আমের উপকারিতা ও অপকারিতা


আমের উপকারিতা ও অপকারিতা। আমের অতুলনীয় সাধ এবং মন মাতানো রঙ ও গন্ধের সঙ্গে অন্য কোন ফলের তুলনায় চলে না। সেইসঙ্গে আমরা বলতে পারি আমি রয়েছে অসাধারণ সকল পুষ্টিসম্পন্ন ভরা একটি ফল। তাই আমরা অনেকেই বলে থাকি আম হচ্ছে ফলের রাজা। 
আমের-উপকারিত-ও-অপকারিতা
ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং গোটা বিশ্বে আমি চাহিদাটা অনেক বেশি। আবার অনেকে আছি যারা সারা বছর বসে থেকে শুধু আমের সময় এসে ব্যবসা করি এবং এই আমের জন্যই কিন্তু বসে থাকি। তো আজকে আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সুন্দরভাবে আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্র: আমের উপকারিতা ও অপকারিতা 

আমের উপকারিতা ও অপকারিতা

বছরকার ফল আম। যেটি প্রতি বছরে শুধু একবারই ফল দিয়ে থাকে এবং এই আমের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেকেই জানেনা। আমি আজকে এই আর্টিকেলে জানাবো যে আমের উপকারিতা কি এবং আম খেলে কি উপকারিতা হয় সে সকল সম্পর্কে। তো যারা এখনো আর্টিকেলটি মনে করছেন যে পড়ব না অল্প কিছু পরে বাদ দিয়ে দেবো তারা এখনই পড়া বাদ দিতে পারেন। কারণ আজকেরে আর্টিকেলে এমন কিছু আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব যেটি আপনার খুবই প্রয়োজন এবং বর্তমান সময়ে এ বিষয়টি না খেয়াল করলে আপনার হয়তো অনেক ভোগান্তিতে ভুগতে পারেন। 
আবার আম খেলে অনেক ক্ষতি হয় এবং অনেক উপকারও হয় প্রাণ খেলে কি উপকার হয় সেটি হালকা করে এখানে জেনে এবং নিচের সেকশনগুলোতে সুন্দরভাবে আমি আলোচনা করব। আম খেলে ঘুম ভালো হয় আম খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এরম আরো নানান ধরনের উপকার হয় আবার ক্ষতি বলতে গেলে বেশি আম খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় আবার ওজন বেড়ে যায়। এমন অনেক ধরনের উপকার এবং অপকার আছে আম খেলে। তোর নিতে সেকশনগুলো সুন্দরভাবে পড়ুন এবং জেনে নিন আম খেলে কি উপকার হয় এবং কি অপকার হয়। চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।

