ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান - ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি নিয়ম


ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান? বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের গায়ের রং শ্যামলা আবার কালো আবার কেউ কেউ আছে মানিক ফর্সা। আজকের এয়ার টিকেট তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাদের গায়ের রং একটু কালো এবং শ্যামলা। 
ফর্সা-হওয়ার-সবচেয়ে-ভালো-সাবান
তাদের ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য আজকে আমি কয়েকটা সাবান সম্পর্কে আলোচনা করব ও ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি নিয়ম বলে দিব। তো দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ও ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে জেনে নিন ও ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি নিয়ম ও জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্র: ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভাল সাবান

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান? বর্তমান সময়ে বাজার ঘাটতে বলেন দোকানপাটে বলেন এমন অনেক সাবান আসছে যেগুলো ব্যবহার করলে ত্বকের কোন উপকারই হয় না। কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হয় বেশি। আজকে আমি ফর্সা হওয়ার জন্য সবচাইতে ভালো যে সবার সে সাবান সম্পর্কে আলোচনা করব। আরো আলোচনা করব ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরির নিয়ম সম্পর্কে। আরো আলোচনা করব ফর্সা হওয়ার সবচাইতে ভালো কিছু সাবান এর সম্পর্কে। এবং কিছু সাবানের নামও নিচে দেখে নিন।
  • কাঁচা হলুদের সাবান
  • নিম পাতার সাবান 
  • অ্যালোভেরার সাবান 
  • হলুদ আর নিম পাতার সাবান
উপরে যে চারটি নাম দেখতে পাচ্ছেন হয়তো একটু কনফিউজ হয়ে যাবেন এই সাবান গুলো আছে আবার। প্রথমত আমি আপনাদের বলব এই সাবানগুলো আপনি দোকানে পাবেন না বাজারেও পাবেন না এগুলো আপনাকে নিজের ভাষাতেই তৈরি করতে হবে। আর আমি সাজেস্ট করব যে ফর্সা হওয়ার জন্য আপনাদের এই চারটি সাবানই বেস্ট। বাইরে থেকে যে সকল সাবানগুলো কিনে আনেন সেই সাবানগুলো দিয়ে কোন উপকার হবে না অন্তত ওগুলা অনেক ক্ষতি হয়। আর আপনি যদি নিজের বাসাতেই নিজে তৈরি করেন এবং সেই সাবান ব্যবহার করেন এতে আপনার অনেক উপকার হবে।

ঘরোয়া উপায় কি কি সাবান তৈরি করা যায়

উপরে সেকশনে ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে কিছু কথা বলেছি এবং ওই সেকশনের নিচের দিকে এসে আমি আরো বলেছি যে নিজের বাঁচাতে সাবান তৈরি করে ব্যবহার করলে ওই সাবানে অনেক উপকার আছে। উপর থেকে যখন এ কথা বলেছি তার মানে নিচের এই সেকশনে এসে বলব যে ঘরোয়া উপায় কি কি সাবান তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে। প্রথমত উপরেই আমি যে চারটি সাবানের নাম বলেছি সেই চারটি সাবান আপনি আপনার নিজের বাসাতেই তৈরি করতে পারবেন। ও সেই সাবার ব্যবহারে আপনার অনেক উপকার হবে কোন ক্ষতি হবে না।

আর আমি একটা কথা বলি আপনারা যে সকল সাবানগুলো বাইরে থেকে কিনে এনে ব্যবহার করেন সেই সকল সাবান গুলো তে উপকার তেমন হয় না কিন্তু ক্ষতি অনেকটা বেশি হয়। আপনারা হয়তো অনুভব করতে পারেন কিন্তু বুঝতে পারেন না। আপনারা যখন সাবানটি ব্যবহার করেন তখন হয়তো কিছু কিছু সাবান আছে যেগুলোতে মুখ নরম না হয়ে আরো খসখসে হয়ে যায়। আরে খসখুঁজি হয়ে গেলে মুখের অনেক সমস্যা হয় যেমন মুখের চামড়া উঠে যেতে পারে। মুখে আজেবাজে জিনিস বের হতে পারে যেমন ব্রন ও বের হতে পারে। তাই আজকে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে সাবান তৈরি করবেন সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন।

