরীরের রক্ত বাড়ে আপনারা যারা এই সেকশনের উপর কার দুইটা তিনটা সেকশন করেছেন তারা অবশ্যই বুঝে গেছেন যে কচুর লতি খাওয়ার ফলে শরীরের রক্ত সংগঠনের জন্য অনেকটা সাহায্য করে এবং বলেছি যে একজন গর্ভবতী মায়ের এই কচুর লতি খাওয়া খুবই প্রয়োজন। আবারো আমি বলছি আপনাদের যে কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যেটি রক্ত গঠনে সাহায্য করে এবং রক্তশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা করে। আবার প্রচুর লতিতে কিন্তু ফলেট ভিটামিন থাকে যেটি রক্তের কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং কচুতে থাকা ভিটামিন বি সিক্স ও সি রক্তের তৈরি করতেও সাহায্য করে। 
তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কত খেলে কি শরীরের রক্ত বাড়ে কিনা কমে আবারো আমি আপনাদের বলি যে আরেকটা বিষয় কচিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে এটি আপনারা প্রথমেই জেনে এসেছেন। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের কোষগুলোকে সুস্থতা রক্ষা রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের যেকোনো ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় আবার এটি রক্ত বাড়াতেও অনেকটা সাহায্য করে। এজন্যই কচু কিংবা কচুর লতি খেলে শরীরের রক্ত বাড়তে সাহায্য করে। অনেকটা পরিমাণ

কচুর লতি খেলে কি শরীরে এলার্জি হয়

কচুর লতি খেলে কি শরীরে এলার্জি হয়। এ বিষয়টা অনেকেই জানেন যে কতুল্য কি খেলে শরীরে এলার্জি হয় আবার হয় না। আমি আপনাদের একটা কথা বলি যে আপনি যদি কচুর লতি ঠিকঠাক মতো ভালোভাবে রান্না না করতে পারেন তাহলে এটি খাওয়ার ফলে আপনার ললিতে চুলকানি সৃষ্টি করবে গলা জ্বালাপোড়া করবে এবং শরীরে এলার্জির প্রভাবটা বেড়ে যাবে। কারণ কচু কিংবা কচুর লতির খেলে আমরা সবাই জানি এটাতে চুলকানি হয়। এবং এই চুলকানি টাকেই সম্ভবত এলার্জি বলা হয় এজন্য আমি বলব কচুর লতি খেলে শরীরে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। 

কিন্তু একটা কথা কিভাবে এলার্জি সৃষ্টি করে আপনি যদি প্রচুর লতি ভালোভাবে ধুয়ে সিদ্ধ না করে রান্না করেন তাহলে এই কচুর লতি খেলে আপনার ললি তে চুলকানি হবে বুক জ্বালাপোড়া করবে এবং অ্যালার্জি সৃষ্টি হবে। কিন্তু আপনি যদি সঠিক নিয়মে রান্না করে খেতে পারেন তাহলে এতে অ্যালার্জি সৃষ্টি হবে না কিন্তু এলার্জি নিরাময় করতে সাহায্য করবে। তাহলে হয়তো নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন প্রচুর লতিতে কি এলার্জি সৃষ্টি করে এবং সেটি নিরাময় করতেও সাহায্য করে।

এটা অনেক বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা গেছে যে কচুর লতিতে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে তবে এটি ঠিকঠাক মতো রান্না করে খেলে ওর এলার্জি নিরাময় করতেও সাহায্য করে। তারপরেও আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করব যে কত উন্নতি যদি আপনি খেতে চান তাহলে যে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন আপনার শরীরে যদি আগে থেকেই এলার্জির কোন সমস্যা থেকে থাকে। যদি কোন সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে খেলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু যদি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কোনো ডাক্তার কিংবা জ্ঞানী মানুষের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া ভালো।