পাকা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা

পাকা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা। যারা জানেন না যে পাকা আম খেলে কি কি উপকার হয় এবং কি কি ক্ষতি হয়। তুই সেকশনটি আপনারা সুন্দরভাবে পড়ুন এবং জেনে নিন পাকা আম খেলে কি উপকার হয়। তো প্রথমে আমি পাকা আমের কিছু উপকার সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছু কিছু কথা বলে দেব। 
  • রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে 
  • হাটকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে 
  • যে কোন খাবার হজম করতে সাহায্য করে
  • রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 
  • চোখের উন্নতি ঘটায় এবং 
  • হার মজবুত করতে অনেকটা সাহায্য করে 
  • পাকা আম খেলে ত্বককে সুন্দর করে ও উজ্জ্বল এবং মুসলিম করতে সাহায্য করে 
  • আমি ভিটামিন এ বি কমপ্লেক্স থাকে যেটি শরীরের জন্য অনেক উপকার।
উপরে যে কয়েন গুলো দেখতে পাচ্ছেন ওগুলা পাকা আম খেলে যে উপকার হয় সে সম্পর্কে। এবং এই নিচের যে পয়েন্টগুলো দেখবেন এগুলো পাকা আম খেলে কি উ
অপকার হয় সে সম্পর্কে। আপনি যদি খুব বেশি মাত্রায় পাকা আম খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে। 
  • রক্তে গ্লুকোজের পরিমাপ বাড়িয়ে দেবে 
  • পাকা আম এজমা বাড়িয়ে দেবে 
  • যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের অনেক ক্ষতি হবে 
  • ওজন বেড়ে যাবে দ্রুত 
  • রক্তের শর্করা পরিমাপও খুব দ্রুত বেড়ে যায় 
  • ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি 
  • শরীরের এলার্জির পরিমাপ বাড়িয়ে দেয় চুলকানি বেড়ে যায় 
  • পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে 
  • খুব বেশি মাত্রায় খেলে হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে 
  • টেনিন উপাদান যা শরীরের ক্ষতি করে
এখন নিশ্চয়ই আপনাদের বুঝতে অনেকটাই সুবিধা হয়ে গেছে যে পাকা খেলে কি কি উপকার হয় এবং খুব বেশি মাত্রায় পাকা আম খেয়ে ফেললে কি কি অপকার হয় সে সকল সম্প। তো এই সেকশনটি আপনাদের কাছে আমি আশা করব অনেক ভালো লাগবে এবং এটা থেকে নিচের সেকশন গুলো আরো ইন্টারেস্ট এবং মজার হতে চলেছে আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা করা বাকি আছে তো নিচের সেকশনগুলো সুন্দরভাবে পড়ুন।

কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা

উপরের সেকশনে আমরা পাকা আমের উপকার এবং অপকার সম্পর্কে সুন্দরভাবে আলোচনা করে এসেছি। তো শুধু পাকা আমের উপকার আর অপকার সম্পর্কে জানলে তো হবে না কাঁচা আমেরও উপকার আর অপকার সম্পর্কে জানতে হবে। তো এই সেকশনটি সুন্দরভাবে পড়ুন এবং জেনে নিন কাঁচা আমের কি কি উপকার আছে এবং অপকার আছে। তো কাঁচা আমের কিছু উপকার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করলাম সেগুলো সুন্দরভাবে দেখে নিন এবং পড়ে নিন। 
  • কাঁচা আমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে 
  • কাঁচা হজমের জন্য খুবই উপকারী 
  • ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে ক্ষমতা রাখে 
  • কাঁচা আম লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে 
  • কাঁচা আমের ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ করতে সাহায্য 
  • আচ্ছা আমি আয়রন রয়েছে যা আপনার শরীরের রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে 
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে 
  • বুকে জ্বালাপোড়া বা অম্ল তার সমস্যা দূর করতে সাহায্য 
  • ঘামাচি বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং সেটি নিরাশ করে 
  • শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে এবং শরীরের ঘাম শুকিয়ে দেয়
আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন যে কাঁচা আম খাওয়ার কি কি উপকারিতা আছে। এবং নিচে সুন্দরভাবে দেখে নিন যে কাঁচা আম খেলে কি কি উপকর আছে। আপনারা অনেকে জানেন যে জিনিসের উপকার আছে সে জিনিসের অপকারও আছে। তো কাঁচা আমের কিছু অপকার সম্পর্কে জেনে নিন এবং দেখে নিন ও পরে নিন।
  • অতিরিক্ত এসিডিটি তৈরি করে যেমন বুক জ্বালা বদহজং গ্যাস্ট্রিক 
  • দাঁতের ক্ষতি করে অতিরক্ত টক জাতীয় আমগুলো খেলে 
  • ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা হয় 
  • এলার্জির বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে 
  • কাঁচা লবণ দিয়ে খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় 
  • ফরমালিন দেয়া আমগুলো খেলে রক্তচাপের হার খুব মাত্রায় বেড়ে যায় 
  • আবার ঔষধ দেয়ার সাত দিনের মধ্যে আম যদি খায় তাহলে সেই ডায়রিয়া সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি 
  • খুব বেশি মাত্রায় খেলে দাঁতে পোকার আশঙ্কা এবং দাঁত পড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে
এই সেকশনে আমি কাঁচা আমের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করলাম এখন আশা করব আপনাদের কাছে এই সেকশনটি অনেক ভালো লাগবে এবং সেকশনটি যারা পড়েছেন তারা হয়তো এতক্ষণ বুঝতে পেরেছেন যে এই সেকশনে কি কি গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বলা হয়েছে। এবং বর্তমানে আমের সময়ে এই সকল বিষয়গুলো মাথায় রেখে আম খেতে হবে আমাদের। এই সেকশনটি ভালো লাগলে নিজের সেকশনটি আবার পড়ুন যাতে সেকশনটি এটার থেকেও আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