ত্বকের জন্য কোন সাবান ভালো

ত্বকের জন্য কোন সাবান ভালো। এইটা প্রশ্ন হল এখন কথা হচ্ছে আপনারা যে সকল সাবান গুলো বাজার থেকে কিংবা অন্যান্য জায়গা থেকে কিনে আনেন সে সকল সাবান গোলার সম্পর্কে কি আপনি জানেন। জানেন না হয়তো প্রথমে আমি বলি, বাজার থেকে কিংবা বাইরে থেকে যে সকল সাবান গুলো কিনে আনবেন সে সকল সাভারে তেমন একটি আপনি উপকার পাবেন না। কারণ তারা একসঙ্গে হাজার হাজার সাবান তৈরি করে এজন্য সাবানের ভেতরে যে সকল জিনিসগুলো মিক্স করতে হয় সেগুলো সম্পূর্ণ মিক্স হয় না। এই কারণে সেগুলো ব্যবহারে অনেক ক্ষতি হতে পারে। 

আর আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করবো যে আপনার ত্বকে যদি আপনি পারেন তাহলে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন এমন অনেক ফেসওয়াশ আছে যেগুলোতে ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য তারা অনেক কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকে। আপনি চাইলে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন কিংবা আপনি যদি পারেন নিজের ভাষাতেই সাবান তৈরি করে সেই সাবান ব্যবহার করলে আপনার অনেক উপকার হবে এবং আপনার ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। এবং প্রাকৃতিকভাবে যেহেতু তৈরি এজন্য এগুলো আপনি অনেকদিন পর্যন্ত মজুদ করে রাখতে পারবেন নষ্ট হবেনা।

ত্বক শুষ্ক করে না কোন সাবান

ত্বক শুষ্ক করে না কোন সাবান। এমন অনেক সাবান আছে যে সাবানগুলো ত্বক শুষ্ক করে না। আর এমন অনেক সাবান আছে যেগুলো দিয়ে মুখ ধাওয়ার পরে মুখ খসখসে করে এবং লালও হয়ে যায়। সে সকল সাবান ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন এবং বাজারে পাওয়া যায় এমন কিছু সাবানের নামে বলে দিব যেগুলো ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক করে না। আবার আমি একটা কথা বলব যে আপনারা যদি পারেন নিজের ভাষাতে অর্গানিকভাবে সাবান তৈরি করুন এবং সেই সাবান দিয়ে মুখ ধৌত করুন এবং সকল কাজ শেষে সাবান দিয়ে করুন। 
  • ডাব বিউট বার
  • সেটাফিল জেন্টল ক্লিনজার 
  • সিরাভি হাইড্রেটিং ক্লিনজার 
  • নিউট্রোজেনা ফ্রি ফেসিয়াল বার
  • বেবি সাবান বাংলাদেশের
উপরে যে পাঁচটি সাবান এর নাম দেখতে পাচ্ছেন আপনি চাইলে এই সাবান গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই সাবানগুলো ব্যবহারের ফলে আপনার তো শুষ্ক করবে না। তারপরে আমি একটা কথা বলবো যে আপনারা বাইরের কেনা সাবান ব্যবহার না করাই ভালো খুব সহজে তো আপনি আপনার বাসাতেই অর্গানিকভাবে সাবান তৈরি করতে পারবেন। সেই সাবান যদি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। এবং বাইরের সাবান ব্যবহার করলে এমন অনেক সাবান আছে যেগুলোতে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়।

পাপায়া সাবান কি ত্বক সাদা করে

পাপায়া সাবান এই সাবান টির নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন আবার অনেকেই শুনেননি। এই সাবানটি দারাজের জনপ্রিয় একটি সাবান। এই সাবানটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক সাদা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। আরো এই সাবানটি ব্যবহারে অনেক উপকার আছে সে সকল উপকারগুলো নিচে আমি একটু বিস্তারিত আলোচনা করলাম। তো দেখে নিন পাপায়া সাবান ব্যবহারে কি কি উপকার হয়: 
  • ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে 
  • ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে 
  • তোকে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে 
  • আপনার ত্বক যদি বেশি লাল হয়ে যায় সেটি দূর করতে সাহায্য করে 
  • খুব সহজে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
ফর্সা-হওয়ার-সবচেয়ে-ভালো-সাবান
পাপায়া সাবান ব্যবহারে উপরে যে উপকার গুলো দিয়েছি এ সকল উপকারগুলো একটি সাধারন মানুষের জন্য প্রয়োজন। আর আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে পাপায়া সাবান ব্যবহারের উপকারিতা এবং এই সাবানটি সম্পর্কেও অনেকেই না জানা। তো যারা এই সাবানটি ব্যবহারের উপকারিতা জানেন না তারা এই সেকশনটি পড়ে হয়তো বুঝতে পারবেন এটার উপকার। আবার এই সাবানটি আপনি সচরাচর সব জায়গাতে পাবেন না। কসমেটিকসের বড় দোকান ছাড়া এই সাবান গুলা সব জায়গায় পাওয়া যায় না।