কচুর লতি রান্না করার উপায়

কচুর লতি রান্না করার উপায়। বিষয় হচ্ছে আমি যেহেতু একজন ছেলে মানুষ এজন্য আমি তেমন একটি রান্না করতে জানি না তবে আপনাদেরকে আমি আইডিয়া দিতে পারব আমার জ্ঞান থেকে। কচুর লতি রান্না করার সময় প্রথমত আপনাকে প্রচুর গোড়া থেকে অন্তত ৪ ইঞ্চি কেটে ফেলে দিতে হবে এবং সেটিকে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে ছিলে দিতে হবে। এরপরে তরকারি রান্না করার মত টুকু টুকু করে নিয়ে সেটিকে সুন্দরভাবে পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। আপনি যদি পারেন তাহলে তার ভেতরে একটু লবণ দিয়ে ধরে নিতে পারেন এতে কি হবে জীবাণুগুলো দূর হয়ে যাবে। এভাবে পরিষ্কার করে রান্না করলে আপনার এলার্জির কোন সমস্যা হবে না এবং গলাতেও চুলকাবে না। 
কচুর-লতি-খাওয়ার-উপকারিতা
এরপরে সুন্দরভাবে ধরে নেয়ার পরে এটিকে আপনি সেদ্ধ করে দিবেন। সেদ্ধ করা তো হয়তো সবাই জানেন প্রথমে একটি পাত্রে কিছুটা পানি তুলার উপরে দিয়ে গরম করে নিবেন এবং যদি পারেন সেখানেও অল্প কিছু লবণ দিয়ে নিবেন। দিয়ে পানিতে ফুটে গেলে তার ভেতরে সেই কচুর লতিগুলো সুন্দরভাবে ছেড়ে দিবেন এবং দুই চার মিনিট চুলাটি অন রেখে সেটাকে অফ করে দিবেন এবং সেটা ঠান্ডা হতে থুয়ে দিবেন। দেখবেন ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটি সুন্দরভাবে সিদ্ধ হয়ে গেছে। এখন যেভাবে আপনারা রান্না করেন সেভাবেই সুন্দরভাবে মসলা নুন জল তেল ঠিকঠাক মতন দিয়ে সেটিকে রান্না করে খেতে পারবেন। এভাবে রান্না করলে কচুর লতি খাওয়ার ফলে আপনার এলার্জির সমস্যা হবে না ও গলা চুলকানো ভাবটাও আর হবে না।

কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা - কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা - উপসংহার

কচুর লতি আমাদের দেশের একটি প্রচলিত জনপ্রিয় একটি সবজি। যেটি কচুর গাছের বর্ধিত অংশজা তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এবং এটি অনেক পুষ্টি গুণে ভরপুর অত উন্নতি শুধু স্বাধীন নয় স্বাস্থ্যের দিক থেকে উপকার। এবং এটি সঠিক ভাবে রান্না করলে এটি শরীরের জন্য একাধিক স্বাস্থ্যের উপকারী প্রদান করে থাকে তাই আমরা আজকে কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা কিভাবে খেতে হবে কত উন্নতি খেলে কি কি সমস্যা দূর হবে সে সকল বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। তো আপনারা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে কচুর লতি খাওয়ার এটুজেট সকল নিয়ম কারণ সকল উপকারিতা ও অপকারিতা সবকিছু জেনে যাবে।
এখন বিষয় হচ্ছে কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আমার মন্তব্য হচ্ছে যে আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করবো যাদের কচুর লতি খেলে সমস্যা যেমন আগে থেকে যাদের শরীরের সমস্যা তারা উন্নতি খাবার আগে যে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন এবং কোন জ্ঞানী ব্যক্তির পরামর্শ দিয়ে খাবে। তাহলে কোন সমস্যা হবে না কিন্তু হুটহাট করে সমস্যা আছে তারপরও যদি কে পেলেন তাহলে সমস্যা হলে সেটি সমাধান করতে পারবেন না। আবার আমি সাজেস্ট করব গর্ভবতী অবস্থায় এই কচুর লতিতে খাওয়া অভ্যেস করুন কারণ এটি শরীরের রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত গঠনেও সাহায্য করে। এতক্ষণ ধরে আর্টিকেলটি পড়েছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আরপিকেলে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ছোট মানুষ হিসেবে কোন দৃষ্টিতে দেখবেন আল্লাহ হাফেজ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url