রাতে আম খেলে কি ক্ষতি হয় ও কি উপকার হয়

রাতে আম খেলে কি উপকার হয়। প্রথমে আমি বলি যে আমি ভিটামিন এসি ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নানারকম খনিজ উপাদান থাকে যা একটি শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং রাতে আম খেলে কি কি উপকার হয়। সেগুলো সুন্দরভাবে নিচে একটু দেখে নিন এবং করে নিন
  • শরীরে পুষ্টি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে 
  • শরীরের শক্তি যোগায় আমি যেহেতু প্রাকৃতিক চিনি গ্লুকোজ থাকে সে কারণে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে রাতে আমি খেলে 
  • আমি এনজাইম থাকে যা রাতে খাবার পরে দু এক পিস খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • এবং রাতে দু এক পিস আম খেলে রাতের ঘুমটিও সুন্দর হয়
আমের-উপকারিত-ও-অপকারিতা
আবার রাতে আম খাওয়ার অনেক অপকার আছে যেমন নিচে সুন্দরভাবে দেখে নিন দিয়ে রাতে আম খেলে কি কি উপকার গুলো হতে পারে। 
  • পাকা আমে আমরা জানি অনেক পরিমাণ কেনই থাকে সে কারণে রাতে পাকাম খুব বেশি মাত্রায় খেলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করে।
  • রাতে আম বেশি খেলে গ্যাসটি সমস্যা বেড়ে যায় 
  • আবার খুব বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেলেন তাহলে রাতে ঘুম এর ব্যাঘাত ঘটাবে
  • যেহেতু আমি এমনিতেই গরম সে কারণে অল্পমাত্রায় খাওয়াই ভালো
রাতে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলা সুন্দরভাবে জেনে গেলেন। এখন বিষয় হচ্ছে এটা কি সত্য নাকি মিথ্যা এটা অনেকের প্রশ্ন আসতে পারে এখন আপনারা চাইলে যে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন যে এই কথাগুলো কি সত্য নাকি মিথ্যা। আমার মতে আমি বলব যে অনেক ডাক্তারের পরামর্শ মতে সকল কথাগুলো আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি এবং এই কথাগুলো শেয়ার করে আমার অনেক ভালো লাগে এবং আপনাদেরও অনেক উপকার হবে।

প্রতিদিন পাকা আম খেলে কি হয়

প্রতিদিন পাকা আম খেলে কি হয়। একটা কথা আমি যেহেতু বছরের ফল সে তৈরি সারা বছর পাওয়া যায় না বছরে হয়তো তিন থেকে চার মাসে পাওয়া যায়। এবং এই তিন থেকে চার মাসই যদি প্রতিদিন রেগুলার আম খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে কি কি হতে পারে সে সম্পর্কে একটু ধারণা দিতে পারব আপনাদেরকে আমি। নিতে সুন্দরভাবে দেখে নিন। প্রথমে আমি বলি আম যেহেতু অনেক মিষ্টি একটি ফল এবং অনেক গরম যেটি খেলে শরীরকে গরম করতে সাহায্য করে এ কারণে আমি বলব প্রতিদিন আম খাওয়া ভালো এটি শরীরের জন্য অনেক উপকার কিন্তু খুব বেশি মাত্রায় যদি খান তাহলে আবার আপনার শরীরের জন্য একটি অপকার কারণ।