প্রতিদিন কোন সাবান ব্যবহার করা শরীরের জন্য ভালো

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সবার সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে ইতিমধ্যে জেনে এসেছি এখন আমরাই সেকশনটিতে জানবো যে প্রতিদিন কোন সাবান ব্যবহার করা শরীরের জন্য ভালো। সাবান তো সবাই ব্যবহার করেন কমবেশি এখন ঘটানো হচ্ছে কোন সাবান ব্যবহার করলে আপনার শরীরের জন্য ভালো। তো প্রথমেই আমি বলব যে বাইরের যে সকল সাবান গুলো কিনতে পাওয়া যায় সেই সাবান গুলো ব্যবহারের ফলে তেমন একটা উপকার হবে না। শুধু আপনার শরীর থেকে দুর্গন্ধ মুক্ত করবে এটাই। বাইরের যে সকল সাবানগুলো সে সকল সাবান গুলো শুধু শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে পারবে শরীরের কোন উপকার করতে পারবে না। 

শরীরের যে সকল সাবান গুলো উপকার করবে এবং যে সকল সাবানগুলো প্রতিদিন ব্যবহারে শরীরের জন্য ভালো সে সকল সাবানগুলো আপনি নিজের বাসাতেই তৈরি করতে পারবেন এবং যে সকল সাবানগুলোকে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা হয়। সেই সাবানগুলো ব্যবহার করলে আপনার এবং আপনার শরীরের অনেক উপকার হবে। এখন কথা হচ্ছে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে আবার সাবান তৈরি করা যায়। তো এটা নিয়ে টেনশন করার কোন প্রয়োজন নেই এই সেকশনের নিচে সেকশন থেকে শুরু হবে ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরির নিয়ম। তো দেরি না করে নিচে পড়ে ঘরো উপায়ে সাবান নিজের বাসাতেই তৈরি করুন।

নিমপাতা সাবান তৈরির নিয়ম

এই সেকশনটির উপর কার সেকশনে আমি বলে এসেছি যে ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি নিজের বাসাতেই করতে পারবেন। হ্যাঁ ঠিক কথাই বলেছি এখন আপনি যদি মনে করেন যে আমি আমার নিজের বাসাতেই নিম পাতার সাভার তৈরি করতে চাই। সেই সাবান আপনি নিজের ভাষাতেই তৈরি করতে পারবেন। আর প্রথমে আমি একটা কথা বলিনি নিম পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন। এজন্য নির্ভয়ে সবাই নিম পাতার সাবান বাসাতেই তৈরি করুন এবং সেই সাবান ব্যবহার করুন সেই সাবান ব্যবহারে অনেক উপকার হবে। নিম পাতার সাবান তৈরি করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে সেগুলো দেখে নেন।
প্রথমে সতেজ কিছু নিমপাতা জোগাড় করে নিন এবং সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এবং তার সঙ্গে আপনাকে একটি ক্যাপসুল প্রয়োগ হবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুই থেকে তিন পিস এই ক্যাপসুলটি যে কোন ফার্মেসি থেকে নিয়ে আসতে পারবেন। এবং সাবানটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন সাবান বেজ। এই তিনটি একসঙ্গে মিশ্রণ করে পাটায় বেটে নিবেন এবং এটি পেস্ট তৈরি করুন‌। এবং অল্প একটু পানির সাহায্যে এটিকে তুলার উপরে দিয়ে গরম করে নিন এটি ফুটলে চুলা বন্ধ করে এটিকে ঠান্ডা করতে দিন। এবং যেকোনো একটি প্লাস্টিকের পাত্রে নিয়ে নিন সাবানের আকারে। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই সাবানটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন এবং এটি হল নিম পাতার সাবান তৈরির নিয়ম। 