আপনি যদি দিনে চারটা থেকে পাঁচটা আম খান তাহলে কোন সমস্যা নাই কিন্তু যখনই আপনি তার থেকে বেশি খেয়ে ফেলবেন আপনার শরীরটাকে গরম করে তুলবে এবং আপনার শরীরের ঘাম বের করে দিবে। তারপরে আপনার শরীরের ভেতর আশপাচপাচ শুরু হবে আপনি আরাম পাবেন না। শরীর ম্যাচ করবে। হয়তো আপনাদেরকে বুঝাতে পারিনি। তারপরেও আমি আশা করব আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে খুব বেশি গরম ধরলে শরীরের মধ্যে কেমন করে। এজন্য আমি সাজেস্ট করব নিয়মিত আম খাওয়া ভালো এটি অনেক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় এবং যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তারা ২-৩ মাস রেগুলার আম খেলে আপনার ওজন বাড়তে সাহায্য করবে।

একটি কাঁচা আমের কত ক্যালরি থাকে

ক্যালরি। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। আমরা জানি কাঁচা আমে অনেক পরিবর্তন কেনই থাকে। চলুন দেখে নেয়া যাক যে একটি কাঁচা আমের কত ক্যালরি থাকে এবং কতটুকু ক্যালোই গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের জন্য ভালো হবে। এবং খুব বেশি মাত্রায় ক্যালোরি ব্যবহার করলে আমার শরীরের জন্য কোন ক্ষতি হবে নাকি উপকার হবে সে সকল সম্পর্কে সুন্দরভাবে জেনে নেয়া যায়।

আমরা জানি যে খোসা ও আর্টি ছাড় ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম আমি ৭০ থেকে ৭৫ ক্যালোরি থাকে। আমরা বলতে পারি শর্করা বিশ গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ২০ মিলিগ্রাম লৌহ এক দশমিক ছয় মিলিগ্রাম ভিটামিন এ থাকে প্রায় ২৩০০ মাইক্রো গ্রামের উপর। এবং আঁশ আছে পাঁচগ্রাম পটাশিয়াম ১০০ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম এবং ম্যাগনেসিয়াম আছে ১৭০ মিলিগ্রাম। লাইক ওপেন প্রায় ১৪ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম। রয়েছে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন একটি কাঁচা আমের কত পরিমাপ ক্যালরি থাকে। 
এখন বিষয় হচ্ছে একটি আমি যদি এত পরিমান ক্যালরি থাকে তাহলে আমরা সারাদিনে কতটি আম খেলে আমাদের জন্য ভালো হবে। তো আপনারা এটা নিজের হিসাব করুন যে সারাদিনে আপনার শরীরে ক্যালরি কতটুকু প্রয়োজন এবং কত পিস আম খেলে সেই ক্যালরিটা পূরণ করতে সাহায্য করবে। এবং আপনি যদি হিসাব করে দেখেন দুইটা থেকে তিনটা আম খেলে আপনার সারাদিনের ক্যালোরি হয়ে যাচ্ছে তাহলে আপনি তার বেশি যেন আর না খান এতে আপনার শরীরে ওজন বৃদ্ধি করে দিতে সাহায্য করবে এবং কাজের ক্ষমতা কমিয়ে দিতেও অনেক সাহায্য করবে। তো যাই করবেন নিয়মের মধ্যে করবেন নিয়মের বাইরে গিয়ে করলে আপনারই সমস্যা।

একদিনে কতটুকু আম খাওয়া যাবে

একদিনে কতটুকু আম খাওয়া যাবে। আপনারা যদি উপরের সেকশনটি সুন্দরভাবে পড়ে আছেন এবং আপনারা যদি বিশ্লেষণ করতে পারেন যে আপনার শরীরে একদিনে কতটুকু ক্যালোরি প্রয়োজন তাহলে হয়তো আপনি বুঝে গেছেন। যে একদিনে কতটুকু আম খাওয়া প্রয়োজন। তো আমি খুব বেশি কথা না বলি এখানে তারপরও হালকা করে কিছু কথা বলি যে একদিনে কতটুকু আম খাওয়া প্রয়োজন। 
  • একদিনে প্রায় আড়াইশো থেকে ৪০০ গ্রাম পাকা আম খাওয়া নিরাপদ 
  • এবং একটি আমি ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম হয়ে থাকে 
  • একদিনে তিনটি থেকে চারটি আম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো 
  • এবং যাদের ডায়াবেটিকস আছে কিংবা যাদের ওজন বেশি তারা একটি থেকে দুইটি আম খাওয়াই ভালো 
  • তারপরেও যাদের ডায়াবেটিকস আছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই আম খাবেন 
  • এবং যাদের ওজনও বেশি তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আম খাওয়া ভালো
উপরের সেকশনটিতে যেহেতু একটি আমি কতটুকু ক্যালরি থাকে সে সম্পর্কে বলে এসেছি সে কারণে খুব সহজেই আমি বলে দিয়েছি যে একদিনে কতটুকু আম খাওয়া প্রয়োজন এবং কতটুকু আম খেলে শরীরের জন্য ভালো হবে। আবার কোন কোন ব্যক্তির জন্য আম খাওয়া শরীরের জন্য অপকার হবে সে বিষয়ে আলোচনা করলাম তো আমি সাজেস্ট করব যাদের ডায়াবেটিকস আছি কিংবা যাদের ওজন অনেক বেশি তারা আম খাওয়ার আগে অবশ্যই কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আম খাবেন যে আমার শরীরের জন্য ততটুকু আম খেলে আমার শরীরে কোন ক্ষতি হবে না এবং আমার শরীরে উপকার হবে সে সম্পর্কে।

কোন আম খাওয়া ভালো এবং কোন আমটি সবচেয়ে মিষ্টি

আম যেহেতু বছরে একবারই হয় এজন্য আমার মতে আমি বলব যে আপনারা সব আমি কমবেশি খাবেন। কিন্তু তারপরও আম খাওয়ার মধ্যেও একটি বিষয় আছে যে কোন নামটি সবচেয়ে মিষ্টি খেতে ভালো লাগে এবং কোন আন্টি খেলে অনেক উপকার হয় এ সকল বিষয় থাকবে। তো নিচে আমি আপনাদেরকে অল্প কিছু সাজেস্ট করব যে প্রণামগুলো খেলে ভালো এবং কোন আমগুলো সবচেয়ে মিষ্টি ও জনপ্রিয়। সুন্দর ভাবে দেখে নিন 
  1. ল্যাংড়া যেটি জনপ্রিয় একটি আম এবং এই আমে সুগন্ধ ও অনেক রস এবং এমপি তে আসো অনেক কম 
  2. হিমসাগর। অত্যন্ত মিষ্টি আম রসালো আশ নেই এবং অনেক জনপ্রিয় 
  3. ফজলি আম। বড় আকারে রাম যেটি হালকা মিষ্টি এবং এটি আচারের জন্য অনেক উপযোগী 
  4. আমরুপালি যেটি গাছ লাগানোর এক বছর পরে থেকেই আম ধরা শুরু করে এবং এই আমটি আসমুক্ত হালকা টক এবং মিষ্টি এবং এই আমটি অনেক দিন ধরে ঘরে সংরক্ষণ করে রাখা যায় 
  5. গোপালভোগ আম। অনেক মিষ্টি এবং এই আমটি আমরা গ্রীষ্মকালের শুরুর দিকেই পেয়ে যাই এবং এই আমটির চাহিদাও অনেক বেশি বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় একটি আম বললেই চলে।
আমরা অনেকেই জানি যে সকল আমগোলা অনেক মিষ্টি হয়ে থাকে এবং এই আমগুলো কিন্তু প্রায় লোকজনই থাকে ভালবাসে। আমি বলবো যে শুধুই আমরা খেলে তো হবেনা দেশের প্রায় হাজার জাতের আম আছে তো আমরা যদি শুধু এই আমগুলাই খায় তাহলে ওই আমগুলাকে খাবে বলেন। এজন্যই আমগুলো খাবেন পাশাপাশি অন্য যে সকল আম গুলা আছে সে আমগুলাও খাবে। আর আমি বলব হাজার প্রজাতির আম সব আম খাওয়াই ভালো আপনি যদি সকল প্রজাতি রাম একটা করে খেতে পারেন তাহলে আরো ভালো।