অ্যালোভেরা সাবান তৈরির নিয়ম

উপরের সেক শুনে তো আমরা দেখেছি ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি নিয়ম ও নিম পাতা সাবান তৈরির নিয়ম দেখেছি। এখন আমরা রিসিপশনে দেখব ঘরোয়া উপায়ে এলোভেরা সাবান তৈরির নিয়ম। আর এই এলোভেরার কি কি উপকার আপনারা হয়তো ইতিমধ্যেই জানেন আমাকে আর সেটা নিয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে না। আমি শুধু আপনাদেরকে এই সেকশনটিতে এলোভেরা সাবান কিভাবে তৈরি করবেন সেটা একটু বুঝিয়ে দেব। অ্যালোভেরা সাবান তৈরি করার জন্য প্রথমত আপনাকে পরিষ্কার কিছু অ্যালোভেরা জোগাড় করতে হবে। 

এবং এলোভেরার ভিতরে থাকা সেই মাংসগুলো বের করে তার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুইটা থেকে তিনটা দিয়ে দিন। ও নারিকেলের তেল কিছু পরিমাপ দিয়ে নিন নারিকেলের তেলটি দিলে নারিকেল তেল অনেক উপকার হয়। এবং এগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপরে চুলার উপরে একটি পাত্রতে সাবান বেজ এইটি দিয়ে গরম করে নিন এবং সাবান বেজটি গলে গেলে তার মধ্যে যে পেজটি তৈরি করলেন সেই পেজটি দিয়ে ভালো করে মিক্সার করে দিন এবং অল্প কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে সেটাকে ঠান্ডা করতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে সাবান তৈরির মতো করে কোন একটি পাত্রে শুয়ে ঠান্ডা করুন এবং সেই সাবানটি ব্যবহার করুন। এটাই হলো এলোভেরা সাবান তৈরির নিয়ম।

হলুদ ও নিম পাতা সাবান তৈরির নিয়ম

আপনারা ইতিমধ্যেই এলোভেরা সাবান ঘরোয়া উপায়ে তৈরি নিয়ম জেনেছেন আরো জেনেছেন নিম পাতার সাবান ঘরোয়া উপায় তৈরি নিয়ম। এখন আমরা জানবো যে একসঙ্গে হলুদ ও নিম পাতা সাবান কিভাবে তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে। এবং এই সেকশনটির নিচে সেকশনে আমরা এই সাবানগুলোর উপকার সম্পর্কেও জানব। তো প্রথমেই আমরা হলুদ ও নিম পাতার সাবান ঘরোয়া উপায়ে তৈরি নিয়ম জেনে নিন। প্রথমে আপনাকে পরিষ্কার দু এক পিচ হলুদ নিতে হবে এবং তার সঙ্গে পরিষ্কার কিছু নিম পাতাও নিয়ে নিতে হবে। দুইটি এক সঙ্গে মিস করুন কিংবা ছোট ছোট করে কেটে নিন। 

এরপরে তার সঙ্গে পাঁচটা থেকে ছয়টা ভিটামিন সি ক্যাপসুল মিশিয়ে নিন আরও তার সঙ্গে যদি পারেন চার থেকে পাঁচ চামচ নারিকেলের তেল দিয়ে সবগুলোকে একসঙ্গে মিশ্রণ করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার সাবান বেজ লাগবে সাবান বেস্ট টিকে চুলার উপরে গরম করতে দিন এবং সাবান বেজটি গলে গেলে তার সঙ্গে সেই পেস্ট গুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। অল্প কিছুক্ষণ জাল করুন এবং চুলাটি বন্ধ করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ঠান্ডা হতে থুয়ে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে সাবানের মাফ করে যে কোন জায়গাতে ওগুলো ছুঁয়ে দিন এবং পরের দিন আপনি সেই সাবানগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এটাই হলো নিম পাতা এবং হলুদের সাবান তৈরীর নিয়ম।

ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি উপকারিতা

আপনারা ইতিমধ্যেই ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি নিয়ম সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনে এসেছেন এমনকি আপনার আর আপনার ভাষাতেও সাবান তৈরি করেছেন। এখন সাবান তৈরি করার পরে বুঝতে পারছেন যে কিনে আনা এবং তৈরি করা দুটোই একই খরচ পড়ছে। তাহলে আমার ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি উপকার টা কি। এখন আমি আপনাদেরকে বলবো ঘরোয়া পায়ে সাবান তৈরি ও সেই সাবানের উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে এই সেকশনে আলোচনা করব। তো জেনে নেন যে কোন সাবানের কি উপকার। 
নিম পাতা সাবানে রয়েছে এন্টিবায়োটিক যেটি ভাইরাস মুক্ত করতে অনেক কার্যকরী একটি সাবান আরো রয়েছে এই সাবান ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হবে। এবং শুষ্ক রাখতে অনেক উপকার করবে। আবার এই সাবান ব্যবহারে আপনার শরীরের অনেক রোগ বালাই থেকেও মুক্তি পাবেন। তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন নিম পাতার সাবান ব্যবহারে উপকারিতা সম্পর্কে। 
ফর্সা-হওয়ার-সবচেয়ে-ভালো-সাবান
এলোভেরা সাবান ব্যবহারে অনেক উপকারী যেমন অ্যালোভেরা সাবান ব্যবহারে আপনার তোকে অনেক তাড়াতাড়ি উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। এমনকি অনেকে আছেন যারা শুধু এলোভেরা ব্যবহার করে থাকেন ততো উজ্জ্বল করার জন্য। আরো রয়েছে এলোভেরাতে ভিটামিন সি ডি যে সকল জিনিসগুলো ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের নানান ধরনের রোগ বালাই থেকে মুক্তি দেয়। আর প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করে এই সাবানটি ব্যবহারে শরীরের অনেক উপকার হয়। 

হলুদ ও নিম পাতার সাবান ব্যবহারে কি কি উপকার হয় সে সম্পর্কে এই সেকশনটিতে সম্পূর্ণ জেনে নেন। প্রথমতই আমি বলব যে নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন। আবার হলুদের যে গুনাগুন সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন তো এখনই দুইটা যদি একসঙ্গে মিক্স করে একটি সাবান তৈরি করা হয় তাহলে এর গুনাগুন কতখানি বেড়ে যাবে। আমি বলব যে এই দুইটা সাবান ব্যবহারে আপনার শরীরে তো কোন রোগ বালাই হবেনা এবং শরীরের যদি জ্বর থেকে থাকে তাহলে জব দূর করতে সাহায্য করবে। আবার এই সাবানটি ব্যবহারের ফলে ত্বক নরম কোমল হবে এবং শরীরকে হালকা করতে ও সাহায্য করবে।

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান - উপসংহার

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো স্বাভাবিক? আজকে আর্টিকেলের মেন টপিক ছিল এইটা যে ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি তো আপনারা হয়তো জেনে এসেছেন এই আর্টিকেলটি পড়ে। আরো জেনেছেন যে ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি নিয়ম সম্পর্কেও অনেক কিছুই জেনেছেন কিভাবে তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কেও জেনেছেন। আরো জেনেছেন নিম পাতার সাবান তৈরি সেই সাবানের উপকারিতা কি এবং এলোভেরা সাবান তৈরির সম্পর্কেও অনেক কিছুই জেনেছেন। আশা করব এই সকল তথ্যগুলো আপনার অনেক কাজে লাগবে। 
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো স্বভাব সম্পর্কে আমার যে মন্তব্য সেটি হচ্ছে আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন যে নিজের বাসাতেই ঘরোয়া উপায়ে সাবান তৈরি করা। কারণ প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি নিজের ভাষাতেই সাবান তৈরি করতে পারছেন এবং সেই সাবান আপনি নিজেই ব্যবহার করতে পারছেন। আর আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে প্রাকৃতিকভাবে যে জিনিসগুলো তৈরি করা হয় সেই জিনিস ব্যবহারে অনেক উপকার হয় কোন ক্ষতি হয় না। এবার আপনি যদি বাইরে থেকে যে সকল সাবানগুলো নিয়ে আসেন ওগুলা প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয় না। ওগুলো সকল মেশিনের সাহায্যে তৈরি হয় এবং সেই সাবানগুলোতে অনেক জীবাণু থাকে ওগুলো ব্যবহারে অনেক ক্ষতি হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url