কোন আম দিয়ে আচার করলে ভালো হবে

কোন আম দিয়ে আচার করলে ভালো হবে। তো বিষয় হচ্ছে যে আমি এই আর্টিকেলে আম দিয়ে আচার করলে ভালো হবে এ সম্পর্কে বলবো না কারণ আমি এটা নিয়ে একটি কন্টেন্ট লিখেছি যে আমের আচার তৈরি করার উপায় এবং কোন আম গুলা দিয়ে আচার করলে খুব ভালো হবে। তো আপনারা কোনাম দিয়ে আচার তৈরি করলে ভাল হবে এটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন এবং দেখে নিন কোন আম দিয়ে আচার তৈরি করলে ভালো হবে।
আমের-উপকারিত-ও-অপকারিতা
যেহেতু আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে এখানে ক্লিক করলে আপনারা দেখতে পাবেন কোন আম দিয়ে আচার তৈরি করলে ভালো হবে সে সম্পর্কে এবং আচার তৈরি করার। উপায় এবং কিভাবে তৈরি করলে ভালো হবে সাত বৃদ্ধি করতে ভালো হবে এবং রোদে না শুকিয়ে কিভাবে আচার তৈরি করা যায় সে সকল বিষয় সম্পর্কে দেখতে এই বাটনে ক্লিক করুন তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনারা দেখবেন যে প্রণাম দিয়ে আচার তৈরি করলে ভাল হয়।

আমের উপকারিতা ও অপকারিতা - উপসংহার

আমের উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে আমি আজকের এই আর্টিকেলে সুন্দরভাবে আলোচনা করে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এখন কথা হচ্ছে আপনারা যদি আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে আছেন তাহলে আপনারা আমি আশা করব নিশ্চয়ই এতক্ষণ বুঝতে পেরেছেন আমের উপকারিতা ও অপকার সম্পর্কে। তো আমি বলে দি যে আজকের এই আর্টিকেলে আমি আম খেলে কি উপকার হবে এবং আম খেলে কি উপকার হবে ও কখন আম খাওয়া ভালো কোন জাতের আম গুলা খাওয়া ভালো সে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের অনেক উপকার হবে এটি আমি বিশ্বাস করতে পারছি। 
আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমার মন্তব্য হচ্ছে আমি যেহেতু বছর কার ফল মানে বছরে একবারই ফল দেয় সে কারণেই আমের চাহিদাটা শুরুতে অনেক বেশি কিন্তু যখন শেষ হতে যায় তখনও অনেক বেশি শুধু মাঝামাঝি একটু কম হয়ে যায় এই কারণে আমের দামও কমে যায় আমের চাহিদাটা অনেক মানুষের কাছে কমে যায়। যখনই দেখছে যে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছে তখনই কিন্তু আমি চাহিদাটা আরো বৃদ্ধি করে। যারা পারবেন মাঝামাঝি আম খেয়ে ফেলবেন এবং আমের চাহিদাটা মিটিয়ে নিবেন। ‌তা না হলে হয়তো দেখা যাচ্ছে শেষের দিকে আমের দাম অনেক বেশি থাকায় অনেক মানুষ আছে আমি কিনে খেতে পারবেন না। তো যারা এতক্ষন আর্টিকেলটি পড়েছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আর্টিকেলে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ছোট মানুষ হিসেবে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আল্লাহ হাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url